কথাবার্তা
দেশে দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ভাবাচ্ছে সরকারকে, রিজার্ভ কমছে
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি গাজী আবদুর রশীদ শুরু করছি ১২ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসর। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- জনগণের ‘মুরগি’ বনাম সরকারি ‘শিয়াল’ -প্রথম আলো
- গুদামে মিলল ১ লাখ ৬৭ হাজার লিটার তেল-যুগান্তর
- নতুন প্রধানমন্ত্রী এই সপ্তাহেই: শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট-ইত্তেফাক
- বিলাসপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ, কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ/ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা, ব্যয়ে লাগাম টানছে সরকার-মানবজমিন
- টিআইবির গবেষণা-তিন বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি-কালের কণ্ঠ
- রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার ইচ্ছা কমে যাচ্ছে: জেলেনস্কি -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- ফের টাকার দামে রেকর্ড পতন, ধস নামল শেয়ার বাজারেও-সংবাদ প্রতিদিন
- ক্ষমতার অপব্যবহারেই মমতাকে পুরস্কার, আকাদেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ, চিঠি বাম বিশিষ্টদের -আনন্দবাজার পত্রিকা
- অভিষেক, রুজিরাকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধা কোথায়?’ শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ইডি আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
নতুন প্রধানমন্ত্রী এই সপ্তাহেই: শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট-ইত্তেফাক
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করবেন। এর পাশাপাশি সংবিধানের ১৯তম সংশোধন চালু করা হবে। পার্লামেন্টকে আরো ক্ষমতা দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্টের ঘোষণা, তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বলবেন। দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা যাতে থাকে, সেটা তিনি নিশ্চিত করবেন। জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণের নিন্দা করেছেন।
শ্রীলঙ্কায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য হটলাইন চালু করেছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
ইউক্রেন রাশিয়া –সংঘাত নিয়ে ইত্তেফাকের কয়েকটি খবর: ল্যাভরভ বলেছেন ইউরোপে যুদ্ধ চায় না রাশিয়া। আর গ্যাস নিয়ে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা ছাড়া রাশিয়ার যথেষ্ট জ্বালানি ক্রেতা আছে। এদিকে গ্যাস নিয়ে জার্মানিকে চাপ দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন বলেছে রাশয়ার ২৬ হাজার ৩৫০ সেনা নিহত হয়েছে।
সিরিয়া সংকট
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কি সিরিয়ায় সংকট বাড়াবে? এ শিরোনামের খবরে দৈনিটি লিখেছে, ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইইউ। নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা রাশিয়া তাই চরম অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কায়। এর প্রভাবে সিরিয়ায় কি তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে?
ইইউর আয়োজনে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দাতাদের ষষ্ঠ সম্মেলন হয়ে গেল। সেখানে ইইউর বিদেশ নীতি বিভাগের প্রধান ইয়োসেপ বোরেল সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার নব্বই ভাগ মানুষই এখন দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে। বোরেলের আশঙ্কা, ইউক্রেনের দিকে সবার মনযোগ চলে যাওয়ায় সিরিয়ার সংকটের বিষয়টি আড়ালে চলে যেতে পারে এবং সেরকম হলে তার ফলাফল সিরিয়ার জন্য খুব ভয়াবহ হবে।
বিলাসপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহ, কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা, ব্যয়ে লাগাম টানছে সরকার-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,
দেশে দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ভাবাচ্ছে সরকারকে। রিজার্ভ কমছে। টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়ছে। এমন অবস্থায় সতর্কতার অংশ হিসেবে সরকারি ব্যয়ে লাগাম টানার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিলাস পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জরুরি ছাড়া নতুন প্রকল্প না নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেছেন, ব্যয় সংকোচন নীতি আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও তা নেয়া হচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
