আমেরিকা কি অর্থনৈতিক নীতি-কৌশলের মাধ্যমে মিত্রদের জিম্মি করে রেখেছে?
-
পিটোফিক ঘাঁটি পরিদর্শন করছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভেন্স
পার্সটুডে- ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিত্রদের ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহারের অভিযোগ করেছে।
গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা তাদের বার্ষিক রিপোর্টে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পার্সটুডে'র রিপোর্ট অনুযায়ী, ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমেরিকা তার অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তি ব্যবহার করে তার ইচ্ছা মিত্রদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এমনকি তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
রিপোর্টের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, আর্কটিক অঞ্চলে বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী এই অঞ্চলের প্রতি আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। বিশেষকরে গ্রিনল্যান্ডের প্রতি আমেরিকার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এই ধরনের আগ্রহ সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিসহ গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি এবং ডেনমার্কের রাজতন্ত্রের বিভিন্ন সেক্টরে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গ্রিনল্যান্ড এখনও ডেনমার্কের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
রিপোর্টে আরও সতর্ক করা হয়েছে, আর্কটিক অঞ্চলে বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়া ডেনমার্কের জন্য একটি গুরুতর হুমকি, কারণ এর আগে ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডকে একটি উপনিবেশ হিসেবে পরিচালনা করত; এখনও এর পররাষ্ট্রনীতি এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করে ডেনমার্ক।
গত সপ্তাহে, "জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল" শীর্ষক একটি নতুন সনদ প্রকাশিত হয়েছে, যা ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি ভূমিকা দিয়ে শুরু হয়েছে। এই সনদে দাবি করা হয়েছে, আগামী দুই দশকে ইউরোপ অভিবাসন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একীভূতকরণের কারণে 'সাংস্কৃতিক বিলুপ্তি'র সম্মুখীন হবে এবং আমেরিকাকে ইউরোপের বর্তমান প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ইচ্ছা বারবার প্রকাশ করায় এমন আশঙ্কা ও উত্তেজনা বেড়েছে।
এ বছরের শুরুর দিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনকালে অভিযোগ করেছিলেন যে, ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডে দায়িত্ব পালন করতে অপারগ। এছাড়া আগস্ট মাসে গ্রিনল্যান্ডে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ ওঠার পর ডেনমার্ক আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে, ডেনমার্ক সরকার এমন একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে যার নাম "নাইট গার্ড"। এই সংস্থা অফিসের সময়ের বাইরে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত মন্তব্য ও কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করবে।#
পার্সটুডে/এসএ/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন