কথাবার্তা: ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে স্রেফ না খেয়ে- আশঙ্কা জাতিসংঘের
শ্রোতাবন্ধুরা! ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজের ট্রাক ছাড়ার অনুমতি দিল ভারত-প্রথম আলো
- চাল ও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং হচ্ছে-কালের কণ্ঠ
- আল্লামা আহমদ শফীর জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের ঢল-যুগান্তর
- দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে-কাদের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- ব্যবহারের চেয়ে বেশি গ্যাস দিচ্ছেন গ্রাহকরা-ইত্তেফাক
- মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের ৮ জন গ্রেফতার-সমকাল
- ২৪ ঘন্টায় প্রাণ গেল ৩২ জনের -মানবজমিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- বানচাল দেশেজুড়ে বড়সড় নাশকতার ছক, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার ৯ আল কায়দা জঙ্গি-সংবাদ প্রতিদিন
- ধার করে চলছে কেন্দ্রের সরকার’ বললেন নির্মলা-আনন্দবাজার পত্রিকা
- নতুন কৃষি বিলের বিরোধীতায় কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত-আজকাল
শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি-বিএসএফের সম্মতি ও যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন। আপনার কী মনে হয়- এবার সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে?
২. ইরানকে হুমকি দেয়ার পর পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে আমেরিকা। এটা কী যুদ্ধের কোনো আলামত?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ভারত মহাসাগরে চীনের জাহাজ-দৈনিক ইত্তেফাক
গত কয়েক মাস ধরে লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সংঘাত চলছে ভারতের। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত মহাসাগরে একটি চীনের গবেষণাকারী জাহাজকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মালাক্কা প্রণালী দিয়ে ভারত মহাসাগরের অঞ্চলে ইউয়ান ওয়াং নামে চীনের গবেষণাকারী জাহাজটি গতমাসে ঢুকে পড়েছিল। আর এই জাহাজটিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ক্রমাগত নজরে রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দিন কয়েক আগে ফের নিজেদের জলসীমায় ফেরত পাঠানো হয়েছে চীনের গবেষণাকারী জাহাজটিকে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এই ধরনের চীনা জাহাজগুলো গবেষণার নামে ভারতের জলসীমায় ঢুকে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়। এরপরেও লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে চীনের সেনাদের একাধিক বার সংঘর্ষ হয়েছে।
সীমান্তে সংঘাত মেটাতে এখন পর্যন্ত একাধিকবার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন ও ভারত।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে আবারও প্রতিশ্রুতি পেল বাংলাদেশ-দৈনিক প্রথম আলো
বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে হত্যার হার আবার শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পেল বাংলাদেশ।বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার এ কথা জানান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা।
গত বুধবার থেকে শুরু বৈঠকের আলোচ্যসূচির এক নম্বরে ছিল ‘সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা’।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা’ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। সে কারণে হত্যার ঘটনা ঘটছে।
এই ব্যর্থতা বিজিবির কি না, তা জানতে চাইলে সাফিনুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত চার হাজার কিলোমিটারের বেশি। নদীনালা, পাহাড়–পর্বত আছে। তারপরও এখন পাঁচ কিলোমিটার পরপর সীমান্তচৌকি আছে।
বিএসএফের মহাপরিচালক বলেন, হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে। তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। এ জন্য বিজিবি–বিএসএফ সীমান্তে যৌথ টহল দেবে এবং এলাকার লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারত ১৪ দফা সিদ্ধান্ত নিলেও সংবাদ সম্মেলনজুড়ে বারবারই সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ আসে।
একের পর এক খুন হচ্ছেন পুলিশ সোর্স-জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে-দৈনিক ইত্তেফাক
