কথাবার্তা
রাশিয়াকে জেলেনস্কির হুঁশিয়ারি: আন্দোলন থামবে না - ইমরান খান
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৮ জুন বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- লেকের পাড়ে গণমাধ্যমকর্মীর লাশ, গলা-বুকে ছুরির আঘাত-প্রথম আলো
- সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ-আগুনে পোড়ালে কিছু থাকে, মানুষে পোড়ালে কিছুই রাখে না-মানবজমিন
- আসন সীমানা পুনর্বিন্যাসের তথ্য চেয়ে ডিসিদের কাছে চিঠি-যুগান্তর
- ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালে ডুবে আছে চট্টগ্রাম বন্দর। -ইত্তেফাক
- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নাশকতার শঙ্কা-কালের কণ্ঠ
- রাশিয়াকে জেলেনস্কির হুঁশিয়ারী-বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া বিহারে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাসের মধ্যে গণধর্ষণ নাবালিকাকে-সংবাদ প্রতিদিন
- মহম্মদকে নিয়ে ফের আপত্তিকর টুইট! গ্রেপ্তার বিজেপির যুব নেতা-আজকাল
- আপনারা ভাল থাকলে আমিও ভাল, আপনারা খারাপ থাকলে আমি কোথায় যাব: মমতা- আনন্দবাজার পত্রিকা
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির ফলোআপ খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও ইত্তেফাকের কয়েকটি শিরোনাম তুলে ধরছি। সীতাকুণ্ড আগুন বিস্ফোরণ-লাইভ করতে গিয়ে ৮ জনের প্রাণ গেল। দগ্ধ আরও একজনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক কর্মী মারা গেছে। সীতাকুণ্ড আগুন বিস্ফোরণে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সীতাকুণ্ডে এখন চলছে ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ। ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালে ডুবে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।
সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ-আগুন পোড়ালে কিছু থাকে মানুষে পোড়ালে কিছুই রাখে না-মানবজমিনে
তারিক চয়ন তার এ কলামে লিখেছেন সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি নিয়ে। তবে শুরু করেছেন কবি হেলাল হাফিজের কবিতা দিয়ে শেষও করেছেন তাঁর কবিতা দিয়ে। মানবানল কবিতাটির শেষাংশ এরকম-আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে, কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই। মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না, কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।’ পরিশেষে আবেদন শুধু এটুকুই, আমরা মানুষ হয়ে মানুষ না পোড়াই। সীতাকুণ্ড আগুন বিস্ফোরণ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়েছে, কার গাফিলতিতে গেল এতগুলো তরতাজা প্রাণ? শনিবার রাতে আগুন লাগলেও রোববার দুপুরেও সেখানে আসেননি ডিপোর মালিক বা কোনো কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসন দাবি করেছিল: ডিপোতে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’-এর বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে। সে কারণে আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটানোর মতো ক্ষমতা ডিপোতে মজুত ‘নিরীহ’ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নেই বলে অনেকে দাবি করলেও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে অনেকের ঘরের কাঁচের দরজা-জানালা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার নেপথ্যে আসলেই কি ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দায়ী সেটা জানতে আগ্রহী কিন্তু সবাই। তবে, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অন্য কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মজুতের অনুমতি যে ছিল না সেটা ইতিমধ্যেই খোলাসা হয়ে গেছে।
ঠিক কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন এতটা বেপরোয়া হয়েছিল সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যখন রহস্য দানা বাঁধছে তখন অনেকেই আবার ‘আগুন কে ধরিয়েছে’ তা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দাঁড় করাচ্ছেন। সরকার এবং বিরোধী দল একে অপরের দিকে সন্দেহের বন্দুক তাক করছে। বলাইবাহুল্য, এদেশের রাজনীতিবিদদের প্রায়ই তাদের প্রতিপক্ষকে ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’ বলে সতর্ক করতে এবং হুমকি দিতে দেখা যায়।
আমরা বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। তাদের দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করছি। নিহতদের পরিবার এবং আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। নিহত অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার ‘কোষাধ্যক্ষ’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে পড়ার পেছনে ডিপোর মালিকপক্ষের দুর্নীতি এবং উদাসীনতার কথা ঘুরেফিরে বারবার সামনে চলে আসছে। এমন ভয়াবহ ঘটনার জন্য মুজিবুর রহমান যেকোনোভাবেই দায়ী থাকলে রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষা করে তার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে আইনানুগ শাস্তি প্রদানেরও দাবি জানাচ্ছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নাশকতার শঙ্কা-বললেন ওবায়দুল কাদের। কালের কণ্ঠের এ খবরে লেখা হয়েছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে নাশকতার ষড়যন্ত্রের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর তাই উদ্বোধনের দিন দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৮ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে।জানি না চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপো তারই একটা অংশ কি না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে নাশকতা করার ষড়যন্ত্র আছে। ষড়যন্ত্র আছে উদ্বোধনী দিন একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য। তারা কিন্তু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোনো অন্তর্ঘাত করতে না পারে।
