কাতারের মধ্যস্থতা: ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস
(last modified Tue, 01 Sep 2020 08:42:49 GMT )
সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০ ১৪:৪২ Asia/Dhaka
  • হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা
    হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে। এজন্য কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ফলে গাজা উপতক্যার ওপর বিমান হামলাসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে। এর বিপরীতে গাজা থেকে যে আগুনে বেলুন দিয়ে হামাস হামলা চালাতো সেগুলোও বন্ধ করা হবে।

হামাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে যে, সর্বশেষ সংঘাতের রাশ টেনে ধরা হবে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে।”

গাজার ওপর ইসরাইলের বিমান হামলা (২১ আগস্টের ছবি)

বিবৃতিতে বলা হয়- যুদ্ধবিরতির ফলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে যা গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে। হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ করবে। এর বিনিময়ে ইসরাইল জ্বালানি সরবরাহ শুরু হবে এবং মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।  

গত কয়েকদিন ধরে কাতারের দূত গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য লাগাতার বৈঠক করে আসছিলেন।

অন্যদিকে, ইসরাইল বলেছে, শান্তি এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তেল আিবব। তবে হামাস যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরাইলও অনরূপ ব্যবস্থা নেবে।

গত ৬ আগস্ট থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অন্যদিকে হামাসও নিয়মিতভাবে রকেট এবং আগুনে বেলুন ছুঁড়ছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। ২০১৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও সে প্রতিশ্রুতি রাখে নি দখলদার ইসরাইল।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