সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা:
'হামাস ফিলিস্তিনি জাতির প্রতিনিধি'
-
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস
পার্স টুডে - এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারীরা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন "হামাস"-কে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধি ও তাদের জাতিকে রক্ষাকারী বলে অভিহিত করেছেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং দেশটির রাজধানী দোহার লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলার স্থান ছিল ইলেক্ট্রা এলাকায় খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ হামাস প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠকের স্থান।
X সোশ্যাল নেটওয়ার্কের "ফাতেমা" লিখেছেন: "হামাস তার দেশ ফিলিস্তিনকে রক্ষা করে এবং এই দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু যে সরকার ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করেছে এবং ৬৪,০০০ এরও বেশি মানুষকে শহীদ করেছে তারা সন্ত্রাসী।"
"আলি মারদানি," আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী ইহুদিবাদীদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন: "যখন তোমরা প্রায় ৮০ বছর ধরে ভূমি দখল করে আছো, গণহত্যা ও অপরাধ করেছো, তখন কি তোমরা আশা করো যে হামাস, যারা গাজার জনগণকে সমর্থন করে এবং তাদের মধ্য থেকে উত্থিত হয়েছে, তারা তোমাদের ফুলের তোড়া দেবে?! "মিথ্যা কল্পনা! এগুলো খালি উত্তর। তোমাদের দ্বারা আর কেউ বোকা হবে না!"
"মুকারামা"ও বলেছেন যে গাজার সম্পূর্ণ দখলও হামাসের পরাজয়ের গ্যারান্টি নয়, এবং এই আন্দোলন এখনও সামরিক হিসাবের বাইরে কাজ করে।
"আতিয়েহ বখতিয়ারি" লিখেছেন, যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হামাস কেন ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না: "কারণ সমস্যাটি কোনও একটি গোষ্ঠীর নয়। সমস্যাটি হল একটি জাতির দেশ দখল এবং গোটা জাতির ওপর দমন-পীড়ন। হামাস আত্মসমর্পণ করবে না, কারণ এ আন্দোলন ফিলিস্তিনি জাতিকে ধ্বংস হতে দেবে না।"
"মাজিদ" নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় হামাসের ধ্বংসসহ তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল গাজা দখল করতে যেমন ব্যর্থ হবে তেমনি হামাসকেও ধ্বংস করতে পারবে না। ইসরায়েল এতটাই চোরাবালিতে আটকে আছে যে তারা তাদের বন্দীদেরও মুক্ত করতে পারছে না।"
আবু ইমাদ আল-হারাসি নামের এক ইউজারও লিখেছেন: "ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা ও নির্মূলের মাধ্যমে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তার সামরিক নীতি অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আরব সরকারগুলোকে, অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং হামাসকে সমর্থন করতে হবে যাতে তারা এই দখলদাররা যে গণহত্যা চালিয়েছে তা বন্ধ করতে পারে।"
মায়সা রিফাত" নামের এক ব্যবহারকারীও লিখেছেন যে আরবদের উচিত গাজা রক্ষা করা, ইসরায়েল নামক অবৈধ দখলদার শক্তির অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে তাদেরকে অবশ্যই হামাস ও গাজাকে রক্ষা করতে হবে।
সৈয়দ আলী আকবর রাজাভিয়ান" মনে করেন হামাস ইসরায়েল ও তার অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্দ কাজ ও অপরাধগুলো প্রকাশকারী এবং তিনি বলেছেন: 'গাজায় তেল আবিব আর ওয়াশিংটনের অপরাধের প্রতি বিশ্বের চোখ খুলে দিয়েছে হামাস এবং এই দুই অংশীদারকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে, গাজার জনগণের পাশে থেকে প্রতিরোধের মাধ্যমে তা করেছে হামাস।' #
পার্স টুডে/এমএএইচ/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।