রাজস্থানের নাফিসার ঘটনায় নানা প্রশ্ন!
রাজস্থানের নাফিসার চাকরি গেল, গ্রেপ্তার ও জেলহাজত খাটল! প্রশ্ন উঠল অনেক!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৩ নভেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- নথি চুরি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী-সচিবদের সেই অতি উৎসাহ কই গেল?-প্রথম আলো
- মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী-মানবজমিন
- শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ -ইত্তেফাক
- সিঙ্গার বাংলাদেশের ৯৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি-যুগান্তর
- জলবায়ু সম্মেলন-২০২১ বন কাটা বন্ধে ঐতিহাসিক চুক্তি, মিথেন কমাতেও সম্মত ৮০ দেশ-কালের কণ্ঠ
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- আন্দোলনবিমুখ’ কংগ্রেস শক্তি হারাচ্ছে, বিকল্প মমতাই! ‘জাগো বাংলা’য় ফের তোপ তৃণমূলের - সংবাদ প্রতিদিন
- সন্ত্রাসের আবহে ভোট হয়েছে’, ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হেরে ‘সাফাই’ দিলীপ ঘোষের-সংবাদ প্রতিদিন
- কোহলীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদ্যাপন করে হাজতে স্কুলশিক্ষিকা, গেল চাকরিও -আনন্দবাজার পত্রিকা
- উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়লেও বাড়ল বামেদের ভোট শতাংশ -আজকাল
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
প্রশাসনের ওপর দায় চাপাচ্ছে কমিশন-ইত্তেফাক
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার দায় স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিব্রত ও উদ্বিগ্ন ইসি সহিংসতার ঘটনার দায় নিতে নারাজ। নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে বলে স্বীকার করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক নয়।’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আমরা ম্যাসেজ দিতে চাই, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে এর দায় তাদের ওপরও বর্তাবে। তাদেরকেও জবাবদিহিতার অধীনে আনবো।’ গত ২০ জুন ইউপি নির্বাচন শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।বিভিন্ন স্থানে শতাধিক সহিংসতা হয় নির্বাচনী পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে আছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আছে। তবে নির্বাচনি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন বলে জানিযেছেন সিইসি।তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি।
নথি চুরি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী-সচিবদের সেই অতি উৎসাহ কই গেল?-প্রথম আলো
আপনাদের নিশ্চয়ই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটক করার কথা মনে আছে। দিনটি ছিল চলতি ২০২১ সালের ১৮ মে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ওই দিন বেলা তিনটা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা তাঁকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনা এখানেই শেষ ছিল না। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থানায়। সেখানে প্রায় ১১ ঘণ্টা পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দেওয়া হয়। এই নামে যে একটি আইন এখনো আছে, মানুষ তা ভুলেই গিয়েছিল। গুদামঘর থেকে খুঁজে বের করে সেই আইনে দেওয়া মামলায় পরদিন তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে। পাঁচ দিন পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রোজিনা ইসলাম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি গায়েব, শাহবাগ থানায় জিডি-ইত্তেফাক/প্রথম আলো
থানায় সোপর্দ করার মধ্যেই কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতি উৎসাহ কমে যায়নি। পরের দিন থেকে রোজিনা ইসলামকে হেয় করতে সর্বশক্তি নিয়ে নেমে পড়েছিল। মন্ত্রণালয়ে আটক থাকার সময়ে অসুস্থবোধ করায় রোজিনা হঠাৎ মাটিতে শুয়ে পড়েছিলেন। এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সাংবাদিক নিজেই মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছিল’। এই হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সংবেদনশীলতার নমুনা।