গ্রেফতার করে। কোনো অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে পুলিশ সোর্স নিয়োগ করে। সোর্সের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় এসব সোর্স নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেটও এ সোর্স নিয়ন্ত্রণ করে। নিজেদের আর্থিক সুবিধা বা অনৈতিক সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্য দেয়। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাই ফেঁসে যায়। অনেক সময় পুলিশ জেনেশুনে সোর্সদের দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। আবার অপরাধীদের গ্রেফতারের পেছনের তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে সোর্সদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে। সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হয় সোর্স। খুন হয় সোর্স।
চাল ও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং হচ্ছে'-দৈনিক কালের কণ্ঠ
চাল ও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় চালকল মালিক গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান মন্ত্রী।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমের সংগ্রহ উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তবে চুক্তি করেও যেসব মিলার চাল সরবরাহ করেননি, তাদের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয়টি দল সব সময় বাজার মনিটরিং করছে। তারা চাল এবং পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কোনোভাবেই চালের দরে সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মন্ত্রী।
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সরকারকে সরাতে হবে-ফখরুল-কালের কণ্ঠ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করে বলেছেন, এর থেকে মুক্তির একটাই উপায়- বদলে যাওয়া। বদলে যাওয়ার একটাই পথ, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সরকারকে সরাতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিনা বিচারে হত্যা, গুম করে দেওয়া, এগুলোর মধ্য দিয়ে ভয়ের সৃষ্টি করা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, বদলে যাওয়ার একটাই পথ, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সরকারকে সরাতে হবে। আমরা অনেক চেষ্টা করছি। তবে সফল হচ্ছি না। আজকে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের নেত্রী কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এক লাখ মামলায় ৩৫ লাখ আসামি। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা করা হয়, গুম করা হয়। মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। তার পরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাংবাদিকরাই গণতন্ত্রের মূলভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা না থাকলে গণতন্ত্র কখনোই বিকশিত হতে পারে না। গণতন্ত্রের মূল বিষয়টাই হলো সংবাদমাধ্যম। সব দেশে সবকালে সাংবাদিকরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন।
ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
চীনকে গোপন তথ্য পাচার! গ্রেপ্তার দিল্লির সাংবাদিক-সহ মোট তিন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,চীনকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক সাংবাদিক-সহ মোট তিন। দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে তাঁকে মোটা টাকা দেওয়ার অভিযোগ শনিবার এক চিনা মহিলা ও তাঁর নেপালি সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূ্ত্রের খবর, আটক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকের কাছে সেনার বহু গোপনীয় তথ্য রয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে যা তিনি চিনের এক মহিলাকে পাচার করেন।
ধমকি দিচ্ছে আমেরিকা’ পাল্টা পদক্ষেপের হুঙ্কার চীনেরও-আনন্দবাজার পত্রিকা
ধার করে চলছে কেন্দ্রের সরকার’ বললেন নির্মলা-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, মোদী সরকারের সংসার খরচের সবটাই চলছে ধার করে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বীকার করেছেন, লকডাউনের ধাক্কায় এমনিতেই এপ্রিল থেকে জুনে কেন্দ্রের আয় প্রায় ২৯.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। তার উপরে কেন্দ্র ১০০ টাকা কর বাবদ আয় করলে রাজ্যগুলিকে তার ভাগ ও অনুদান দিতে ১০৭ টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রের খরচ ধার করেই চলছে।
শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, কেন্দ্রের মোট দেনার বোঝা মার্চের শেষে ৯৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। তা জুনের শেষে ১০১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে।
নতুন কৃষি বিলের বিরোধীতায় কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত-আজকাল
