সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের চীন সফর কেন নানাদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i128432-সিরিয়ার_প্রেসিডেন্টের_চীন_সফর_কেন_নানাদিক_থেকে_গুরুত্বপূর্ণ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চীন সফরে গেছেন। হ্যাংজুতে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং তার চীনা সমপক্ষ শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যাংজুতে যান তিনি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ১২:১৯ Asia/Dhaka

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চীন সফরে গেছেন। হ্যাংজুতে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং তার চীনা সমপক্ষ শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যাংজুতে যান তিনি।

দামেস্ক-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে বাশার আসাদের চীন সফর বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে।

বাশার আসাদ ও শি জিনপিং

২০১১ সাল থেকে সিরিয়া গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। যুদ্ধ অনেকটা কমে গেলেও দেশের কোনো কোনো অংশ এখনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে বিদেশী দেশগুলোর দখলে রয়েছে। গত দুই বছরে সিরিয়া বিরোধী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থনকারী কয়েকটি দেশের নীতিতে পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন দামেস্কের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অধিকাংশ আরব দেশ সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করে এই দেশের পুনর্গঠনে তাদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া সিরিয়া আরব লীগে ফিরে এসেছে। বাশার আসাদের বেইজিং সফরকে এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাশার আসাদের চীন সফর নির্দেশ করে যে সিরিয়া দীর্ঘ সময়ের কোনঠাসা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসছে।

বাশার আল-আসাদ ২০০৪ সালে শেষবারের মতো বেইজিং সফরে গিয়ে চীনের প্রাক্তন নেতা হু জিনতাওয়ের সাথে দেখা করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাশার আল-আসাদের সিরিয়া সফর ছিল সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর। সুতরাং আসাদের সাম্প্রতিক বেইজিং সফর সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের চীনে দ্বিতীয় সফর এবং শি জিনপিংয়ের সাথে বাশার আসাদের প্রথম বৈঠক।

তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল সিরিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করেছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অবকাঠামো ওই যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন দেশটির পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির একটি দেশ এবং বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেশটির রয়েছে। তাই বাশার আসাদ আশা করেন সিরিয়ার পুনর্গঠনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন: আমরা বিশ্বাস করি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সফর দু'দেশের মধ্যে রাজনৈতিক আস্থা ও পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ়তর করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি নতুন স্তরে উন্নীত হবে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।