মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হবে: বাশার আসাদ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i27754-মধ্যপ্রাচ্যে_পাশ্চাত্যের_সব_ষড়যন্ত্র_ব্যর্থ_করে_দেয়া_হবে_বাশার_আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, দামেস্ক ও হোমসে পতনের পর এখন দায়েশ সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে আলেপ্পো শহর। তিনি বলেছেন, আলেপ্পো পুরোপুরি মুক্ত করার পর সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আমূল পাল্টে যাবে। দৈনিক আল ওয়াতানকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬ ১৮:১১ Asia/Dhaka

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, দামেস্ক ও হোমসে পতনের পর এখন দায়েশ সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে আলেপ্পো শহর। তিনি বলেছেন, আলেপ্পো পুরোপুরি মুক্ত করার পর সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আমূল পাল্টে যাবে। দৈনিক আল ওয়াতানকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এর আগে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পুরো দেশকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ আলেপ্পো শহরও পুরোপুরি মুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আলেপ্পো শহরে সন্ত্রাসীদের পতনের অর্থ হচ্ছে, পাশ্চাত্য ও এ অঞ্চলে তার কয়েকটি আরব মিত্রদের পতনের ঘণ্টাধ্বনি এবং তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড যুদ্ধে সিরিয়ার সেনাবাহিনী পূর্ব আলেপ্পোর অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সিরিয় বাহিনী গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আলেপ্পোয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।

সিরিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে উৎখাত করার জন্য সৌদি আরব, আমেরিকাসহ তাদের মিত্র দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে সন্ত্রাসীরা ২০১১ সালে ব্যাপক হামলা শুরু করে। কিন্তু প্রথম দিকে সন্ত্রাসীরা বহু এলাকা দখল করতে সক্ষম হলেও সিরিয়ার সেনা ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর পাল্টা আঘাতে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে পালাতে শুরু করে। একের পর এক এলাকা হাত ছাড়া করার পর সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ ঘাঁটি আলেপ্পো থেকেও তারা বিতাড়িত হওয়ার পথে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের সমর্থক পাশ্চাত্য, তুরস্ক ও রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে এবং তাদের সমস্ত  হিসাব নিকাশ উল্টে গেছে।

সিরিয়ার বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি পুরোপুরি সেনা ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর অনুকূলে রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। বিদেশি মদদপুষ্ট এসব সন্ত্রাসীরা আলেপ্পোতে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ায় এখন ওই এলাকা উদ্ধার সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর ফলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ও তাদের বিদেশি প্রভুরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার সেনাদের দ্রুত অগ্রাভিযান শুধু যুদ্ধ ক্ষেত্রে নয় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বিরাট প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া, সিরিয়ার জনগণের হাতে সেদেশের ভাগ্য নির্ধারণের দাবিও জোরদার হবে। বাশার আসাদের জনপ্রিয়তাও বহুগুণে বেড়ে যাবে। এরফলে সিরিয়াসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রের পথ বন্ধ হবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার যে নীলনকশা এঁটেছিল আমেরিকা তা কার্যত ব্যর্থ হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকা ইসরাইলকে দিয়ে লেবাননের বিরুদ্ধে ৩৩ দিনের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তখনও তারা ব্যর্থ হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, এ অঞ্চলের জাতিগুলোর প্রতিরোধ পাশ্চাত্যের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদও আল ওয়াতানকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। #  

পার্সটুডে/মোঃ রেজওয়ান হোসেন/৮