জুলাই ১৭, ২০২১ ১০:৫০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৭ জুলাই শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • পেন্ডুলামে দুলছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য-মানবজমিন
  • করোনা -ভয়ঙ্কর জুলাই, গন্তব্য কোথায়?-–মানবজমিন
  • সংক্রমণ পরিস্থিতি- উপসর্গে মৃত্যুও হঠাৎ বেড়েছে -প্রথম আলো
  • কারোনা সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা -ইত্তেফাক
  • নাটকীয় ঘটনা-গুদাম থেকে বের হলো ভালো চাল,পথিমধ্যে হয়ে গেল পঁচা!--কালের কণ্ঠ
  • করোনা সামাল দিতেই ব্যস্ত সবাই-ভোগান্তিতে দিশেহারা সাধারণ রোগী -যুগান্তর
  • যানবাহনের চাপে অচল দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • বিজেপি-আরএসএসকে ভয় পেলে কংগ্রেসে দরকার নেই: রাহুল গান্ধী -আনন্দবাজার
  • আগামী ১২৫ দিন খুব সাবধান’, Corona পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র -সংবাদ প্রতিদিন
  • নেশামুক্ত' বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত ১৬, ফের কাঠগড়ায় নীতিশ সরকার -আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভয়ঙ্কর জুলাই, গন্তব্য কোথায়?-মানবজমিন

ভয়ংকর জুলাই

ভয়ঙ্কর জুলাই। ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে গোটা দেশই এখন কাবু। সংক্রমণের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জেও। চলতি মাসের ১৬ দিনেই রেকর্ড সংখ্যক প্রায় পৌনে ২ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, করোনার কারণে এই মাসেই মৃত্যুর বিষাদময় তালিকায় নাম উঠেছে প্রায় ৩ হাজার জনের। ঢামেকের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছেন। যা এই তালিকার বাইরে থাকছে। এর মধ্যেই সরকারের লকডাউন ৮ দিন শিথিলতার ঘোষণায় আবারও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।এমনকি সংক্রমণ বৃদ্ধির সতর্কতার লাল বার্তাও দিয়েছে স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে গবেষকরা দেশে করোনার সংক্রমণের এই উচ্চ ধারা আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে চালিত গবেষণায় এসআইআর মডেলের মাধ্যমে তারা বলেছেন, দেশে আগস্টের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত দৈনিক ১৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। সরকারের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ (ফাইল ফটো)

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ মুহূর্তে ৪২টি দেশের করোনার ভবিষ্যৎ গতি প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড গ্লোবাল হেলথের অধ্যাপক লিসা হোয়াইট এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুলও গবেষণা করছেন। করোনার সংক্রমণের বর্তমান গতি প্রকৃতি বিষয়ে জানতে চাইলে এই অধ্যাপক মানবজমিনকে বলেন, এখন যে করোনার সংক্রমণ ধারা চলছে, এটা এই মাস তো থাকবেই এবং আগামী মাসের মাঝামাঝিতেও যেতে পারে। তাদের গবেষণায় ধারণা করা হয়েছিল যে লকডাউন চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এখন যেহেতু শিথিল করা হয়েছে এবং ঈদের পর কঠোর করার কথা বলছে। তাতেও সংক্রমণ আগামী মাসের মাঝামাঝি যাবে বলে তারা ধারণা দিয়েছেন। এই ধারণা এই মাসের ৬/৭ তারিখে তাদের গবেষণায় বলেছেন। সপ্তাহ অন্তর তারা এই ধরনের ধারণা দিচ্ছেন বলেও তিনি তুলে ধরেন। এই গবেষক আরও জানান, আমাদের করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে। এখন যা শনাক্ত হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে শনাক্ত ১০ গুণের বেশি হবে।ড. শাফিউন নাহিন শিমুল আরও বলেন, ভারতে যখন ৩ থেকে ৪ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল, তখনও ওই দেশের শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ওঠেনি। তাতে ভারতকে ভয়াবহ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে বর্তমানে গত কয়েকদিন ধরে করোনা রোগী ৩০ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে শনাক্ত হচ্ছে। এর থেকে বলা যায়, ভারতের চেয়ে আমরা ভালো আছি এটা বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবায় অ্যবস্থাপনা রয়েছে।

