ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর জনসাধারণের আস্থার নজিরবিহীন ধস
-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
পার্সটুডে-একটি নতুন জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্টের আমলে অর্থনৈতিক জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবচেয়ে সংকটপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন।
বর্তমানে শতকরা ৫৫ ভাগ মার্কিন নাগরিক তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী।
২০২৪ সালের অক্টোবরে পরিচালিত সিএনবিসি'র জরিপ অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার জনপ্রিয়তার রেটিং ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে এবং ৫৫ শতাংশই তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে ট্রাম্প জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে শতকরা ১৩ ভাগ নেতিবাচক প্র্যায়ে রয়েছেন, যা রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার দুই মেয়াদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিকেই তুলে ধরে।
ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে জনপ্রিয়তার এই পতন একেবারেই স্পষ্ট। মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় পরিচালনায় ট্রাম্পের কর্মতৎপরতাকে শতকরা মাত্র ৩৪ ভাগ মার্কিন নাগরিক সমর্থন করে এবং শতকরা ৬২ ভাগ বিরোধিতা করে। তার নতুন শুল্ক নীতিগুলোর ক্ষেত্রেও ৫৬ শতাংশ মার্কিন জনগণ অসম্মত। অর্থনীতি সম্পর্কে জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গিও অন্ধকারে রয়েছে, মাত্র শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ অর্থনীতিকে "ভালো" বা "চমৎকার" হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
চাকরির বাজারে অর্থনৈতিক উদ্বেগও ছড়িয়ে পড়েছে। এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কর্মী আগামী বছর বেকারত্বের আশঙ্কা করছেন, যা ২০২২ সালের পর সর্বোচ্চ। বেকারত্বের হারও ৪.৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বিগত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন: জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সরকারি অচলাবস্থার চেয়েও জনসাধারণের অবিশ্বাসের ওপর বেশি প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও, ৫৩ শতাংশ মানুষ সরকারী অচলাবস্থার মতো অর্থনৈতিক এই পরিণতির জন্য কংগ্রেসে রিপাবলিকান এবং রাষ্ট্রপতিকে দায়ী করেছেন। জনপ্রিয়তার এই ধস ২০২৬ সালে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।