ইহুদিবাদীদের ভয়াবহ বর্বরতা
আশ-শিফা হাসপাতাল এবং বেইত লাহিয়ায় গণকবর আবিষ্কৃত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আশ-শিফা চত্বরে একটি বিশাল গণ কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স কয়েক দিন অনুসন্ধান চালানোর পর এই গণ কবরের সন্ধান পায়।
আশ-শিফা হাসপাতালের এই গণকবর থেকে অন্তত নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আরো মৃতদেহ পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গণকবরের খনন কাজ পরিচালনার সময় ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি ড্রোন সেখানে চক্কর দিতে থাকায় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা খনন কাজ বন্ধ করে দেন। ড্রোন থেকে তাদের ওপর হামলা চালানো হতে পারে বলে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা আশঙ্কা করছিলেন।
গণকবর খনন কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, উদ্ধার করা মৃতদেহের কোনো কোনোটি এখনো পচে গলে যায়নি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে খুব সম্প্রতি তাদেরকে বর্বর ইসরাইলি সেনারা হত্যা করেছে।
হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্টাফরা জানিয়েছেন, তারা ইহুদিবাদী সেনাদের গণহত্যা এবং ভিকটিমদের গণকবর দেয়ার দৃশ্য দেখেছেন। গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর ইহুদিবাদীরা আশ-শিফা হাসপাতালে কয়েক দফা আগ্রাসন চালিয়েছে।
এদিকে, গাজা শহরের বেইত লাহিয়ায় আরেকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখান থেকে ২০টি পচে গলে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আল-আসাফ পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করে এই গণকবরে চাপা দেয়া হয়।
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গণকবর সম্পর্কে বলেছে, আশ-শিফা হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার আগে বর্বর ইহুদিবাদীরা বহুসংখ্যক পচে গলে যাওয়া লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা দিয়েছে।
হামাস বলেছে, এই গণকবর সন্ধানের মধ্য দিয়ে একথা পরিষ্কার হলো যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা যা খুশি তাই করেছে; তাদের অপরাধের কোন সীমা-পরিসীমা ছিল না।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।