গাজা ইস্যুতে ইউরোপ-আমেরিকার বক্তব্য লোকদেখানো
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i134478-গাজা_ইস্যুতে_ইউরোপ_আমেরিকার_বক্তব্য_লোকদেখানো
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ ১৩:১৬ Asia/Dhaka

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।

সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, “যদি আপনারা বিশ্বাস করেন গাজায় অনেক বেশি বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছেন তাহলে অনেক মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে আপনাদের উচিত কম অস্ত্র সরবরাহ করা।

আমেরিকা প্রতিবছর ইসরাইলকে ৩৮০ কোটি ডলারের বার্ষিক সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়া, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকা এ পর্যন্ত ইসরাইলকে ১০ হাজার টনের বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে। গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা চালাতে এ সমস্ত অস্ত্র বড় ভূমিকা রাখছে। আমেরিকার পাঠানো বোমা দিয়ে গাজার বড় বড় ভবন পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। আমেরিকার অস্ত্রে এ পর্যন্ত বহু ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধানের বক্তব্যের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, ৭ অক্টোবরের আল আকসা তুফান অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান মাত্রাতিরিক্ত ছিল এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। জর্ডানের রাজার সঙ্গে এক বৈঠকে বাইডেন এ মন্তব্য করেন। একজন মুসলিম রাজার সঙ্গে বৈঠকে এমন মন্তব্যকে কিছুটা সৌজন্য হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে আরও কিছু কারণে বাইডেন এমন মন্তব্য করেছেন। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের জন্য গাজা ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করেন গাজায় জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল।

এছাড়া গাজায় নবজাতক থেকে শুরু করে নিরস্ত্র ও অভুক্ত মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে তা যেকোনো পাষণ্ডের হৃদয়েও কাঁপন সৃষ্টি করতে বাধ্য। সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিরপরাধ মানুষ হত্যার এমন করুন ইতিহাস আর রচিত হয়নি। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে সব কিছু ঢেকেও রাখতে পারছে না পাষণ্ড ইসরাইল ও তার মিত্ররা। এ কারণে আমেরিকা ও ইউরোপের কোনো কোনো নেতা মাঝে মধ্যে গাজায় গণহত্যা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু কাজের বেলায় তারা সব ফোরামেই ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছেন, ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র ইসরাইলি সেনাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।#

পার্সটুডে/এসএ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।