দূতাবাস স্থানান্তরে পিছু হটলেন 'ব্রাজিলের ট্রাম্প'! হতাশ ইসরাইল!
ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো ইহুদিবাদী ইসরাইল সফর করেছেন। উগ্রবাদী ও কট্টর ইসরাইলপন্থী জায়েরকে অনেকেই বলেন 'ব্রাজিলের ট্রাম্প'।
ট্রাম্পের অনুসরণ করে জায়ের চলতি বছরের প্রথম দিকে বলেছিলেন, ব্রাজিলও আল-কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তার দূতাবাস তেলআবিব থেকে আল-কূদসে সরিয়ে নেবে। মার্কিন সরকার গত বছরের ১৮ মে মার্কিন দূতাবাসকে তেলআবিব থেকে আল-কুদসে সরিয়ে আনে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট তার দেশে ফিলিস্তিনের দূতাবাসও বন্ধ করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। জায়ের গত গ্রীষ্মকালে বলেছিলেন, ফিলিস্তিন কি একটি দেশ যে এখানে তার দূতাবাস থাকতে হবে?
কিন্তু জায়ের যতটা গর্জেছেন ততটা বর্ষণ করতে পারেননি। গতকাল (রোববার) ইসরাইল সফরে এসে তিনি আল-কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাসে ব্রাজিলের একটি বাণিজ্য-দপ্তর খুলেছেন এবং গোটা দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি স্থগিত রেখেছেন। যদিও ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ওই বাণিজ্য-দপ্তর ব্রাজিলের দূতাবাসেরই অংশ। জায়ের ইসরাইল সফরের আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই ছিল জায়েরের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
সম্প্রতি ট্রাম্প সিরিয়ার গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্বকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ধিক্কার ও নিন্দা কুড়িয়েছেন। তাই জায়েরও বিশ্বব্যাপী ধিক্কার ও নিন্দা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিবেচনা মাথায় রেখে ইসরাইলের ব্যাপারে ট্রাম্পের অনুসরণের ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জায়ের এটাও হয়তো দেখেছেন যে ছোট দু-একটি দেশ ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশই মুসলমানদের প্রথম কেবলার শহর বায়তুল মুকাদ্দাস বা আলকুদসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরেরও পদক্ষেপ নেয়নি।
ট্রাম্পের অতি-ইসরাইল-বান্ধব পদক্ষেপগুলোকে অনেকেই আগুন নিয়ে খেলার শামিল বলে মনে করছেন। ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিল্টন মুরায়ো গত ফেব্রুয়ারি মাসে বলেছিলেন, তার দেশের দূতাবাস আলকুদসে স্থানান্তরের চিন্তাটি অনুপযুক্ত ও খারাপ ধারণা এবং এর ফলে আরব বিশ্বে ব্রাজিলের গোশত রপ্তানির ওপর আঘাত আসবে। আরব বিশ্বে গোশত রপ্তানি করে ব্রাজিল বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার আয় করে। #
রেডিও তেহরান/মুহাম্মাদ আমির হুসাইন/১