ঘটনার পরের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণের করের অর্থ ব্যয় করে রোজিনা ইসলামকে বিষোদ্গার করে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছিলেন। সেখানে বলা ছিল, ‘...এতে প্রতীয়মান হয় যে... (এতে প্রমাণিত হয় যে তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরি করেছিলেন।) ’ অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপনে কোনো প্রমাণ ছাড়াই রোজিনা ইসলামকে ‘চোর’ বলা হয়েছিল। এ বক্তব্য অবশ্যই মানহানিকর।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সেই মামলা প্রত্যাহার হয়নি। হয়রানি এখনো বন্ধ হয়নি। নানাভাবে তাঁকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি পেশাগত কাজে প্রয়োজনীয় অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড। রোজিনা ইসলামের দোষ কী? তিনি নিয়োগ-বাণিজ্যসহ করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং করোনার টিকার বিষয়ে একের পর এক প্রতিবেদন লিখেছিলেন। যার কারণে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা। এমনকি সেসব সংবাদ যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণও হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি হয় সরকারি কেনাকাটায়। কেনাকাটা বেশি হয়, এমন খাতের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্যতম। আবার করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটা বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ফলে দুর্নীতির একটি বড় জায়গা হচ্ছে এই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সন্দেহ নেই এর সঙ্গে জড়িত মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে নথি চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেখানেই সত্যি সত্যি নথি গায়েব হয়ে গেছে। আর এই নথি গায়েবের মামলা তদন্তে নেমে পুলিশের সিআইডি আটক করেছে মন্ত্রণালয়েরই কর্মকর্তা–কর্মচারীদের। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের।
একসঙ্গে ১৭ নথি গায়েব। এর মধ্যে কয়েকটি আছে কেনাকাটা–সংক্রান্ত। আর এখন তো জানা যাচ্ছে, নথি গায়েব এই প্রথম নয়। এক মাস আগেও বেশ কয়েকটি নথি গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তারও সুরাহা এখনো হয়নি। খুব বেশি লোককে জানতেও দেওয়া হয়নি। এসব ক্ষেত্রে গোপন রাখার চেষ্টা হয় বলেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ফলে আবার নথি গায়েব।
সত্যিকার নথি গায়েবের পরে অতি উৎসাহী স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব বা অতিরিক্ত সচিবের অবশ্য কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কোনো বক্তব্যও নিজ থেকে দেননি। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সত্যিকারভাবে গায়েবের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে অর্থ খরচ করে বিজ্ঞাপনও চোখে পড়ছে না। ন্যূনতম স্বচ্ছতা বা জবাবদিহির সামান্য প্রয়োজনও বোধ করছে না তারা। তাদের সব চেষ্টা কেবল দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য প্রচারকারীর বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্যের নথি গায়েব-নিরাপত্তার ঘাটতির কথা আগে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি-প্রথম আলো
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের যে কক্ষ থেকে ১৭টি নথি চুরি হয়েছে, সেখান থেকে এর আগে একবার নথি গায়েব হয়েছিল। তখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই কক্ষের নথিপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নাম না প্রকাশের শর্তে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে নথি চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক। ভেতরের কেউ জড়িত না থাকলে নথি গায়েব করা কঠিন। জানানোর পরও আগে নথির নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় একই ঘটনা আবার ঘটল। এর দায় এড়াতে পারেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
মানবজমিনের প্রতিবেদন-স্বাস্থ্যের নথি গায়েব নজরদারিতে সিন্ডিকেট।আরেকটি খবর মামুন একাই সাবাড় করেন ৬০ পার্সেন্ট।
এদিকে, ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। প্রথম আলোর এ খবরে লেখা হয়েছে, সাহসী সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম, যিনি বাংলাদেশে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম তুলে ধরতে গিয়ে নিগ্রহ, নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড তাঁকে এ বছরের ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ দিয়েছে। তিনি পুরস্কারটি পেয়েছেন সেরা অদম্য সাংবাদিক বা মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট শ্রেণিতে।
মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য লড়াই করা সাংবাদিকদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। গত বছর একই পুরস্কার পেয়েছিলেন এ বছর শান্তিতে নোবেল পাওয়া ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার উৎকর্ষের জন্য বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশে কাজ করে ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড। বিশ্বব্যাপী ৯০টির বেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের।
সিঙ্গার বাংলাদেশের ৯৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি-যুগান্তর
শো-রুম, ওয়্যারহাউজের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে উপকরণ রেয়াত নিয়ে মাত্র চার মাসে ৯৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বহুজাতিক ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড।
দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসলেও সম্প্রতি বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ-ভ্যাট) অভিযানে বিষয়টি ধরা পড়ে। পাওনা পরিশোধে ইতোমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ-ইত্তেফাক
আজ জেল হত্যা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে বন্দি করে রাখা হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেই বছরের ৩ নভেম্বর ইতিহাসের আরেকটি নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। কারাগারের সেলেই গুলি করে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। জাতীয় এই চার নেতার স্মরণে আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) নানা আয়োজনে পালিত হবে জেলহত্যা দিবস। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দৈনিক মানবজমিনের দুটো শিরোনাম তুলে ধরছি। একটি হচ্ছে, প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। অপরটি অর্থের অভাবে মালয়েশিয়ায় পড়ে আছে বাংলাদেশির লাশ।মালয়েশিয়ায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর ১৭ দিন ধরে একটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে এক হতভাগ্য বাংলাদেশির লাশ। পরিবার দরিদ্র হওয়ার কারণে মরদেহ বাংলাদেশে নেয়ার খরচ জোগাতে পারছে না। তাই যেকোনো পন্থায় মালয়েশিয়ার মাটিতে লাশ দাফনের সম্মতি দিয়েছে পরিবার।
প্রশ্ন প্রায়শ শোনা যায় প্রবাসীরা রক্তপানি করে দেশে রেমিটেন্স পাঠান অথচ সেই প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দর থেকে শুরু বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন। কিংবা প্রবাসে থাকার সময় দূতাবাসের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পান না বলে অভিযোগ করতে দেখা যায়। কোনো কারণে প্রবাসে কোনো শ্রমিক বিপদে পড়লে বা বেতন ভাতা সহ নানা কারণে বঞ্চিত হয়ে দূতাবাসের কাছ থেকে সেভাবে সহায়তা পান না এমন খবর প্রায়ই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। কোনো কারণে মৃত্যু হলে লেই লাশটি দেশে পাঠানোর টাকা মেলে না। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে এই মুহূর্তে মরদেহ পাঠানোর সুযোগ নেই। তবে পরিবার যদি ইউএনও বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদন করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তাহলে সরকার রাজি হলে তখন সরকারি খরচে লাশ দেশে পাঠানো যেতে পারে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
আন্দোলনবিমুখ’ কংগ্রেস শক্তি হারাচ্ছে, বিকল্প মমতাই! ‘জাগো বাংলা’য় ফের তোপ তৃণমূলের-সংবাদ পত্রিকা

বাংলা-সহ ১৩ রাজ্যের ২৯ বিধানসভা এবং ৩ লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই ফের একযোগে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে নিশানা করল তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের দাবি, একের পর এক রাজ্যে শক্তি হারাচ্ছে বিজেপি। এই ফলাফলেই স্পষ্ট বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল বলছে, ক্রমশ বিজেপির সঙ্গে আপস করা এবং আন্দোলনবিমুখতা শক্তিহীন করছে বিরোধী কংগ্রেসকেও। তাই দিল্লিতে বিজেপির বিরোধী হয়ে উঠতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই।গতকালই ১৩ রাজ্যের ২৯টি বিধানসভা এবং ৩টি লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। উপনির্বাচনের ফলাফল বিজেপির জন্য ছোটখাট হলেও ধাক্কা। কারণ, বাংলায় ৪ আসনের মধ্যে ৩ আসনে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হিমাচলে ৩টি বিধানসভা আসন এবং ১টি লোকসভা আসনের সবকটিই তারা হেরেছে।
সন্ত্রাসের আবহে ভোট হয়েছে’, ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হেরে ‘সাফাই’ দিলীপ ঘোষের-সংবাদ প্রতিদিন