এদিকে তাদের গবেষণায় বাংলাদেশের করোনার গতি-প্রকৃতির ভবিষ্যৎ ধারণা দিয়ে বলা হয়, দেশে আগস্টের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত দৈনিক ১৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। দেশে যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব না। বর্তমান ব্যবস্থায় ১০ থেকে ১২ হাজার শনাক্ত করার সক্ষমতা রয়েছে। সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সংক্রমণ পরিস্থিতি- উপসর্গে মৃত্যুও হঠাৎ বেড়েছে-প্রথম আলো

করোনা সামাল দিতেই ব্যস্ত সবাই-ভোগান্তিতে দিশেহারা সাধারণ রোগী

জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় ষাটোর্ধ্ব জবেদ আলী মোড়লকে ৮ জুলাই রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনেরা। সেখানেই ১২ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মোট চার দিন ছিলেন তিনি। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তাঁর করোনার পরীক্ষা করা হয়নি।

জবেদ আলীর মৃত্যুর দুদিন পর করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের মহিউদ্দিন (৬৫)। তিনি মারা যান ১৫ জুলাই সন্ধ্যায়। তাঁর ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেন, বাবার করোনা পরীক্ষা হয়নি।

করোনার উপসর্গ নিয়ে জবেদ আলী ও মহিউদ্দিনের মতো সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত সাত দিনে মারা গেছেন ৪৫ জন। এই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে রোগীর বুকের সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, ৩০ শতাংশ ফুসফুস আক্রান্ত। ফুসফুস আক্রান্ত হলে অনেক সময় করোনা পরীক্ষা করা হয় না।

উপসর্গ আছে, কিন্তু পরীক্ষা হয়নি—এমন কোনো রোগী মারা যাওয়ার পর করোনায় মৃতদের সরকারি তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয় কি না, জানতে চাইলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস মণ্ডল বলেন, যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের করোনা চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসা পাওয়াই মূল কথা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া রোগীদের পাশাপাশি দেশে দুই সপ্তাহ ধরে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বাড়ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই মৃত্যু হচ্ছে।

আবার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসার পর মৃত্যু হলেও কিছু ক্ষেত্রে ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিশেষ করে যেসব রোগী হাসপাতালে আসার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছেন, তাঁদের নমুনা নেওয়া হয় না বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর কারও করোনা শনাক্ত হলে তা সরকারি হিসাবে দেখানো হয় কি না, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

দেশে গত বছরের মার্চে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৩৯ জনের। * গত ২৩ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে করোনার উপসর্গে ৪৮৬ জনের মৃত্যু। এর মধ্যে খুলনা বিভাগেই মারা গেছেন ২১৬ জন।

দেশে এখন চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা দেড়লাখ।

করোনা সামাল দিতেই ব্যস্ত সবাই-ভোগান্তিতে দিশেহারা সাধারণ রোগী-যুগান্তর

কোনোভাবেই নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয় -অধ্যাপক কামরুল হাসান খান

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ৯টা। রাজধানীর উত্তরায় একটি রিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। রিকশা আরোহী শিউলি আক্তার (৪০) রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাৎক্ষণিকভাব তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রথমে রোগীকে ভর্তি নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে স্বজনদের অনুরোধে ভর্তি করালেও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার অজুহাতে মুমূর্ষু এ রোগীর কোনো চিকিৎসা করেননি চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে বিনা চিকিৎসায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিউলি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

রোগীর স্বজনদের অনুনয়-বিনয়েও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মন গলেনি। একপর্যায়ে তারা জানিয়ে দেন পরিচালকের নির্দেশ কোভিড পরীক্ষা ছাড়া কোনো রোগীর চিকিৎসা হবে না।

শুধু শিউলি আক্তারই নন, বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নন-কোভিড (অন্য রোগে আক্রান্ত) রোগীদের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রীতিমতো দিশেহারা তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় রোগী নিয়ে একরকম হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। একদিকে কোভিড (করোনা) রোগীরা অক্সিজেন-আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) পেতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন। অন্যদিকে আছে শয্যা ও চিকিৎসক সংকটও। এরই মধ্যে রোগীর চাপে রাজধানীর ১৭টি কোভিড-ডেডিকেটেড সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে।

