সামাজিক মাধ্যমে বিশ্লেষকদের মন্তব্য
'ন্যাটো পশ্চিমাদের অপরাধযজ্ঞের হাতিয়ার'
নর্থ আটলান্টিক সামরিক জোট বা ন্যাটোর নানা অপরাধযজ্ঞ কারো কাছেই গোপন নয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক বিশেষজ্ঞ আলফ্রেড দুজইয়াস ন্যাটোকে মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন।
পার্সটুডের এই রিপোর্টে আমরা ন্যাটোর হস্তক্ষেপকামিতা ও মোড়লিপনাসুলভ পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট নানা সংকটের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর কয়েকজন ইউজারের মন্তব্য তুলে ধরছি:
লুকিংলারনিং নামের একজন ইউজার ন্যাটোর অপরাধযজ্ঞ শীর্ষক পোস্টে লিখেছেন,
পরিস্থিতি বদলে গেছে, কিন্তু ন্যাটোর সশস্ত্র গ্যাং এবং তাদের প্রভুর অন্ধকূপগুলির মূল্যবোধ বদলায়নি, যুগোস্লাভিয়ার অপরাধ থেকে ইউক্রেন অঞ্চলে একটি মাংস পেষণযন্ত্র তৈরি করা পর্যন্ত এবং মাদক পাচার থেকে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার পর্যন্ত।
মাহদি এতেজাদি নামের অন্য একজন ইউজার ন্যাটো জোটকে ইঙ্গ-মার্কিন সরকারের অপরাধযজ্ঞের মাধ্যম বলে অভিহিত করে লিখেছেন,
যুগোস্লাভিয়ার ভাঙন,রোমানিয়ায় অভ্যুত্থান ও ইউক্রেনের ভেলভেট বিপ্লব এবং পোলিশ সলিডারিটি পার্টি এবং মিশর ও লিবিয়ায় এবং এখন গাজা ও ইউক্রেনে গণহত্যার জন্য এই তহবিলগুলি ক্রমাগত সরবরাহ করা হয়েছে। ন্যাটো ব্রিটিশ ও মার্কিন ডেমোক্রেটদের অপরাধযজ্ঞের হাতিয়ার। একদিন এইসব অপরাধের অবসান হবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের দু'টি শহরের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে রাশিয়ার কাছ থেকে ন্যাটো জোটের চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করে মিলাদ রেজায়ি নামের একজন ইউজার লিখেছেন:
গতকাল, দাগেস্তানে দুটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে এবং এটি দেখিয়েছে যে পশ্চিমের আধিপত্য বা তার সামরিক হাতিয়ার ন্যাটো, অনানুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া থেকে সন্ত্রাসী-কায়দায় চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে।
মোহাম্মাদ রেজা শেকোহিফার্দ নামের আরেকজন ইউজার মার্কিন সরকার ও ন্যাটোর যুদ্ধকামিতা সম্পর্কে লিখেছেন:
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার একটি বিনোদনমূলক সৈকতে আক্রমণ করেছে। এতে নিহত হয়েছে এ পর্যন্ত ৫ শিশুসহ দশ জন। এটা কি মার্কিন সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দৃষ্টান্ত নয়? বাইডেন ও ন্যাটো জোটে থাকা তার বন্ধুরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুন প্রজ্বলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
ন্যাটোর সন্ত্রাসী চরিত্র সম্পর্কে আরও একজন ইউজার লিখেছেন:
স্পষ্টতই, জনাব পুতিন অবশেষে ন্যাটো, ইসরাইল এবং আইএসআইএস সন্ত্রাসীদের মানবতার বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের টার্নিং পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। আমি আশা করি প্রিয় হাজ কাসেম সোলাইমানির আন্তরিক পরামর্শ, যিনি প্রতিবেশীদের কাছে এবং বন্ধু রাশিয়ার কাছে বাস্তব কূটনীতি দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত হবে।
মাহমুদ রেজায়ি নামের একজন ইউজার ন্যাটোর দুর্বলতা ও অক্ষমতা সম্পর্কে লিখেছেন:
ইসরাইল, পশ্চিমা শক্তি এবং ন্যাটো যুদ্ধ লাগলে লড়াইয়ের সাহস রাখে না, তাই আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ তাদের একমাত্র কাজ। ন্যাটোর বিমান বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করা মানে তাদের পরাজয়, ইউক্রেনে ন্যাটোর পরাজয় তাদের জন্য বড় ধাক্কা।
পার্সটুডে/এমএএইচ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।