এপ্রিল ০৪, ২০২১ ১৫:১২ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৪ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • মানুষের জীবন আগে বাঁচাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা– মানবজমিন
  • সাত দিন নয় প্রয়োজন ১৪ দিনের লকডাউন–যুগান্তর 
  • আইসিইউ সংকট-একদিকে হাহাকার অন্যদিকে পড়ে আছে ৩০০ বেড -কালের কণ্ঠ
  • হেফাজতের আমির-মহাসচিবসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব–প্রথম আলো
  • ৫০ কোটি গ্রাহকের ফেসবুক তথ্য অনলাইনে - বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • নীরব' জামায়াত কী করছে -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ‘আগে ৫০ টা আসন পাক, পরে ২৯৪ টার স্বপ্ন দেখবে’, বিজেপিকে খোঁচা মমতার -সংবাদ প্রতিদিন
  • দিদির মন্দির ভালো লাগে না, দুর্গাপূজাও ভালো লাগে না –মমতাকে কটাক্ষ-যোগীর-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর। 

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ-উদ্বেগ উৎকণ্ঠা

করোনা বেড়েই চলেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। হাসপাতালে সিট নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।গত এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ। দৈনিক ইত্তেফাকসহ প্রায় সব দৈনিকের প্রধান খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মানুষের জীবন আগে বাঁচাতে হবে।করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষের জীবন আগে বাঁচাতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিয়ম-নীতি মেনে নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নবনির্মিত ২০তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যবিধি যাতে সবাই মেনে চলে সেজন্য দায়িত্বরতদের প্রতি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময়ও আমরা অর্থনীতির গতি সচল রাখতে পেরেছি।’

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা

মানবজমিনসহ বিভিন্ন দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামীকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্ট সামগ্রী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। আজ সরকারি বাসভবন থেকে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান সেতুমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত সাত দিন নয় প্রয়োজন ১৪ দিনের লকডাউন-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

করোনার তীব্র সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাত দিন নয়, কমপক্ষে ১৪ দিন (দুই সপ্তাহ) লকডাউন দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যে ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড (সংক্রমিত করার সময়) ১৪ দিন। সেই ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ৭ দিনের লকডাউন অবৈজ্ঞানিক। তাছাড়া লকডাউন ঘোষণার পর সারা দেশের আন্তঃজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান যোগাযোগ নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কার্যকর অর্থেই নিষিদ্ধ থাকবে। শুধু তাই নয়, রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে সারা দেশে প্রথমবারের মতো সাত দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আইসিইউ সংকট-একদিকে হাহাকার অন্যদিকে পড়ে আছে ৩০০ বেড-কালের কণ্ঠ

করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর জন্য চিকিৎসকরা আইসিইউয়ের পরামর্শ দিলেই আঁতকে ওঠে স্বজনরা। অসহায় হয়ে ছুটতে শুরু করে এখানে-সেখানে। ঢাকায় এখন কোথাও মিলছে না আইসিইউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্যকে কী বলব, আমার নিজেরই তো ঘুম হয় না এই ভেবে যে যদি আমি এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি আর যদি আমার জন্য আইসিইউ দরকার হয় তখন কী হবে? কোথাও তো আইসিইউ নেই, টাকায়ও তো লাভ হচ্ছে না।’

অসহায়ভাবে এই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘এত দিন আমিই পরিচিত অনেকের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি মানবিক কারণে, আর সেই আমারই তো আইসিইউ জুটবে না।’

ওই চিকিৎসকের মনের এই অবস্থা জানিয়ে কেন আইসিইউয়ের এমন আকাল হলো জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমাদের হাতে তো যথেষ্ট পরিমাণ আইসিইউ যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলোর তো এখন পর্যন্ত অভাব নেই। মূল অভাব হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনার জায়গায়। শুধু অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালগুলোতে এমন আইসিইউ সংকট তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সিএমএসডিতে অনেক যন্ত্রপাতি পড়ে আছে এক বছর ধরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেগুলো বিতরণ করতে পারছে না, ব্যবহারও করতে পারছে না। অধিদপ্তর শুধু ওই যন্ত্রপাতি চালানোর মতো লোকবলের ঘাটতির কথা বলছে। কেন তারা এই এক বছরেও তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেনি, সেটার দায় তো তাদের নিতে হবে।’

আইসিইউ

সরকার গঠিত করোনা মোকাবেলায় জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির হাসপাতাল পরিদর্শক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান কালের কণ্ঠকে বলেন, একদিকে মানুষ আইসিইউ না পেয়ে ঘুরছে, অন্যদিকে স্টোরে সেগুলো পড়ে আছে। এটা হয়েছে পরিকল্পনার ঘাটতি ও ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে না পারার কারণে। এ ছাড়া কেনাকাটা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। যদি জনবল না থাকে, তবে আগেই এগুলো কেন কেনা হলো আর কেনার পরে এত দিনেই কেন প্রশিক্ষণ দিয়ে জনবল তৈরি করা হলো না, সেটাও বোধগম্য নয়।