লেকের পাড়ে গণমাধ্যমকর্মীর লাশ, গলা-বুকে ছুরির আঘাত-প্রথম আলো
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার পুলিশ কনকর্ড প্লাজা–সংলগ্ন লেকের পাড় থেকে মো. আবদুল বারী (২৭) নামের এক গণমাধ্যমকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গুলশান থানার পুলিশ জানিয়েছে, আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে আবদুল বারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলা ও বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আবদুল বারী বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি নিউজে প্রযোজক (প্রডিউসার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের ধারণা, তাঁকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
৯৫ শতাংশ শিশু ঘরেই নির্যাতনের শিকার-জরিপ রিপোর্ট- ইত্তেফাক
জন শিশু নির্যাতিত হচ্ছে নানাভাবে। শিশুরা পরিবারে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয় বাবা-মা ও অভিভাবকদের হাতে। শাস্তি ও নিয়মানুবর্তিতার কথা বলে শিশুর ওপর এই নিপীড়ন চালানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরের বাইরে, কাজের জায়গা বা অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানে শিশু যতটা নির্যাতিত হচ্ছে, এর চেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নিজ গৃহে। প্রতিবন্ধী শিশুরাও শুধু প্রতিবন্ধিতার কারণে পরিবারে ও সমাজে নিগৃহীত হচ্ছে। এছাড়া পর্নোগ্রাফিতে শিশুদের প্রবেশাধিকারের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৯৫ দশমিক তিন জন শিশু জানিয়েছে, তারা জীবনের কোনো না কোনো সময় ঘরে, বাইরে, স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৯৬ দশমিক দুই জন মেয়ে এবং শতকরা ৯৪ দশমিক পাঁচ জন ছেলে।
দৈনিক মানবজমিন লিখেছে, আন্দোলন করলে আমও যাবে ছালাও যাবে। এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি গার্মেন্ট শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। তৈরি পোশাক খাত অস্থির করতে কারা উস্কানি দিচ্ছে সেটা দেখতে হবে। তিনি বলেন, আন্দোলন করে, ঠিক আছে। কিন্তু যেসব দেশ আমাদের তৈরি পোশাক কিনবে। আমরা ভালো সুবিধা পাচ্ছি। উৎপাদন বাড়ছে। এ সমস্ত শ্রমিকদের বেতন তো বন্ধ হয়নি। আমরা তো নিজেরা প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। মালিকদের বলে কয়েক দফায় বেতন বাড়িয়ে, ভর্তুকি দিয়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা যাতে বেতনটা সরাসরি পায়, সেই ব্যবস্থাও করেছি। তিনি আরও বলেন, আজকে বেতন বাড়াও, এটা সেটাসহ নানা ধরনের আন্দোলন করতে যায়। পোশাক রপ্তানি যদি বন্ধ হয়, তাহলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ‘আমও যাবে, ছালাও যাবে’। বেতন আর বাড়বে না, তখন চাকরিই চলে যাবে। তখন কি করবে? যে নেতারা উস্কানি দিচ্ছে তারা কাদের প্ররোচনায় উস্কানি দিচ্ছে সেটাও একটু ভেবে দেখতে হবে।
সরকার যা ইচ্ছা করুক, আন্দোলন থামাবে না পিটিআই: ইমরান-মানবজমিন
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার তিনি বলেন, সরকার তার কর্মীদের জেলে পুরতে থাকলেও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যত কৌশলই নেয়া হোক না কেনো সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই’র আন্দোলন বন্ধ হবে না।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: পশ্চিমা গণমাধ্যমের সুর পরিবর্তন-মানবজমিন
যুদ্ধে রাশিয়া কীভাবে ইউক্রেনের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো সমানে তা প্রচার করে গেছে। পাশাপাশি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া কেমন বিপর্যয়ে পড়েছে তাও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। তবে যুদ্ধ যত পুরোনো হচ্ছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের লেখায়ও বেশ বড় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা কী আদৌ কাজ করছে? প্রধান মিডিয়াগুলোই এখন বলছে, রুশ অর্থনীতি আঘাতপ্রাপ্ত হলেও সেটি মোটেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না, বরঞ্চ পশ্চিমা দেশগুলোও এখন ভুগতে শুরু করেছে।কিন্তু পশ্চিমাদের পরিকল্পনা কাজ করছে না। বরঞ্চ পরিস্থিতি উল্টো তাদের জন্য খারাপ হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা যে কাজ করছে না তার প্রমাণ হিসেবে এলিয়ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইউক্রেনকে রকেট পাঠানোর ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হওয়ায় পশ্চিমাদের সামনে এখন একমাত্র আশা, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি দেয়া হলে হয়তো রাশিয়া পিছু হটতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক যুদ্ধে যা অর্জন করা সম্ভব হয়নি, সেটি অর্জনে এখন সামরিক পথ বেছে নিচ্ছে পশ্চিম।
রাশিয়াকে জেলেনস্কির হুঁশিয়ারী-বাংলাদেশ প্রতিদিন
