কথাবার্তা
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়েই জাতির পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ১১ জানুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়েই জাতির পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
- রাত থেকেই বাস-ট্রাকে আসছেন মুসল্লিরা, ভিড় বাড়ছে ইজতেমা মাঠে-প্রথম আলো
- ৫৪টি দল আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- তিন মোবাইল কোম্পানিকে ২৫০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ-ইত্তেফাক
- বিএনপির গণঅবস্থানে লোকারণ্য নয়াপল্টন-মানবজমিন
- বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা!-কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না’, বেফাঁস পাঁচলার বিধায়ক-সংবাদ প্রতিদিন
- জমি আন্দোলনে পুলিশি ‘হামলা’র পর ফুঁসছে বিহারের বক্সর! অবরোধ, বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন-আনন্দবাজার
- বিচারপতি মান্থার এজলাস আটকে বিক্ষোভ, সংঘাত আইনজীবীদের মধ্যে!-আজকাল
খ) এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়েই জাতির পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়েই জাতির পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বলেছিলাম এদেশ স্বাধীন করে ছাড়বো, আজ দেশ স্বাধীন। তিনি বলেছিলেন, রক্ত দিয়ে হলেও এ রক্তের ঋণ আমি শোধ করে যাবো। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে, একজন বাঙালি বেঁচে থাকতেও এদেশের স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশ পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে বেঁচে থাকবে, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তিনি তার রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করে গেছেন, এখন আমাদের পালা। আমাদের কর্তব্য তার রক্তের ঋণ শোধ করা। যেদিন গৃহহীন গৃহ পাবে, দেশের মানুষকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো। সেটা হবে রক্তের ঋণ শোধ করা। মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
ক) রাত থেকেই বাস-ট্রাকে আসছেন মুসল্লিরা, ভিড় বাড়ছে ইজতেমা মাঠে-প্রথম আলো
রাত সোয়া ১২টার কথা। পৌষের হাড়কাঁপানো শীত চারদিকে। হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করেই গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তখন হাজারো মুসল্লির জটলা। কেউ বাসে, কেউ ট্রাকে, আবার কেউ পিকআপ ভ্যানে চড়ে এসেছেন ইজতেমা মাঠে। ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে এখনো দুই দিন বাকি। তবে ইতিমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে মুসল্লিরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। তবে রাত থেকে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন জানুয়ারির ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। আর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন জানুয়ারির ২০, ২১ ও ২২ তারিখ। কাজেই ইতিমধ্যে আগত মুসল্লিরা সবাই প্রথম ধাপের বা মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী।
খ) ৫৪টি দল আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৫৪টি দল আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মন্ত্রী এ সময় বলেন, তাদের এই অবস্থানে কী হবে? ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পারবে। বুধবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করে যারা দায় মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ক) বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা!-কালের কণ্ঠ
১০ দফা দাবি আদায়ে সারা দেশে আগামী ১৬ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্য রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বুধবার সারা দেশে বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খ) তিন মোবাইল কোম্পানিকে ২৫০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ-ইত্তেফাক
তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছে পাওনা দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই টাকা দিতে হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায়ে গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৪০০ কোটি, রবির ৫০০ কোটি ও বাংলালিংকের ৬৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব ও মোবাইল কোম্পানির পক্ষে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।
ক) এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি
আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসবেন না’, বেফাঁস পাঁচলার বিধায়ক-সংবাদ প্রতিদিন
এবার বেফাঁস পাঁচলার বিধায়ক (MLA)। কর্মিসভায় বললেন, “আমি না জিততে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না।” তাঁর এই মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক। “এই মন্তব্যের দায় বিধায়কের”, মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
বিষয়টা ঠিক কী? সোমবার বিকেলে পাঁচলার ধুলোর বাঁধ এলাকায় তৃণমূলের একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক। সেখানে তিনি বলেন, “আমি যদি ভোট না পাই তাহলে সন্ন্যাস নিয়ে নেব। আর আমি যদি পাঁচলায় না জিতি তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বসতে পারবেন না।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হাতের তৈরি জনমুখী প্রকল্পের কথাও বলেন তিনি। তবে এই ভোটে জেতা নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
এই মন্তব্যে প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কেউ যদি এহেন মন্তব্য করে থাকেন সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি ব্যক্তিগতভাবে কী মন্তব্য করবেন, তার দায় দলের নয়।”
দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বিধায়ক গুলশান মল্লিক। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াই করেছিলেন তিনি। জয়ীও হয়েছিলেন। পরবর্তীতে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সাল থেকে পরপর তিনবারই পাঁচলা থেকে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ দলের বেশ দাপুটে নেতা তিনি। সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন। তাঁর মুখে এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শুরু হয়েছে কানাঘুষো। তবে একাংশের দাবি, গুলশন মল্লিক বোঝাতে চেয়েছেন, পাঁচলা আসনটিতে তৃণমূলের জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক তৃণমূল নেতা-বিধায়ক বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। কখনও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে।
খ) জমি আন্দোলনে পুলিশি ‘হামলা’র পর ফুঁসছে বিহারের বক্সর! অবরোধ, বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন-আনন্দবাজার
জমি আন্দোলনে পুলিশি ‘হামলা’র পর ফুঁসছে বিহারের বক্সর! অবরোধ, বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন-আনন্দবাজার হিংসার আকার নিল বিহারের বক্সরের জমি আন্দোলন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কৃষকদের বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগে উঠেছে বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। বুধবার থেকে অশান্ত হয়ে উঠল এলাকা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নির্মীয়মাণ বিদ্যুতের প্ল্যান্টেও ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঠানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গত দু’মাস ধরে বিহার সরকারের চৌসা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরি নিয়ে বক্সরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, যে জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে, তার ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয়নি। কৃষকদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছেন। কিন্তু পুলিশ দিয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে চাইছে সরকার। মঙ্গলবার রাতে গ্রামে ঢুকে কৃষক পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে। শীতের রাতে পুলিশি ‘হেনস্থা’ থেকে রক্ষা পাননি মহিলারাও।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।