খাগড়াছড়ির অশান্তির পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করল ভারত
-
রণধীর জসওয়াল
খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার পেছনে ভারত বা ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে বলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম যে অভিযোগ করেছেন- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল তা অস্বীকার করেছেন।
আজ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রণধীর জসওয়াল বলেন, “আমরা এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও শাসন বজায় রাখতে পারছে না। আর এ সরকারের একটি অভ্যাস আছে তাদের ব্যর্থতার দায় অন্যদিকে সরিয়ে দেয়।”
ভারতীয় এ কূটনৈতিক উল্টো অভিযোগ করেন- কথিত উগ্রবাদীরা পাহাড়ি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করছে, তাদের ভূমি দখল করছে। তিনি বলেন, “আমি ঢাকাকে বলব নিজেদের আত্মদর্শন করুন এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ওপর উগ্রবাদীদের হামলা ও তাদের জমি দখলের ঘটনা গুরুতরভাবে তদন্ত করুন।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতকে বারবার জানিয়েছে, ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছেন হাসিনা। এরমধ্যেই সোমবার রাজধানীর পুরাতন রমনা থানা চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'একটি মহল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটছে।'
গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।
এই মামলাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকারই হয়নি। মেডিকেল রিপোর্টে এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু এরমধ্যেই দুর্বৃত্তরা শত শত ঘরবাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।#
পার্সটুডে/এমএআর/৩