পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর নতুন কমান্ড সেন্টার
মুসলিম দেশগুলো মিলে ‘যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর’ গঠন করুন: ইরানের আহ্বান
-
ড. আলী লারিজানি
পার্সটুডে: ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উচ্চ পরিষদের সদস্য সচিব ড. আলী লারিজানি ইসলামী দেশগুলোকে 'যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর' গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি এক বার্তায় সতর্ক করে বলেছেন, ইসলামি সম্মেলন সংস্থার বৈঠকগুলো যদি কেবল বক্তৃতা নির্ভর হয় এবং কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত না আসে (যেমন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকগুলো), তবে সেটি কার্যত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নতুন আগ্রাসনের জন্য অর্ডার করার সমতুল্য!
বার্তা সংস্থা ইসনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আলি লারিজানি তার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন:
“অন্তত এই উন্মাদ শাসনের (ইসরায়েল) বিরুদ্ধে একটি ‘যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর’ গঠন করুন। এই একটি সিদ্ধান্তই ওই শাসনের প্রভুদের উদ্বিগ্ন করবে এবং তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নোবেল পুরস্কারের আশায় তড়িঘড়ি করে তাদের নির্দেশনা পরিবর্তন করবে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন: আপনি ক্ষুধার্ত ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য কিছুই করেননি, অন্তত নিজেদের ধ্বংস রোধ করার জন্য সামান্য একটি সিদ্ধান্ত নিন!
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর নতুন কমান্ড সেন্টার
রাশিয়ার ড্রোন কর্তৃক পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগের পর, ন্যাটোর মহাসচিব পূর্ব ইউরোপে একটি নতুন কমান্ড সেন্টার গঠনের ঘোষণা দেন। মার্ক রুটে শুক্রবার ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন:
“আমাদের পূর্ব ফ্ল্যাঙ্কে রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণ ক্রমেই বাড়ছে। আমরা রোমানিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ায় ড্রোন দ্বারা নাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘন দেখেছি—সেটি ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত—এসব পদক্ষেপ বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য।”
তিনি জানান, ন্যাটোর মূল দায়িত্ব হচ্ছে আগ্রাসন ঠেকানো এবং সব সদস্যকে হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করা। তাই আজ ন্যাটো পূর্ব কমান্ড সেন্টার চালু করছে, যাতে পূর্ব ফ্ল্যাঙ্কে অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।
আফগান তালেবানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি
আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বেড়ে যাওয়ায় ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে উত্তেজনা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় আফগান সরকারকে সতর্ক করে বলেন, যদি তারা নিজেদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে ইসলামাবাদ আর ধৈর্য ও সহযোগিতা দেখাবে না।
শনিবার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দির জেলায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দুই দফা সংঘর্ষে পাকিস্তানি সেনাদের ১৯ জন নিহত হয় এবং অন্তত ৪৫ জন তালেবান পাকিস্তানি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

ইরানি হামলায় “অপূরণীয় ক্ষতি” স্বীকার করল ইসরাইলিরা
দখলকৃত ভূখণ্ডে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট-এর বৈজ্ঞানিক পরিষদের প্রধান স্বীকার করেছেন যে, ইরানের ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ১২ দিনের যুদ্ধের সময় তাদের ৫০টি ল্যাবরেটরিতে বিপুল ও অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বহু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন তাদের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক-একাডেমিক ক্ষেত্রে ইসরাইলকে বয়কট করছে।
গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে গাজায় আগ্রাসনে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমানসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও বৈজ্ঞানিক সংগঠন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে।
এক ইংরেজি দৈনিক উল্লেখ করেছে, গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ইসরাইলি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ: ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সিয়ারা গত বছর ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি উদ্ভাবনমূলক সম্মেলন বাতিল করে। নরওয়ে, বেলজিয়াম ও স্পেনের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আয়ারল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন এ গ্রীষ্মে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি বন্ধ করেছে। ইউরোপীয় মানববিজ্ঞানীদের সমিতি ঘোষণা করেছে যে, তারা ইসরাইলি একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর কোনো সহযোগিতা করবে না এবং তাদের সদস্যদেরও এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৪