মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফর, যে কারণে সাতক্ষীরায় যাবেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন ঢাকায়
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৪ মার্চ বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- যে কারণে সাতক্ষীরা যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি – মানবজমিন
- প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম মারা গেছেন-কালের কণ্ঠ
- থানায় ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা -ইত্তেফাক
- উপাচার্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়: ইউজিসি -যুগান্তর
- ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর -সমকাল
- ফের হামলার হুমকিতে মার্কিন কংগ্রেসের কার্যক্রম স্থগিত -বাংলাদেশ প্রতিদিন
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- তাজমহলে বোমাতঙ্ক, বার করে আনা হল পর্যটকদের, বন্ধ সব দিকের দরজা -আনন্দবাজার পত্রিকা
- ধর্ষকের উদ্দেশে ধর্ষিতাকে বিয়ের পরামর্শ, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে খোলা চিঠি -আজকাল
- জোট কাঁটা এখনও উত্তরবঙ্গ, চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলল আব্বাসের দল -সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল কিংবা পুনঃপর্যালোচনার দাবি উঠেছে বিভিন্নমহল থেকে। মুশতাকের মৃত্যুর পর নাগরিক সমাজ থেকে আইনটির ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। এ সম্পর্কে দৈনিক মানবজমিনের কয়েকটি খবর- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন চালু করা হয় তখন সরকার ও তার সমর্থক ছাড়া সকল মহল থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, এর অপপ্রয়োগ ঘটবে। মতপ্রকাশের অধিকার আরো ক্ষুণ্ন হবে। হয়তো কণ্ঠরোধের ঘটনাই ঘটবে। প্রতিবাদ করা হয়েছিল।
কাজ হয়নি। দেখা গেল আশঙ্কাটা মিথ্যা ছিল না। ইচ্ছামতো মামলা দেয়া হচ্ছে। মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছে, নাজেহাল হচ্ছে। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলতো গুমই হয়ে গিয়েছিলেন। সীমান্ত এলাকায় যখন দেখা গেল তাকে, তখন অসুস্থ মানুষটিকে ধরে এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। জামিনের চেষ্টা হলো- কিন্তু কাজ হলো না। শেষে দেশ বিদেশের বিভিন্ন মহল থেকে যখন প্রতিবাদ হলো, লেখালেখি হলো তখন কোনো মতে জামিন পেলেন। মুশতাক আহমেদ তো তা-ও পেলেন না। ছয় বার জামিনের আবেদন করেছেন, গ্রাহ্য হয়নি, সপ্তমবার আর করার প্রয়োজন হলো না, তিনি চিরমুক্ত হয়ে চলে গেলেন। এভাবেই বিরুদ্ধ মত আর পথ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ডিজিটাল আইন।
বললে কি অন্যায় হবে যে মুশতাক হচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের প্রথম শহীদ? ঘটনাটা সেরকমই নয়কি? আশা করবো- এটাই শেষ ঘটনা। ভরসা হচ্ছে প্রতিবাদ।
ড. কামাল হোসেন -স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে মুশতাকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি জানিয়েছেন।
থানায় ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা-ইত্তেফাক/যুগান্তর
সারা দেশের থানাগুলোতে ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৫ বছরে মোট ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পুলিশের দেওয়া এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য।
এ ছাড়া আরেকটি প্রতিবেদনে ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলার বিচারের সময়সীমা নিয়ে বিধান পালনে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে একটি মনিটরিং টিম গঠনের কথা জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, থানায় ধর্ষণের মামলা দায়েরের সংখ্যা বাড়ছে। যার মধ্যে গত দুই বছরে বেশি মামলা হয়েছে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (৩ মার্চ) এ প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়।
ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সমকাল
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এক দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।বিএএফ বাশার ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৫ অথবা ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসছেন। ২৭ মার্চ তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সফরসূচি চূড়ান্ত হবে দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায়।
যে কারণে সাতক্ষীরা যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি-মানবজমিন