ঢাকার বাইরের অনেক হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী চিকিৎসাধীন। সব মিলিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতেই মহাব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে নন-কোভিড রোগীদের বলা হচ্ছে-আগে কোভিড টেস্ট, এরপর অন্য রোগের চিকিৎসা-এমন অজুহাতে জরুরি সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোভিড, নন-কোভিড সব রোগীর চিকিৎসা সমভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

কারোনা সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা-ইত্তেফাক

করোনাভাইরাস আক্রান্তের সঙ্গে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এডিস মশা। চলতি বছরে এডিস মশার কামড়ে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ছাড়িয়েছে।

করোনার ভয়ে যখন পুরো দেশ আতঙ্কে, তখন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। গত ছয় মাসে যে পরিমাণ আক্রান্ত ছিল, সেটি গত ১৫ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি সামনে আরো ভয়াবহ হতে পারে। যে কারণে এখনই ডেঙ্গু রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

করোনা, কোরবানি ঈদ, কেনাকাটা এবং নাড়ির টানে ঘরে ফেরা

কোরবানির ঈদ সামনে। ঈদ উপলক্ষে ভয়াবহ করোনার মধ্যেই মানুষের ঘরে ফেরার ঢল নেমেছে। পথে পথে ভোগান্তি তবুও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গাবতলী থেকে বেলা ১ টায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সেই বাস ছেড়েছে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। এছাড়ায় পথে পথে তো নানা ভোগান্তি আছে। তারমধ্যে ঢাকায় ১৯ টি পশুর হাটে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। এসব হাট নিয়ে শঙ্কায় পুলিশ প্রধান। কড়া নজরদারি ও কতখানি করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব তা নিয়ে শঙ্কা পুলিশ প্রধানের।

পেন্ডুলামে দুলছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য-মানবজমিন

করোনায় শিক্ষার্থীরা সংকটে

৪৮০ দিন ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে দীর্ঘ এই অপেক্ষার প্রহর কাটছেই না। বরং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমস্যা। দেশে অধ্যয়নরত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছেন। তাদের জীবন পেণ্ডুলামের মতো এদিক-ওদিক শুধুই ঘুরছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব থেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছেন চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। এই দুই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীর। ১লা ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও ১লা এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার থাবায় স্থগিত হয়ে যায় সব পরীক্ষা।

এরপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ৬০ ও এইচএসসি ৮৪ দিনের ক্লাসযোগ্য সিলেবাস প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাদের ক্লাসে ফেরানো সম্ভব না হওয়ায় নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ৩ বিষয়ে পরীক্ষার নেয়ার কথা বলা হয়। সময়, নম্বর কমিয়ে নৈর্বাচিক তিন বিষয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। বাকি বিষয়গুলো সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মার্কিং করা হবে। আর তাও সম্ভব না হলে সাবজেক্ট ম্যাপিং ও অ্যাসাইন্টমেন্টের মাধ্যমে ফলাফল দেয়া হবে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় অংশ না নিতে পেরে চরম হতাশায় ভুগছেন ছাত্রছাত্রীরা।

এরই সঙ্গে চলতি বছরের পিইসি, জেএসসি পরীক্ষার্থীরাও আছে দ্বিধায়। হাতে কয়েক মাস সময় থাকলেও পরীক্ষা হবে কি-না, হলে কীভাবে- এই চিন্তা সর্বক্ষণ কুরে কুরে খাচ্ছে তাদের। বার্ষিক পরীক্ষার্থীরাও আছেন এই তালিকায়। ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের কলেজে না গিয়েই কেটেছে দেড় বছর।

দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলোর সংকট আরও বেশি। বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসা বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আছেন চরম দুর্ভোগে। এসব মাদ্রাসার সিংহভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র, এতিম। এসব মাদ্রাসা সাধারণ দানের অর্থে পরিচালিত হয়। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা যেতে না পারায় সটকে যাচ্ছে শিক্ষা থেকে। দরিদ্র পরিবারের এই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আয়মুখী কাজে জড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে মাদ্রাসায় না ফেরার সম্ভাবনা। যদিও নির্দেশনা অমান্য করে চলছে কিছু মাদ্রাসা।

