কোন কোন শর্তে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিচ্ছে হামাস?
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i152622-কোন_কোন_শর্তে_ট্রাম্পের_প্রস্তাব_মেনে_নিচ্ছে_হামাস
পার্সটুডে- ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জবাবে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান, বন্দি বিনিময় এবং গাজায় স্বাধীন প্রশাসনের বিষয়ে সম্মত। একই সঙ্গে গাজার ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ফিলিস্তিনের জাতীয় স্বার্থের আলোকে পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।
(last modified 2025-10-04T14:42:26+00:00 )
অক্টোবর ০৪, ২০২৫ ১৩:৩৭ Asia/Dhaka
  • কোন কোন শর্তে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিচ্ছে হামাস?

পার্সটুডে- ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জবাবে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান, বন্দি বিনিময় এবং গাজায় স্বাধীন প্রশাসনের বিষয়ে সম্মত। একই সঙ্গে গাজার ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ফিলিস্তিনের জাতীয় স্বার্থের আলোকে পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।

পার্সটুডে'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই অবস্থানটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা শেষে নির্ধারিত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস কিছু শর্তসাপেক্ষে ট্রাম্পের প্রস্তাবের কয়েকটি ধারা মেনে নিয়েছে এবং একই সঙ্গে গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার বিষয়ে জাতীয়ভাবে আলোচনা করার দাবি জানিয়েছে।

হামাস তাদের জাতীয় দায়িত্ব ও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যামূলক আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছে, নিজেদের মধ্যে ব্যাপক শলাপরামর্শ, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং আঞ্চলিক বন্ধু ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে পৌঁছেছে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা, বন্দি বিনিময়, দ্রুত মানবিক সাহায্য প্রবেশ করানো, গাজা দখলের বিরোধিতা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জোরপূর্বক উৎখাত প্রতিরোধের আরব, ইসলামী ও বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে হামাস।

এছাড়া হামাস ঘোষণা করেছে, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে দখলদার বাহিনী প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ফর্মুলা অনুযায়ী সব ইসরায়েলি বন্দিকে (জীবিত বা মৃতদেহ) মুক্তি দিতে রাজি আছে।

হামাস আরও বলেছে, এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত, তবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় মাঠপর্যায়ের পরিবেশ তৈরি হতে হবে।

বিবৃতির অন্য অংশে হামাস জানিয়েছে, গাজার প্রশাসন ফিলিস্তিনি স্বাধীন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছে হস্তান্তরে তারা রাজি আছে, তবে শর্ত হলো—এটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামি দেশগুলোর সমর্থনে গঠিত হতে হবে।

হামাস জোর দিয়ে বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি জাতির মৌলিক অধিকার—যা ট্রাম্পের প্রস্তাবে উল্লিখিত—তা অবশ্যই জাতীয় ও সামগ্রিক কাঠামোর মধ্যে পর্যালোচনা করতে হবে। এ পর্যালোচনা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহের আলোকে এবং একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কাঠামোর অধীনে হতে হবে, যাতে হামাসেরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ থাকবে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাবর্তন এবং গাজা পুনর্গঠন ও পরিচালনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।#

পার্সটুডে/এসএ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।