একদিন আগে আচমকা খবর চাউর হয়- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরা যাচ্ছেন। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন তিনি। দিল্লি থেকে উড়ে আসা মোদির নিরাপত্তা দলের সদস্যরা গত সপ্তাহেই সাতক্ষীরা সরজমিন ঘুরে দেখেছেন। মন্দিরের অবকাঠামো, যাতায়াত পথ, নিরাপত্তাসহ সবকিছু রেকি করে গেছেন তারা। প্রস্তাবিত সূচি মতে, আগামী ২৬শে মার্চ সকালে ঢাকা আসছেন মোদি বিকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর যৌথ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন।সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হবে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করতে টুঙ্গিপাড়া যাবেন তিনি।সেই সুবাদে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতেও যেতে চান তিনি। পূর্বের সূচি মতে, গোপালগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে তার ঢাকা ফেরার কথা ছিল। কিন্তু না, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল উজিরপুরের শিকারপুরস্থ সুগন্ধা শক্তিপীঠের বদলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে যেতে বেশি আগ্রহী মোদি। তার আগ্রহ মতেই এখন পরবর্তী প্রস্তুতি-কর্ম শুরু হয়েছে।কিন্তু হঠাৎ করে সাতক্ষীরার মন্দির পরিদর্শনের বিষয়টি মোদির সফরে যুক্ত হলো কীভাবে? এ পরিদর্শনের রাজনৈতিক তাৎপর্যই বা কি? বিশ্লেষকরা এখনো এর কোনো কূলকিনারা করতে পারছেন না।
মশার দখলে রাজধানী-মানবজমিন
মশায় অতিষ্ঠ রাজধানীর জনজীবন। বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা। সর্বত্রই মশার আক্রমণ। এ যেন মশার রাজধানী। দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে নানা চেষ্টা করলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন একই ওষুধ ছিটানোয় মশা ওষুধ সহনশীল হয়ে পড়েছে। এতে ওষুধ পুরো কার্যকর হচ্ছে না। এছাড়া নগরীর খাল, নালা পরিষ্কার না করায় বেড়েছে প্রজনন স্থল।
যেসব এলাকায় মশার প্রকোপ বেশি সেখানে মশারি, কয়েল আর স্প্রেও কোনো কাজে আসছে না। কীটতত্ত্ববিদদের তথ্য বলছে, ঢাকায় অতীতের চেয়ে মশার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ৪গুণ।বিভিন্ন এলাকার মশককর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার ফল এই শহরের মানুষ ভোগ করছে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহ পর হতে মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
উপাচার্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়: ইউজিসি-যুগান্তর
দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্যরা। তারা বলেছেন, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন,সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এই শব্দগুলো এখন জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।অধ্যাপক আলমগীর বলেন, কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
ফের হামলার হুমকিতে মার্কিন কংগ্রেসের কার্যক্রম স্থগিত-বিডি প্রতিদিন
যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকির কারণে কংগ্রেসের অধিবেশন এক দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের সতর্ক করে ক্যাপিটল পুলিশ বলেছে, ৪ মার্চ ক্যাপিটল হিলে আবার হামলা চালাতে পারে।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় সহিংসতায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন প্রাণ হারান। সে দিনের মতো আবার কোনো সহিংস ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্কতামূলক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড ও পুলিশের নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মহাসচিবের অভিনন্দন-বাংলাদেশ প্রতিদিন
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় আমি খুবই আনন্দিত। এই উত্তরণ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, দেশটি লক্ষ-কোটি মানুষের দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তির অঙ্গীকারসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ক্রমবর্ধনশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।”
অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার সুযোগ প্রসারের ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্যেও আমি বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাই। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য দূরদর্শিতা, দৃঢ় জাতীয় নেতৃত্ব ও বিচক্ষণ নীতি ও কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উত্তোরণের এই জায়গায় জাতিসংঘের সহায়তা বজায় থাকবে।”
এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
