নর্থ-সাউথ করিডর প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করল ইরান, রাশিয়া, আজারবাইজান
-
ইরান, রাশিয়া ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট
উত্তর-দক্ষিণ ট্রানজিট করিডর প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শেষ হয়েছে ত্রিদেশীয় সম্মেলন। ঐতিহাসিক এ সম্মেলনে অংশ নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় উত্তর-দক্ষিণ ট্রানজিট করিডর প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এ করিডর নির্মিত হলে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের দ্রুত ও কার্যকরী বাণিজ্যিক সংযোগ গড়ে উঠবে। এ ধরনের করিডর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ব্যাপক আর্থিক সুবিধা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনে তিন প্রেসিডেন্ট গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ট্রানজিট করিডর প্রতিষ্ঠায় নিজেদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডর বলতে ভারত, রাশিয়া, ইরান, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ভেতরে পণ্য বিনিময়ের জন্য নদীপথ, রেল এবং সড়কপথকে বোঝানো হয়েছে। মুম্বাই, মস্কো, তেহরান, বাকু, বন্দর আব্বাস, আস্ত্রাখান ও বন্দর আঞ্জালির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর-বন্দরের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ বাড়ানোই এ করিডরের উদ্দেশ্য। এ করিডর ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ভারত থেকে উত্তর ইউরোপ ও স্ক্যান্ডানেভিয়ান দেশগুলো পর্যন্ত বাণিজ্য বিস্তৃত করবে।
ইরান, রাশিয়া ও ভারতের পাশাপাশি ট্রানজিট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে আরমেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, ইউক্রেন, তুরস্ক, তাজিকিস্তান, ওমান, সিরিয়া ও বুলগেরিয়া। ২০১৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে এ করিডর চালু করা হয় এবং ভারতের মুম্বাই থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে আস্ত্রাখান ও বাকুতে পণ্য পরিবহণ করা হয়। তখন দেখা গেছে ১৫ টনের প্রতিটি কার্গো পরবিহণে ২,৫০০ ডলার ব্যয় কম লাগছে।
তিন প্রেসিডেন্টের এ সম্মেলনে উত্তর-দক্ষিণ করিডর প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একটি মৌলিক ইস্যু হিসেবে আলোচিত হয়েছে। এ করিডর প্রতিষ্ঠা হলে এর দূরত্ব হবে ৭,২০০ কিলোমিটার।
সম্মেলনে তিন প্রেসিডেন্ট এ এলাকায় প্রকৃতিক গ্যাসের কারখানা গড়ে তোলার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য রাজি হয়েছেন। এছাড়া ইরান, রাশিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যে প্রচেষ্টা চলছে তার প্রতিও তিন প্রেসিডেন্ট সমর্থন দেন। এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে এ প্রচেষ্টা অবদান রাখবে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। এর পাশাপাশি ব্যাংকিং ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিশেষ করে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য নতুন প্রযুক্তি আনার জন্য আলোচনা হয়।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/৯