কী কী যন্ত্রপাতি প্রায় এক বছর ধরে গোডাউনে পড়ে আছে, জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার গোডাউনে এখনো ৩০০টি আইসিইউ বেড আছে, ১৬৬টি ভেন্টিলেটর আছে, ৩৩৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা আছে। এ ছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে, কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগ থেকে না চাইলে তো আমি জোর করে কাউকে পাঠিয়ে দিতে পারি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার নিজের কাছেই খারাপ লাগছে যখন দেখছি হাসপাতালে হাসপাতালে আইসিইউয়ের জন্য হাহাকার চলছে আর আমি আইসিইউ-ভেন্টিলেটর নিয়ে বসে আছি। আমি বিভিন্ন সময় এগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলছি, কিন্তু তার পরও অনেকেই নিচ্ছে না। যারা চেয়েছে তারা নিয়ে গেছে। এর মধ্যেই ১৩৪টি ভেন্টিলেটর বিভিন্ন হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে আমার কাছে চাহিদাপত্র পাঠালে যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে সব পাঠিয়ে দেব। আমি তো মনে করি, এবারও কভিডের ধাক্কা সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য আছে।’

করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী আইসিইউয়ের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫৯৬টি আইসিইউয়ের মধ্যে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৯২টিতে রোগী ছিল এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ফাঁকা পড়ে ছিল ২০৪টি। তবে এই আইসিইউ বেডের মধ্যে ঢাকায় ৩০৬টি আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়েছে, যার মধ্যে ২৬২টিতে রোগী আছে এবং ৪৪টি ফাঁকা বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আগের দিনের মতোই গতকালও ওই ফাঁকা বেডগুলোর হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে সব কটি থেকেই একই জবাব আসে, কোনো বেড ফাঁকা নেই।

বিশেষ করে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ১১টি এবং আজগর আলী হাসপাতালে ১৭টি আইসিইউ বেড ফাঁকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু এই হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে, সব বেডেই রোগী আছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কভিড হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩৩টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা আছে ৯৯৮টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আছে ৮৭৭টি।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা আজ (গতকাল) বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চাহিদা এনেছি। এখন সেগুলো আরেকটু যাচাই-বাছাই করে সিএমএসডির কাছে পাঠাব।’ এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘যন্ত্রপাতি পড়ে থাকলেও হাসপাতালে না পাঠানোর কারণ হচ্ছে জনবল ও জায়গার সংকট। অনেক হাসপাতালেই বর্ধিত আইসিইউ করার মতো জায়গা নেই। আবার এই আধুনিক যন্ত্রগুলো চালানোর মতো দক্ষ লোকও নেই। আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে কিছু কিছু তৈরি করছি।’

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড়। রিসোর্টে আটকে রাখা, সঙ্গে থাকা মহিলা কে, সেখানে কি ঘটেছিল এসব নিয়ে নানা খবর পরিবেশিত হয়েছে প্রায় সব দৈনিকে।  এ সম্পর্কে কালের কণ্ঠের এক খবরের শিরোনাম এরকম,

শহীদুলের ডিভোর্সি স্ত্রীকে 'মানবিক' কারণে বিয়ে করেন মামুনুল-

মাওলানা মামুনুল হক ও তাঁর স্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে গতকাল শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সময় তাঁকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী ‘রয়েল’ নামের ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান। এ সময় হেফাজতকর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুরও করেন।

ঐ নারীকে 'মানবিক' কারণে বিয়েও করেছেন বলে রবিবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে  'একটি মানবিক বিয়ের গল্প' শিরোনামে লিখেছেন বিস্তারিত। এদিকে মানবজমিন লিখেছে, মাওলানা মামুনুল হককে অপদস্তের জেরে ছাতক থানায় মামলা করা হয়েছে। দৈনিকটি আরও লিখেছে, মামুনুল হকের সঙ্গে অশুভ আচরণকারীদের গ্রেপ্তার দাবি খেলাফত মজলিসের।

৫০ কোটি গ্রাহকের ফেসবুক তথ্য অনলাইনে-বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বনাশ! প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ 

১০৬ টি দেশের ৫৩ কোটি ৩০ লক্ষ ইউজারের তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ 

