দোহার উপর ইসরায়েলি হামলা কী ঘটনার শেষ নাকি শুরু?
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i151912-দোহার_উপর_ইসরায়েলি_হামলা_কী_ঘটনার_শেষ_নাকি_শুরু
পার্সটুডে- একটি ইসরায়েলি সংবাদপত্র স্বীকার করেছে যে কাতারের রাজধানী দোহার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা তেল আবিবের বিচক্ষণতার অভাবের লক্ষণ।
(last modified 2025-09-14T05:39:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫ ১৬:৪৩ Asia/Dhaka
  • দোহার উপর ইসরায়েলি হামলা কী ঘটনার শেষ নাকি শুরু?
    দোহার উপর ইসরায়েলি হামলা কী ঘটনার শেষ নাকি শুরু?

পার্সটুডে- একটি ইসরায়েলি সংবাদপত্র স্বীকার করেছে যে কাতারের রাজধানী দোহার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা তেল আবিবের বিচক্ষণতার অভাবের লক্ষণ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (৯ সেপ্টেম্বর), ইসরায়েলি বিমানগুলো কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশটির রাজধানী দোহার লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলার স্থান ছিল কাটারা অঞ্চলে খলিল আল-হাইয়াহর নেতৃত্বে হামাসের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের বৈঠকের স্থান। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, শক্তিশালী বিস্ফোরণ এবং দোহার আকাশে ঘন ধোঁয়া তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, হামাস প্রতিনিধিদলের সদস্যদের কোনও ক্ষতি হয়নি। পার্সটুডে অনুসারে, ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ এক বিশ্লেষণে লিখেছে যে কাতারের রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে উন্মাদ সামরিক অভিযানগুলির মধ্যে একটি এবং এটি তেল আবিবের বিবেকবুদ্ধি  ও বিচক্ষণতার অভাবের লক্ষণ।

হারেতজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড এবং তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ এনেছে এবং এই ধরনের অভিযানের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

হারেতজ লিখেছে, “যারা ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির জন্য আলোচনা করছে এবং আমেরিকা সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী পর্যালোচনা করছে তাদেরকে হত্যার চেষ্টা !?”

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে এই হামলায় ইসরায়েলি বন্দীদের বিষয়ে সংবেদনশীল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করা হয়েছিল এবং ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কাতার এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীদের একজন।

হারেতজ নেতানিয়াহুর নীতিরও তীব্র সমালোচনা করে লিখেছে যে এই হামলা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বন্দী বিনিময় চুক্তি ব্যর্থ করার এবং তার এবং তার মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যর্থতা থেকে জনমতকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টার।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি আরো বলেছে, কিছু ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা হামলার বিরোধিতা করেছিলেন, কিন্তু তারপরও হামলা হয়েছে যা কিনা তেল আবিবের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্থার পতনের ইঙ্গিত দেয়। দৈনিকটি সতর্ক করে দিয়েছে যে এই হামলার পরিণতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলিদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা সরকারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে দ্রুত দুর্বল করে দেবে। হারেতজ আরও জোর দিয়ে বলেছেন যে দোহার ঘটনাই গল্পের শেষ নয় এবং একই ধরণের আক্রমণ ইস্তাম্বুল বা কায়রোর মতো অন্যান্য রাজধানীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, কারণ তেল আবিবের কোনও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি নেই এবং তারা কেবল সামরিক শক্তির উপর নির্ভর করে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।