বাইডেনের পশ্চিম এশিয়া সফর:
বাইডেনের পশ্চিম এশিয়া সফরের লক্ষ্য প্রতিরোধ শক্তির মোকাবেলায় আরব-ন্যাটো গঠন
-
জো বাইডেন
ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা মনে করেন বাইডেনের পশ্চিম এশিয়া সফর প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইল ও আমেরিকার দুর্বলতা ও ব্যর্থতার প্রমাণ। গত ১৩ জুলাই বাইডেন অধিকৃত ফিলিস্তিনে যান এবং মাহমুদ আব্বাস ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। গতকাল তিনি সৌদি আরব সফরে গিয়ে আরব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বার্তা সংস্থা ইরান-প্রেস জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দল ও জনগণ বাইডেনের সৌদিআরব ও ইসরাইল সফরের নিন্দা জানায়। গাজার সমাবেশ থেকে তারা বলে: বাইডেনের সফর সৌদি ও ইসরাইলের স্বার্থে হয়েছে। এমনকি ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থেও এই সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেছে।
বাইডেনের সফর শেষে আজ সকালেই ইসরাইলি জঙ্গিবিমান গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই সফরে ফিলিস্তিনীদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার, তাদের শরণার্থীদের ফেরার অধিকারসহ সকল আশা-আকাঙ্ক্ষাকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। অপরদিকে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশে বাইডেন সফর করেন বলে সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে।
হামাস নেতা ইসমায়িল রেজোয়ানও বলেছেন: ফিলিস্তিনীদের অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন দিতেই বাইডেন সফর করেন। তিনি বলেন: আমেরিকা ও ইসরাইল চায় পশ্চিম এশিয়াকে টুকরো টুকরো করে দুর্বল করে দিতে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। ফিলিস্তিনীরা প্রবল প্রতিরোধের মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেবে বলে মন্তব্য করেন ইসমায়িল রেজোয়ান।
প্রতিরোধ শক্তির ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমেরিকা নয়া ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভঙ্গুর অস্তিত্ব এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নয়া উদ্যোগ।
এদিকে ফিলিস্তিনের জেহাদে ইসলামি নেতা আহমাদ আল-মোদাল্লেল বলেছেন: প্রতিরোধ শক্তির মোকাবিলায় আরব-ন্যাটো গড়তেই বাইডেন সফর করেছেন। কেননা প্রতিরোধ শক্তির কারণে ইসরাইলের অস্তিত্ব এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন।#
পার্সটুডে/এনএম/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।