ঐ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য অনলাইনে খুব সহজেই পাচ্ছে হ্যাকাররা। এসব তথ্যের মধ্যে আছে ফোন নাম্বার, ফেসবুক আইডি, পুরো নাম, ব্যবহারকারীর অবস্থান, জন্মতারিখ ও ই-মেইল ঠিকানা। হ্যাকারদের একটি ওয়েবসাইটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এ ধরনের বিভিন্ন মাধ্যমের সূত্র ধরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের খবর কয়েক বছর ধরেই প্রকাশিত হচ্ছে। তবে ফেসবুক এবং অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি বিশাল তথ্যভাণ্ডার সংগ্রহ করছে এবং ব্যবহারকারীরা যে বড় ধরনের ঝুঁকিতে আছে- এটা তার আরেকটি বড় উদাহরণ। ৫০ কোটি গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে বিজনেস ইনসাইডার। কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করছে ফেসবুক। আগে ব্যবহারকারীরা ফোন নম্বরের মাধ্যমে কাউকে খুঁজে বের করতে পারতেন। এই সুবিধা ব্যবহার করে রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ৮৭ মিলিয়ন ফেসবুক গ্রাহকের তথ্য 'চুরি' করায় ওই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষকরা একটি তথ্যভাণ্ডার খুঁজে পান যাতে ২৬৭ মিলিয়ন ফেসবুক গ্রাহের নাম, নাম্বার এমনকি ইউনিক ইউজার আইডিও ছিল।

নীরব' জামায়াত কী করছে-সমকাল

যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে ২০১৩ সালে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ২০১৫ সালে সহিংসতাপূর্ণ হরতাল-অবরোধ ডেকে রাজপথে থাকলেও গত কয়েক বছর বাহ্যত নীরব জামায়াতে ইসলামী। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর নানা ইস্যুতে হঠাৎ কিছু ঝটিকা মিছিল-জমায়েত এবং গণমাধ্যমে পাঠানো বক্তৃতা-বিবৃতি ছাড়া দলটির দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। তবে দলটির ভেতরে খবর যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে, প্রচণ্ড বৈরিতার মধ্যে, দুই দশকের পুরোনো মিত্র বিএনপির সঙ্গেও দূরত্ব নিয়ে জামায়াত নীরবে ধৈর্যের সঙ্গে সংগঠন গুছিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে অনুকূল সময়ের অপেক্ষা করছে। সর্বশেষ বিএনপি যখন বর্তমান কমিশনের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বর্জনের পথে, ঠিক তখনই ভোটের রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে জামায়াতে।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

'আগে ৫০ টা আসন পাক, পরে ২৯৪ টার স্বপ্ন দেখবে', বিজেপিকে খোঁচা মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

বিজেপি আগে ৫০ আসন পাক!- কটাক্ষ মমতার

বাংলা জয় নিয়ে নিশ্চিত তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবিরই। বঙ্গ সফরে এসে নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ বারবার বলেছেন, দু’শোর বেশি আসন নিয়ে এবার বাংলার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবিরের এই ‘স্বপ্ন’ অপূর্ণ থাকবে বলেই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। খানাকুল থেকে রবিবার তৃণমূল সু্প্রিমো বললেন, “আগে ৫০ টা আসন পান।” লাগাতার পুলিশ বদলি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মমতা। 

তৃতীয় দফায় অর্থাৎ আগামী ৬ এপ্রিল খানাকুলে নির্বাচন। তার আগে রবিবার সেখানে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তিনি বললেন, ক্ষমতায় আসা তো দূর অস্ত, ৫০ টি আসনও পাবে না বিজেপি। তাঁর কথায়, “আগে ৫০ টা আসন পান, পরে ২৯৪-এর স্বপ্ন দেখবেন।” এরপরই একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুললেন মোদির বিরুদ্ধে।

দিদির মন্দির ভালো লাগে না, দুর্গাপূজাও ভালো লাগে না, খানাকুলের সভায় মমতাকে কটাক্ষ যোগীর-আজকাল

তৃতীয় দফার আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ফের রাজ্যে সভা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। আরামবাগের খানাকুলে এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাম জমানার অবসান ঘটলেও বাংলায় নৈরাজ্য দূর হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গবাসী। বাংলায় অরাজকতা চলছে। পাশাপাশি যোগীর অভিযোগ, বিজেপির কার্যকর্তাদের হত্যা করছে তৃণমূল। সুদর্শন প্রামাণিককেও হত্যা করছে তৃণমূল। আরও একধাপ এগিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে যোগী বলেন, দিদির মন্দির বানানো পছন্দ নয়। এমনকি তিনি দুর্গাপূজোও পছন্দ করেন না। পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান হবে, প্রতিশ্রুতি যোগী আদিত্যনাথের।

আরএসএসের মতোই বিচ্ছিন্নতাবাদী বামেরা! কেরল থেকে বাংলার জোটসঙ্গীদের তোপ রাহুলের -সংবাদ প্রতিদিন

আরএসএস (RSS) এবং বামপন্থীরা একই মুদ্রার এপিট-ওপিট। কেরলের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শুধু কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলেন। কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তিনি কখনও সিপিএম (CPM) মুক্ত ভারতের কথা বলেন না। কারণ, তিনি জানেন বামেরা আসলে আরএসএসের মতোই বিচ্ছিন্নতাবাদী। সংঘের মতোই হিংসা আর ক্রোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী সিপিএম।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