সরকারি সূত্র বলছে, যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের সম্পর্ক রয়েছে এবং প্রকল্পটি এখনই বাস্তবায়ন জরুরি নয়, সেসব প্রকল্প ৬ মাস বা আরও পরে বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের অনুমোদন না দিতেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালও সরকারি ব্যয় সংকোচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক সময় চলছে। এই সময়ে অহেতুক ব্যয় করতে চাইছে না সরকার। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ে সরকার সতর্ক। এজন্য বিলাসী পণ্যের আমদানিও যাতে কম হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বেড়ে গেছে বলে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে অনুমতি দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারি কর্মকর্তাদের এখন থেকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে বিশেষ কোনো প্রয়োজন হলে অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশ যেতে পারবেন। এখন যারা বিদেশ যাচ্ছেন তাদেরকে আগেই অনুমতি দেয়া হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে কাউকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম সতর্কতা: কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানি নির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, সময়ে সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা এতদিন যেভাবে চলছিলাম, সারা বিশ্বের যে অবস্থা, তাতে লাগাম টেনে ধরতে হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের যে সামগ্রিক অবস্থা, তা বিবেচনায় নিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হওয়ায় রিজার্ভে টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিলাস দ্রব্যের আমদানি কমাতে চাইছে সরকার।
ব্যয়ের লাগাম টানছে সরকার: আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের ঘাটতি ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবারও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারেই এখন এক ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে। ওদিকে দেশের ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে ৯২ থেকে সাড়ে ৯২ টাকায়। খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৩ টাকায়।
মহামারি করোনার প্রভাব আপাতত নেই। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ চাপ সামলাতে নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে সরকার। সরকারি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে এই দু’টি বিষয়ে খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বিলাস পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি: ইতিমধ্যে আমদানি ব্যয় কমাতে বিলাস পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১১ই এপ্রিল জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সকল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ এলসি মার্জিন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার সে নির্দেশনায় পরিবর্তন এনে সব ধরনের গাড়ি, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানির এলসি খুলতে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সকল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মার্জিন রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যবসায়ী বা ব্যক্তি ১ কোটি টাকার একটি গাড়ি আমদানি করতে চাইলে তাকে ৭৫ লাখ টাকা নগদ দিতে হবে। বাকি ২৫ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ দিয়ে এলসি খুলবে।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সতর্কতা: সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে আমদানি। রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। এতে চাপ পড়ছে রিজার্ভে। আর ডলার সংকটে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই মুদ্রার দাম যাচ্ছে বেড়ে। এতে খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেশে আনার ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে। এটিও পণ্যমূল্য বৃদ্ধির একটি কারণ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৬ হাজার ১৫২ কোটি ৪০ লাখ (৬১.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩.৮৬ শতাংশ বেশি। তবে রপ্তানি বাণিজ্যে গত ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫.১৪ শতাংশ বেশি।
জরুরি ছাড়া প্রকল্প না নেয়ার নির্দেশনা: ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয় রয়েছে এবং এখনই বাস্তবায়ন জরুরি নয় সেগুলো পরে বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার এই অস্বাভাবিক সময়টি ম্যানেজ করার জন্য যা করা প্রয়োজন, তাই করছে। বিষয়টি সহজ। সময় যখন কঠিন, সিদ্ধান্তও কঠিন নিতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। বিশ্বের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। যতদিন বহির্বিশ্বে অস্থিরতা থাকবে ততদিন এ ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে কঠিন মানে এমন নয় যে, সবকিছু বন্ধ করে ফেলা হবে।
রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: আমদানি বাড়ায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন (৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের নিচে নেমে এসেছে। আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) রেকর্ড ২২৪ কোটি (২.২৪ বিলিয়ন) ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ২৪শে আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সবুজ (স্বস্তিকর) অবস্থানে আছে। এটি ধীরে ধীরে হলুদ অবস্থানে (অস্বস্তিকর) যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, জাপানসহ প্রথাগতভাবে যারা কম সুদে ঋণ দিতো, তারাও এখন তুলনামূলক বেশি সুদ নিচ্ছে। সুতরাং স্বস্তির জায়গাটা কমে আসছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য মনে করেন, সরকারি দায়-দেনা পরিস্থিতি পাঁচ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যেমন বিনিময় হারের ঝুঁঁকি বাড়ছে, অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বাড়ছে, বিদেশি ঋণের সুদের হার বাড়ছে, উচ্চমূল্যে প্রকল্প নেয়া ও প্রকল্পের অর্থনৈতিক সুবিধা হ্রাস পাওয়া।