এদিকে ভর্তির আগেই দেড় বছরের সেশনজটে পতিত হয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা। ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই পাস করিয়ে দেয়া হয় সবাইকে। এই বছরের পরীক্ষার্থীদের এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে নতুন বছরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। জুলাই থেকে ধরা হয় শিক্ষাবর্ষ। দু’এক মাসের মধ্যেও যদি ভর্তি পরীক্ষা হলে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস করানো সম্ভব হবে। সেই হিসেবে ২০২০ সালে ‘অটোপাস’ পাওয়া ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার আগেই পতিত হয়েছেন দেড় বছরের সেশনজটে। আর চলতি বছরের পরীক্ষার্থীরাও স্বভাবতই সেশনজটের কবলে পড়বেন।

এ বছর দেশে ৩ গুচ্ছে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, কৃষি গুচ্ছের সাত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বারবার সম্ভাব্য তারিখ দিয়েও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার তারিখ দিয়েও পিছিয়ে দেয়। পিছিয়ে যায় সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষাও।

আর দেশের বৃহৎ শিক্ষার্থীর একটি অংশ ভর্তি হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তি করানো হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পরীক্ষাও থমকে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারছেন না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের পরই ফেরানো হবে ক্যাম্পাসে। ৩৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০টি আবাসিক হলের ১ লাখ ৩ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী আছেন যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। শতভাগ আবাসিক শিক্ষার্থীর টিকা প্রদান নিয়েও আছে জটিলতা।

করোনার ছোবলে পায়ের নিচের মাটি যেন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের। দেড় বছর চাকরির পরীক্ষা বন্ধ থাকা ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়াতে এই সংকট দেখা দিয়েছে। আটকে আছে তিতাস গ্যাস, সিলেট গ্যাস ফিল্ড, সেতু বিভাগ, পল্লী বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি পরীক্ষা। তবে দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ৫৪ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের ফল প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত এই ফলে স্বস্তি মিলেছে প্রত্যাশীদের। করোনার বিস্তর মোকাবিলায় সরকারি বিধিনিষেধের কবলে আটকে আছে একাধিক সরকারি চাকরি পরীক্ষা। জট লেগেছে বিসিএস’র একাধিক পরীক্ষায়।

করোনায় সময় চলে গেলেও সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বয়স থেমে নেই। করোনার নষ্ট সময় ফিরে পেতে আন্দোলনও করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ চাই’- ব্যানারে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করছে ‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ চাই’ নামে একটি প্ল্যাটফরম।

বিপদের শেষ নেই কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আমরা ১০ লাখ শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছি। সেইসঙ্গে মানবেতর জীবনযাপন করছে ১০ লাখ পরিবার। দেশে ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা পড়াতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের প্রায় শতভাগ শিক্ষক চাকরি, বেতন হারিয়ে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। অনেক শিক্ষক ভিন্ন পেশায় গিয়ে কোনো মতে জীবনযাপন করছেন।

সামগ্রিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সিংহভাগ শহুরে শিক্ষার্থী ভুগছেন মানসিক সমস্যায়। গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিবাহের ছোবলে ছাত্রীরা। ছাত্ররা জড়িয়ে পড়ছেন আয়মুখী কাজে। শহুরে শিক্ষার্থীরা এই মানসিক চাপ হয়তো বয়ে বেড়াবেন আজীবন। গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীর আর হয়তো ফেরা হবে না বই-খাতা হাতে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে। আর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে মাদকসহ অনলাইন গেমের ছোবল।

গুদাম থেকে বের হলো ভালো চাল, পথিমধ্যে হয়ে গেল পঁচা!-কালের কণ্ঠ

ভিজিএফ‘র ১৫০ বস্তা চাল নিয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটল।

সরকারের দেওয়া দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের উন্নতমানের চাল খাদ্যগুদাম থেকে বের হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার আগেই সেই চাল খাওয়ার অযোগ্য পঁচা ও দুর্গন্ধে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি হাস্যরসের হলেও জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার (ওসিএলএসডি) যোগসাজসে মিল চাতাল ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এই নাটকীয় ঘটনা ঘটার পর উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩০০ অসহায় দুস্থদের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হাতিয়া ইউনিয়নে বিতরণের জন্য ৬টি ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ৯০০ বস্তা ভালো চাল খাদ্য গুদাম থেকে বের করা হয়। প্রতি ট্রলিতে ১৫০টি করে বস্তা ছিল। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর আলমের যোগসাজসে সিন্ডিকেট চক্রটি কোনো এক জায়গায় ৬টি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ির দেড় শ বস্তা ভালো চাল নামিয়ে নিয়ে খাওয়ার অযোগ্য পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পাঠিয়ে দেয়। 

