প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
‘ইরান-সৌদি শক্তিশালী সম্পর্ক গোটা অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষা করবে’
-
সোমবার প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফুয়াদ হুসেইন (বাম থেকে তৃতীয়)
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও শক্তিশালী করা সম্ভব হলে তা গোটা অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষা করবে। তিনি গতকাল (সোমবার) ইরান সফররত ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
২০১৬ সালের গোড়ার দিকে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েক বছর পর এই দুই দেশের সম্পর্কে জোড়া লাগানার উদ্যোগ নেয় ইরাক। বাগদাদের মধ্যস্থতায় এ পর্যন্ত তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে যদিও এসব বৈঠক থেকে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল অর্জিত হয়নি।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রায়িসি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক ঘটনাপ্রবাহে ইরাকের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে বাগদাদ যে ভূমিকা পালন করছে তা প্রশংসনীয়।
রায়িসি বলেন, বাগদাদের মধ্যস্থতায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে যে পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছে তা ফলপ্রসূ ছিল।এসব আলোচনায় গৃহিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রক্রিয়া সহজতর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি সরকার সেদেশের প্রখ্যাত শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ডকে ইরান হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে। ওই মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ইরানজুড়ে সৌদি বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয় এবং রাজধানী তেহরানস্থ সৌদি দূতাবাসে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন থেকে দু’দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।