গুদামে মিলল ১ লাখ ৬৭ হাজার লিটার তেল-যুগান্তর
খুলনায় এক লাখ ৬৭ হাজার লিটার সয়াবিন ও পামওয়েল মজুদ রাখার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে র্যাব-৬ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব জানায়, খুলনার বড়বাজার এলাকার সিটি ব্যাংক গলিতে দুটি প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৬৭ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েল অতিরিক্ত মজুত করে রাখা হয়। পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দুটি প্রতিষ্ঠানের ৬টি গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় দুই প্রতিষ্ঠানকে।অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক।
টিআইবির গবেষণা
তিন বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি-কালের কণ্ঠ
দুটি কয়লাভিত্তিক এবং একটি এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে জমি কেনা, অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মোট ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশাল ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি হয়েছে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার। চট্টগ্রামের বাঁশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৫৫ কোটি টাকা এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ৬০০ মেগাওয়াট এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ক্ষমতার অপব্যবহারেই মমতাকে পুরস্কার, আকাদেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ, চিঠি বাম বিশিষ্টদের-আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলা আকাদেমির এই পুরস্কার দেওয়ার পরের দিনই ইস্তফা দিয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির বাংলা ভাষা বিষয়ক উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস।দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস, রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ বার সরব হলেন বাংলার বিশিষ্টজনেদের আরও একটি অংশ। তাঁদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কৃত করায় বাংলা আকাদেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান মঞ্চে সমাজের বিভিন্ন স্তরে কাজের পাশাপাশি ‘নিরলস সাহিত্য সাধনা’র জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ‘পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। তারই বিরোধিতায় খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের সম্পত্তি। জনসাধারণের কাছে সরকার দায়বদ্ধ আকাদেমির কার্যকলাপ পরিচালনার বিষয়ে।’মমতার স্বীকৃতির বিরোধিতা করে স্বাক্ষরকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাবে পুরস্কার দেওয়া হল, তাতে সরকারি ক্ষমতার গুরুতর অপব্যবহার হয়েছে।
ফের টাকার দামে রেকর্ড পতন, ধস নামল শেয়ার বাজারেও-সংবাদ প্রতিদিন
ভারতীয় অর্থনীতির রক্তক্ষয় অব্যাহত। ফের একদিনে জোড়া ধাক্কা খেল দেশ। মার্কিন ডলারের (US Dollar) তুলনায় ফের রেকর্ড পতন হল টাকার দামে। একই সঙ্গে বড়সড় ধাক্কা খেল শেয়ার বাজারও।শুধু টাকার দর নয়, এদিন সকালে রেকর্ড হারে পতন ঘটেছে শেয়ার বাজারেও। এদিন সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেনসেক্সের (Sensex) সূচক পড়ে যায় ৯০০ পয়েন্ট।বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। তেল আমদানি করার জন্য ডলারের চাহিদা বাড়ছে। বিদেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অস্থির হওয়ার জন্যই ভারতীয় টাকার মূল্যের ওপর এতটা প্রভাব পড়ছে।
অভিষেক, রুজিরাকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধা কোথায়?’ শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ইডি-আজকাল
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে? কয়লা পাচার মামলায় শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ইডি।
আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ মে। কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। কয়েকবার হাজিরাও দিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে দিল্লিতে এসে হাজিরা দিতে পারেননি রুজিরা। ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যান সাংসদ। দাবি ছিল, কলকাতায় জেরা করা হোক। হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডিও। দিল্লির উচ্চতর আদালতের রায় ইডির পক্ষেই যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সাংসদ। সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আদালতকে গোটা বিষয়টি জানানোর পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে সমস্যা কোথায়?’ শীর্ষ আদালত বলেছে, কলকাতায় অভিষেক–রুজিরার কর্মস্থলে গিয়ে জেরা করতেই পারে ইডি। প্রয়োজন হলে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতাও নিতে পারে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২