শুক্রবার দুপুরে চালের বস্তাগুলো পরিষদের গোডাউনে নামাতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সন্দেহ হয়। পরে বস্তার মুখ খুলে ১৫০টি বস্তায় পঁচা ও দুর্গন্ধ চাল দেখতে পান। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অসাদু গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর আলমকে অবহিত করেন। গুদাম কর্মকর্তা পঁচা চালের বস্তাগুলো ফেরত পাঠাতে বললেও এর কিছু সময় পরে চালগুলো তার নয় বলে অস্বীকার করেন তি‌নি। এ নিয়ে দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন।

নিম্নমানের চাল বহনকারী গাড়ির চালক নাহিদ ইসলাম বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে যে বস্তা দিয়েছে আমি সেই বস্তা এনেছি। চাল ভালো না খারাপ সেটা তো আর আমি দেখিনি। চালগুলো পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান নিতে রাজি হয়নি। 

এ বিষয়ে হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সরকার দুস্থদের ভালো চাল দিল, আর এরা আমার ইউনিয়নের জনগণের জন্য পঁচা দুর্গন্ধ চাল পাঠাল।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ প্রতিদিনের শিরোনাম-আগামী ১২৫ দিন খুব সাবধান’, Corona পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। আগামী ১০০-১২৫ দিন খুব সাবধান। করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতি নিয়ে সাবধান করল কেন্দ্র। শুক্রবার সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক তথা নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সদস্য ভিকে পল। এদিন তিনি জানান, “সংক্রমিতের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। এটা বিপদ সংকেত। আগামী ১০০-১২৫ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য খুব কঠিন সময়।”

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেকায়দায় গোটা দেশ।ভিকে পল বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি এখনও দেশে তৈরি হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণের খবর আসছে। কিন্তু সেই সংক্রমণ আটকাতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১২৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে।” তিনি আরও জানান, “করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক করেছেন। অন্য দেশের পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।”

বিজেপি-আরএসএসকে ভয় পেলে কংগ্রেসে দরকার নেই: রাহুল গান্ধী-আনন্দবাজার পত্রিকা

রাহুল গান্ধী (ফাইল ফটো)

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) যারা ভয় পান না, তাদের কংগ্রেসে নিয়ে আসতে হবে। যারা কংগ্রেসে থেকেও ভয় পাচ্ছেন, তাদের কংগ্রেসে দরকার নেই বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

দলের মধ্যে রাহুল গান্ধীর এই ‘শুদ্ধকরণ’-এর ডাক প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও নতুন করে উস্কে দিল।

শুক্রবার কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নির্ভীক লোক জন দরকার। এটাই আমাদের মতাদর্শ।’

এরপর দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা আরএসএসকে ভয় পান না। তারা আমাদেরই লোক। তাদের দলের ভেতরে নিয়ে আসতে হবে। আর আমাদের মধ্যে যারা ভয় পাচ্ছেন, তাদের বলে দিতে হবে, যাও ভাই, পালাও, তোমরা আরএসএসের লোক। তোমরা ভোগ করো, যাও, তোমাদের দরকার নেই। 

নেশামুক্ত' বিহারে বিষমদ খেয়ে মৃত ১৬, ফের কাঠগড়ায় নীতিশ সরকার-আজকাল পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখঅ হয়েছে,ড্রাই স্টেট’ বিহারে (Bihar) বিষমদ খেয়ে মৃত ১৬। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। দোষীদের পাকড়াও করতে ইতিমধ্যে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বুধবার থেকে এপর্যন্ত বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল বিষাক্ত নেশার হাতছানিতে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন।এদিকে, এই ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘নেশামুক্তি’র নামে মদের অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বিহারে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার বেআইনি মদের সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে বলেও দাবি করেন লালু। এদিকে, বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যটির শাসকদল।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