তাজমহলে বোমাতঙ্ক, বার করে আনা হল পর্যটকদের, বন্ধ সব দিকের দরজা-আনন্দবাজার পত্রিকা
বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বোমাতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়াল তাজমহলে। আর পাঁচটা দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু তারপরই অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে পুলিশকে জানান, তাজমহলে বোমা রাখা রয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় তাজমহল। বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত দরজা। এলাকা খালি করার কাজ করতে শুরু করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাজমহলে পৌঁছে যান বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। তারপর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। সিআইএসএফ ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালান। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আলিগড় থেকে ফোন আসছে, পরে ফিরোজাবাদ থেকেও ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।
দীর্ঘ ছ’মাস বন্ধ থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তাজমহল। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র এই আগ্রার তাজমহল। প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ পর্যটক ঘুরতে আসেন এখানে। আগ্রা ফোর্টের বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক আসেন। এই দু’টি পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিপুল আয় হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের। এমন এক ঐতিহাসিক সৌধে হঠাৎ বোমাতঙ্কে কিছুটা নড়ে গিয়েছে যোগীরাজ্যের প্রশাসন।
জোট কাঁটা এখনও উত্তরবঙ্গ, চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলল আব্বাসের দল-সংবাদ প্রতিদিন
ভোট আসন্ন। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের জটই কাটল না। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) আসনের দাবি থেকে সরছে না আইএসএফ। কংগ্রেসের তরফ থেকেও মেলেনি সবুজ সংকেত। বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছে জোটের তিন পক্ষ। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) এবার জোট মীমাংসা নিয়ে কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে। ফলে কার্যত কংগ্রেসের উপর নির্ভর করছে জোটের ভবিষ্যৎ। একানব্বই নয়। নয় তিরানব্বইও। চাই ঠিক ৯২টি আসন। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Polls 2021) আগে ফের দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলাচ্ছেন সিদ্ধান্ত। তাই কেটেও কাটছে না জোটের জট।
‘আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব’, পিংলা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর-আনন্দবাজার পত্রিকা
তিনিই নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন। বুধবার পিংলার জনসভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে নিজের পুরনো কেন্দ্রে তিনিই সম্মুখসমরে নামছেন কি না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। কর্মী, সমর্থকদের সামনে নন্দীগ্রামে পদ্ম ফোটানোর ‘শপথ’ নিয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে তিনি নিজে না কি অন্য কেউ পদ্মশিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।
রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই, গত ১৮ জানুয়ারি তেখালির জনসভা থেকে নন্দীগ্রামে নিজে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে কর্মীদের কাছেও বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন, দলনেত্রী হিসাবে তিনি আগামী নির্বাচনে লড়বেন সামনে থেকেই। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। নন্দীগ্রামে মমতা প্রার্থী হচ্ছেন শুনে তাঁকে ‘হাফ লাখ’ (৫০ হাজার) ভোটে হারানোর পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু। নইলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ‘পণ’ করে বসেছেন। তার পরই জল্পনা তৈরি হয়েছে, নন্দীগ্রামে নিজের গড়ে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন শুভেন্দু। নির্বাচন এগিয়ে এলেও, সেই জল্পনার অবসান ঘটল না। বুধবার পিংলার জনসভা থেকে ফের এক বার মমতাকে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু। গলায় আত্মপ্রত্যয়ের সুর এনে বলেছেন, ‘‘আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। নিশ্চিত থাকবেন, হারাব আমি। দল প্রার্থী করলে, সরাসরি হারাব। অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও হারাব। পদ্ম ফোটাব। দায়িত্বটা আমার।’’
শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা তৃণমূলের, নতুন মুখ এনে ‘চমক’ দিতে চায় ঘাসফুল শিবির- আজকাল
দফাওয়ারি নয়, আগামী শুক্রবারই কালীঘাট থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে শাসক দল। কিন্তু এদিন বেশ কিছু যোগদান কর্মসূচি থাকায় শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, দফাওয়ারি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করে একেবারে ২৯৪টি আসনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা সিদ্ধান্ত নেত্রীর নিজের।
জানা গিটয়েছে, এবারের প্রার্থী তালিকায় ‘চমক’ হিসেবে ৪০টি কেন্দ্রে নতুন মুখ সামনে আনতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
ধর্ষকের উদ্দেশে ধর্ষিতাকে বিয়ের পরামর্শ, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে খোলা চিঠি-আজকাল
দু’টি ভিন্ন মামলায় দু’টি ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য। একটি মামলায় ধর্ষিতাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। আরও একটি মামলায় ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’–কেই ‘অস্বীকার’ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে খোলাচিঠি লিখলেন ৪ হাজারেরও বেশি নারী অধিকার কর্মী, বিভিন্ন ‘প্রগতিশীল’ গোষ্ঠীর সদস্যরা।
সম্প্রতি একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সরকারি কর্মী মোহিত সুভাষ চাবনকে প্রধান বিচারপতি পরামর্শ দেন, ‘আপনি যদি ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করব। আর তা না–হলে আপনার চাকরি যাবে এবং আপনাকে জেলেও যেতে হবে।’ শুধু তাই নয়, এই পরামর্শ দিয়ে ওই অভিযুক্তকে এক মাসের আগাম জামিনও দেওয়া হয়েছে।
নারী অধিকার কর্মীদের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতি ওই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, নাবালিকা ধর্ষণে দোষ নেই, যদি ধর্ষক ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘এইটা ভেবেই আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, সংবিধান বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা এবং দায়িত্ব যাঁর হাতে রয়েছে, সেই প্রধান বিচারপতিকেও মহিলাদেরই বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে, ‘যৌন প্রলোভন’, ‘ধর্ষণ’ ও ‘বিবাহ’–এর অর্থ কী!’’ চিঠিতে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধেও ওঠা যৌন হেনস্থার প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনে মহিলা কৃষকদের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, তাঁদের বাড়ির পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই মন্তব্যেও ছোট করা হয়েছে মহিলাদের, লেখা হয়েছে ওই খোলা চিঠিতে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নারী অধিকার কর্মী অ্যানি রাজা, কবিতা কৃষ্ণন, কমলা বসিন, মীরা সঙ্ঘমিত্রা, অরুন্ধুতি ধুরু।
হাতে মেয়ের কাটা মাথা, রাস্তা দিয়ে নির্বিকার হাঁটছেন বাবা, যোগীরাজ্যের ঘটনায় হইচই- আজকাল
হাতে এক নাবালিকার কাটা মাথা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলার পান্ডেতারা গ্রামের এই দৃশ্য কার্যত হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। লখনউ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রাম। কাটা মাথা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাঁটতে দেখেই এক প্রত্যক্ষদর্শী খবর দেন পুলিশে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম সরবেশ কুমার। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, হাতে কার মাথা এবং কোথা থেকে আসছেন তিনি। উত্তরে সরবেশ জানান, মেয়ের মাথা। কোনও দ্বিধা না করেই নির্বিকার বলতে থাকেন, ‘একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে। আমার পছন্দ হয়নি। যখন বাড়িতে কেউ ছিল না, দরজা বন্ধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করেছি মেয়েকে। দেহ বাড়িতে।’ সব শোনার পর ওই কাটা মাথা মাটিতে নামিয়ে রাখতে বলেন এক পুলিশ কর্মী। সরবেশও কোনও প্রতিবাদ না করে তাই করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।২০১৯ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, মহিলাদের উপর অপরাধের নিরিখে দেশে শীর্ষে রয়েছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শুধু তাই নয়, নাবালিকাদের উপর অপরাধের জন্য পকসো ধারায় সব চেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা নেই।’ পাল্টা জবাবে মালদার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত, হাথরসে মহিলা নির্যাতনের ঘটনাই দেশবাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।