‘যুদ্ধ তখনই শেষ হবে, যখন রাশিয়া বুঝবে তাদের আর হারানোর মতো সৈন্য অবশিষ্ট নেই’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার রাতের ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সামনে এমন দিন আসছে, যখন রাশিয়ার ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় মাত্রার অনেক বাইরে চলে যাবে।’ এসময় জেলেনস্কি সতর্কতা দিয়ে বলেন, সামনের শীতকাল হবে ইউক্রেনের জন্য ভয়াবহ। এই সময়ে কয়লা ও গ্যাস বিদেশে রপ্তানি করা হবে না বলেও জানান তিনি। তার দাবি, ডনবাসে ইউক্রেন বেশ নায়কোচিত অবস্থায় আছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
এটা কি মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন?’ মামলাকারী শিক্ষককে ধমক হাই কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিন/আনন্দবাজার পত্রিকা
বুধবার আংশিক সময়ের এক শিক্ষকের মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ভর্ৎসনা, ‘‘এটা কি মগের মুলুক? আপনাদের মতো লোকের জন্য ন’বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক।’’ বিচারপ্রার্থীর অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক?’’ মামলাটি খারিজ করেছেন বিচারপতি।
১৯৯৮ সালের মে মাসে বাংলার আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসাবে নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চবিদ্যালয়ে নিযুক্ত হন নাসিরউদ্দিন শেখ। পরিচালন কমিটি তাকে নিযুক্ত করে। নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের এপ্রিলেই চাকরি হারান তিনি। কোনও কারণ উল্লেখ না করে আচমকাই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বলেই দাবি চাকরিহারা ব্যক্তির। এরপর ২০১২ সালে সুবিচারের আশায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নাসিরউদ্দিন। বুধবার রাজাশেখর মান্থারের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। রাজ্য সরকারের তরফে জানান হয়, এই শিক্ষক স্থায়ী নন। তাকে নিয়োগ করার কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। পরিচালন কমিটি তাকে নিযুক্ত করেছে।
একথা শোনার পরই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তরফে বিচারপতি বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? স্থানীয় বিধায়ক? দুর্ভাগ্যজনক! আপনাদের মতো লোকের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। আপনি পদ আটকে রেখেছিলেন। এটা কি মগের মুলুক?” এভাবেই তীব্র ভর্ৎসনার পর আংশিক সময়ের ওই শিক্ষকের মামলা খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট।রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বলেই জানায় হাই কোর্ট। সেই অনুযায়ী হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা অঙ্কিতা। দুই কিস্তিতে প্রাপ্ত বেতন ফেরতের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আরও নানা তথ্যের খোঁজে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই (CBI) জেরার মুখোমুখি হয়েছেন।
আপনারা ভাল থাকলে আমিও ভাল, আপনারা খারাপ থাকলে আমি কোথায় যাব: মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
আলিপুরদুয়ার সফর শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও বিঁধতে ছাড়েননি মমতা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘সব কিছুর দাম এত বেড়ে গিয়েছে যে, বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। উজালা গ্যাস দিয়েছিল কেন্দ্র, এখন কী করছেন সেই গ্যাসে?’’ তার পরেই সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘ভোট এলেই বলবে, সেপারেট স্টেট দেব। আর ভোট মিটতেই দেশের অবস্থা দেখুন, জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।’’ কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলেও মঞ্চ থেকে অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নূপুর শর্মার পর ইসলাম ধর্মগুরুকে নিয়ে ফের আপত্তিকর টুইট করার অভিযোগ উঠল কানপুরের বিজেপি নেতা হর্ষিত শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে।
মহম্মদকে নিয়ে ফের আপত্তিকর টুইট! গ্রেপ্তার বিজেপির যুব নেতা-আজকাল
পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই নেতাকে। মুছে দেওয়া হয়েছে টুইটটিও। হর্ষিত শ্রীবাস্তব বিজেপির যুব শাখা ও স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্য। কানপুরের শীর্ষ পুলিশ কর্তা বিজয় মীনা জানিয়েছেন, ‘ওঁর পোস্টটি আপত্তিকর ছিল। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।কেউ যদি সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয় কিংবা সামাজিক ঐক্যকে বিব্রত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’ ইসলাম ধর্মগুরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিজেপির দুই মুখপাত্র। প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল হয়েছে তাঁদের। কিন্তু শান্তির খাঁড়া নামার পরও বিতর্কের আঁচে আরব দুনিয়ার ক্ষোভের আঁচ কমেনি। বিশ্বের প্রায় সমস্ত মুসলিম দেশ থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুরে সমালোচনা শোনা গিয়েছে। প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিধায়ক নূপুরকে। আল কায়দা ভারতের চার শহরে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিয়েছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশে এই মন্তব্যকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই ফের মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর টুইট। যার জেরে গ্রেপ্তার বিজেপির যুব নেতা।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