‘যারা বিকল্প নিয়ে ভাবছেন তারা বোকার স্বর্গে রয়েছেন’
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই: বোরেল
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল। তিনি গতকাল (শুক্রবার) এক ব্লগ পোস্টে এ মন্তব্য করেন।ওই সমঝোতাকে জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন বা জেসিপিওএ বলা হয়।
বোরেল তার পোস্টে বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ করতে হলে জেসিপিওএ’র কোনো বিকল্প নেই।যারা এর কোনো বিকল্প নিয়ে চিন্তা করেন তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।” বোরেল আরো বলেন, ভিয়েনা সংলাপে এ পর্যন্ত অর্জিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তিনি জেসিপিওএ পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
ইউরোপের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, জর্দানের রাজধানী আম্মানে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় বাগদাদ সম্মেলনের অবকাশে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ‘দীর্ঘ বৈঠক’ করেছেন।
গত মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে ইরানের পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করার জন্য এতে স্বাক্ষরকারী অপর পক্ষগুলোকে ‘গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত’ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের স্থগিত হয়ে যাওয়া ভিয়েনা আলোচনা আবার চালু করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে কঠিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর গত বছরের এপ্রিল মাসে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সংলাপে বসে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু মার্কিন সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানালে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ভিয়েনা সংলাপ ভেঙে যায়। তারপর থেকে ওই আলোচনা স্থগিত রয়েছে। জোসেপ বোরেল ওই আলোচনা আবার শুরু করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৪