ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানালেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/world-i104714-ইউক্রেনকে_নিরস্ত্রীকরণের_আহ্বান_জানালেন_রুশ_পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, পরবর্তী ধাপে ওই অঞ্চলের জনগণকেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেছেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পাশ্চাত্য ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে এবং গত দুই বছরে বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেন বিপুল সমরাস্ত্র মজুদ করেছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মার্চ ০৩, ২০২২ ১৯:২১ Asia/Dhaka

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, পরবর্তী ধাপে ওই অঞ্চলের জনগণকেই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেছেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পাশ্চাত্য ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে এবং গত দুই বছরে বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেন বিপুল সমরাস্ত্র মজুদ করেছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সরকার অজুফ সমুদ্র উপকূলসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তা করছিল। এ ছাড়া, পেন্টাগন ইউক্রেনে জীবাণু গবেষণাগার নির্মাণেও সহায়তা করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেদেশকে পরমাণু অস্ত্রধর দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন তাকে মস্কো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, এ সম্ভাবনা রয়েছে যে ইউক্রেনের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করার যে কথা বলেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবতা হচ্ছে ইউক্রেনের পাশ্চাত্যঘেঁষা সরকার ২০১৪ সালে রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রুশপন্থী ভিক্টোর ইয়ানকোভিচ সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং তখন থেকেই তারা ইউরোপ ও আমেরিকার ঘনিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি ন্যাটো সামরিক জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিংবা এ অঞ্চলে তাদেরকে কোণঠাসা করার জন্য আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্যবিশ্ব ইউক্রেনকে বিপুল অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে। অন্যদিকে ন্যাটো জোটও যৌথ সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনে তাদের উপস্থিতি জোরদার করছিল।

মোটকথা, ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ইউক্রেনকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এমনকি আমেরিকার বি-৫২ বোমারু বিমানও কৃষ্ণ সাগর ও  রাশিয়ার খুব কাছ দিয়ে উড্ডয়ন করতো যেটাকে রাশিয়া হুমকি বলে মনে করতো। রাশিয়া এটাকে মস্কোর বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখতো। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়া উত্তেজনা ঠেকানোর জন্য ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য না করার এবং রুশ সীমান্তের কাছে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল। এমনকি রাশিয়া তাদের কাছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চেয়েছিল। কিন্তু ন্যাটো ও আমেরিকা রাশিয়ার ওই  আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ন্যাটো ও মার্কিন ওই নীতিরই প্রতিক্রিয়া মাত্র। ইরানের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হানিফ গাফ্ফারি মনে করেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, বর্তমান সংকটে শুধু যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একা পরাজিত হবেন তা নয় একইসঙ্গে ন্যাটোরও পরাজয় ঘটবে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।