ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন প্রশাসন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i80234-ইরানের_পরমাণু_কর্মসূচির_ওপর_আবার_নিষেধাজ্ঞা_দিল_মার্কিন_প্রশাসন
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর জন্য নিষেধাজ্ঞায় থাকা ছাড় প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় থাকায় এতদিন চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থেকেই এসব প্রকল্পে কাজ করতে পারত।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২৮, ২০২০ ১০:৫৪ Asia/Dhaka
  • মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর জন্য নিষেধাজ্ঞায় থাকা ছাড় প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় থাকায় এতদিন চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থেকেই এসব প্রকল্পে কাজ করতে পারত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার রাতে এক টুইটার বার্তায় এ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এখন থেকে ৬০ দিন পর এই ঘোষণা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করায় এই ছাড় প্রত্যাহার করা হলো।  

আরেক টুইটার বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের দু’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানান।  পম্পেও ইরানি বিজ্ঞানীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘মাজিদ আগায়ি’ ও ‘আমজাদ সাযেগার’ নামের দু’জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার শাসনামলে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠী ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করে। ওই সমঝোতার ভিত্তিতে ইরানের ওপর জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং বিনিময়ে তেহরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আরোপ করে।

২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ওই সমঝোতার বাস্তবায়ন শুরু হলেও বারাক ওবামা প্রশাসন তখন থেকেই এটি থেকে ইরান যাতে পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে না পারে সেজন্য নানা টালবাহানা শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই এই সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ার হুমকি দিতে থাকেন এবং ২০১৮ সালের ৮ মে সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেন।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

তিনি জাতিসংঘের প্রস্তাব লঙ্ঘন করে আমেরিকাকে এ সমঝোতা থেকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সারা বিশ্ব ট্রাম্পকে এ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালেও দাম্ভিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কারো কথা শোনেননি।  এরপর থেকে মার্কিন প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াতে থাকে যার ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।