নতুন তিনটি কৃষি বিলের বিরোধিতায় কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত। মোদির স্তোকবাক্যেও চিঁড়ে ভেজেনি। শনিবার সকালেও পাঞ্জাবের অমৃতসরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। পোড়ানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কুশপুতুল। সকালবেলা এই বিক্ষোভের জেরে শহরের একাধিক রাস্তায় তীব্র যানজট হয়ে যায়। কৃষকনেতা গুরবচন সিং বলেন, ‘এই বিল যা পাঞ্জাবের কৃষকদের বিরুদ্ধে তা যদি পাস হয়ে যায় সংসদে তাহলে কৃষকরা এবং মন্ডি ব্যবস্থা দুটোই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই বিলগুলি কৃষক–বিরোধী এবং রাজ্যসভায় পাস হওয়া অনুচিত। এই বিলগুলি বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলির লুঠের পথ সুগম করবে। আমরা তারই বিরোধিতা করছি।’ গুরলাল সিং নামে এক কৃষক বললেন, ‘সরকারের সব সিদ্ধান্তই জনবিরোধী, তা সে নোটবন্দিই হোক বা জিএসটি, আর এখন কৃষি বিল। হরিনায়ার রোহতকে নতুন কৃষি বিলের বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষক এবং আর্হত্য বা কমিশন এজেন্টরা। বিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।
করোনার খবর
করোনায় ১ দিনে ভারতে আক্রান্ত ৯৩,৩৩৭ জন, এ সময় মারা গেছেন ১২৪৭ আর মোট মৃত্যু ৮৫ হাজার ৬১৯ এবং মোট আক্রান্ত ৫৩ লাখ ৮ হাজার ১৪ জন। সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, মোদির অনুপ্রেরণাই ভারতের করোনা যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছে দাবি ক্যামব্রিজের সমীক্ষায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা- ৩ কোটি ৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬ জন। এদিকে ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যেই ভ্যাকসিন পাবেন আমেরিকার সমস্ত নাগরিক, প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রাম্প। এখবরটি সংবাদ প্রতিদিনে লেখা হয়েছে।
এদিকে দৈনিক আনন্তবাজার পত্রিকার একটি খবরে লেখা হয়েছে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ জনগণের কোভিড ভ্যাকসিন-ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত! এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, কোভ্যাক্স পরিষেবার (ভ্যাকসিন গবেষণা, উৎপাদন ও সুষম বণ্টনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি আন্তর্জাতিক জোট) মাধ্যমে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছতে পারবে। কিন্তু ৭৮১ কোটি বিশ্ববাসীর মধ্যে ২৩৪ কোটি (মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ) জনগণের কাছে তা পৌঁছবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।
আনন্দবাজারের অপর এক খবরে ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ভ্যাকসিন কবে আসবে, তার ঠিক নেই। আবিষ্কার হলেও ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সেই টিকার সমবণ্টন নিয়ে চিন্তায় রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ঘনাচ্ছে করোনা-পরিস্থিতিতে ‘কোয়রান্টিন’-এ চলে যাওয়া ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, অবিলম্বে সাহায্যের হাত না-বাড়ালে অন্তত ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে স্রেফ না খেতে পেয়ে।
‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফও)-র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের ২৭ কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটের মুখে পড়তে চলছেন। এ ভাবে চললে এই বছরের শেষেই ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ খাদ্যাভাবের কবলে পড়বেন। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য বিভাগের প্রধান ডেভিড বিসলি আজ ধনকুবেরদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের অভাবে মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ৩ কোটি মানুষকে বাঁচাতে বছরে অন্তত ৪৯০ কোটি ডলার সাহায্য প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, বিশ্বে অন্তত দু’হাজার বিলিয়নেয়ার (অন্তত একশো কোটি ডলারের মালিক) রয়েছেন। তাঁদের মোট ধনসম্পদ, বার্ষিক আয় যোগ করলে ৮ লক্ষ কোটি ডলারেরও বেশি। বিসলির বক্তব্য, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতিতেও অনেকে কোটি কোটি ডলার কামিয়েছেন। কেউ বিপুল অর্থ উপার্জন করতেই পারেন। তাতে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু মানব সভ্যতা এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। এমন পরিস্থিতি আমরা অনেকেই জীবদ্দশায় দেখিনি।’’
শ্রোতাবন্ধুরা! কথাবার্তার আজকের আসর এখানেই গুটিয়ে নিচ্ছি। আবারও কথা হবে আগামী আসরে। ততক্ষণ সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