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (West Bengal By Election) ফলঘোষণা।”পরাজয় মেনে নিচ্ছি। তবে আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” বললেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির। শান্তিপুর ছাড়া বাকি তিন কেন্দ্রের জামানত বাজেয়াপ্ত হল গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের। দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁদের। চারটি কেন্দ্রেই জামানত গিয়েছে বাম প্রার্থীদের।
শতাংশের হারে ভোটপ্রাপ্তি ঊর্ধ্বমুখী, উপনির্বাচনের ফলে আশার আলো বাম শিবিরে-আজকাল
চারের মধ্যে তিনটিতে জমানত বাজেয়াপ্ত। তৃতীয় হয়েও মুখ বাঁচিয়েছে শান্তিপুর। তারপরেও আশার আলো বাম শিবিরে (Left Front)। শতাংশের বিচারে গেরুয়া শিবিরে গ্রাফ যখন নিম্নমুখী তখন ঊর্ধ্বমুখী বামেদের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ। যতো দিন যাবে রাজ্যে বামেদের কামব্যাক হতে বাধ্য বলেই মনে করছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।বিধানসভা ভোটে ৫ শতাংশের নিচে ভোট পায় সিপিএম (CPIM)। আর বামফ্রন্ট পায় ৭ শতাংশের কাছাকাছি। উপনির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উপনির্বাচনে বিজেপির ভোট কমলেও তা নিজেদের ঝুলিতে আনতে ব্যর্থ হয় বাম শিবির। ভোট যায় শাসকদলের পকেটে। এবার উপনির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট জানিয়ে দেন কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে নির্বাচনী জোট হয়েছিল। ‘ভোট শেষ। তাই জোট শেষ।’ সিপিএম নেতৃত্বের অবস্থান বদলে ক্ষুব্ধ হয় বিধানভবন। কংগ্রেস জোট ভাঙার দায় নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। তারপরেও উপনির্বাচনের আগে শান্তিপুরে প্রার্থী দিতে চেয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথাও বলেও তিনি। কিন্তু প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। শান্তিপুরে জোট ভেঙে প্রার্থী দেয় সিপিএম ও কংগ্রেস। যদিও বাকি তিন আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস।
এককভাবে লড়াই করে এবার ১০ শতাংশ ভোট নিজেদের ঝুলিতে আনতে সক্ষম বামেরা। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি ৩৮ শতাংশ থেকে নেমে যখন ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তখন তিন শতাংশ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছে বামেরা। তবে এককভাবে সিপিএম দু’টি আসনে লড়াই করে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

কোহলীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় উদ্যাপন করে হাজতে স্কুলশিক্ষিকা, গেল চাকরিও-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর মতো নাফিসা আটারিও সেই রবিবার টেলিভিশনের সামনে থেকে উঠতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখবেন বলে শুরু থেকেই তৈরি হয়েছিলেন। দু’ দিন পরে রাজস্থানের উদয়পুরের নিরজা মোদী স্কুলের এই শিক্ষিকার জায়গা হয়েছিল হাজতে। অপরাধ, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস, যেখানে পাকিস্তানের জয়ের উল্লাস লেখা ছিল।
উদয়পুরের অম্বা মাতা থানার পুলিশ নাফিসাকে গ্রেফতার করে। অম্বা মাতা থানার পুলিশ আধিকারিক নরপত সিংহ জানান, নাফিসাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ বি (জাতীয় সংহতি বিরোধী) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁর জেল হয়।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাফিসার গ্রেফতারের ঘটনায় আরও একবার বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রে মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। যদিও অধিকাংশ গ্রেফতারের ঘটনা যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের বরেলী, আগরা, লখনউয়ে। কিন্তু কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে অশোক গহলৌতের পুলিশ যে ভাবে নাফিসাকে গ্রেফতার করেছে, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের কাছে বিরাট কোহলীর ভারত ১০ উইকেটে হারার পর নাফিসা তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে লিখেছিলেন, ‘জিত গ্যায়ে…. উই ওয়ান’ (আমরা জিতে গিয়েছি)। সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ছবি দেন। এই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস তাঁর কোনও এক ছাত্রের বাবার নজরে আসে। তিনি বাকিদের তা পাঠিয়ে দেন। এরপর এটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। নাফিসার জেল হয়। স্কুলের চাকরিটিও খোয়াতে হয়।‘অপরাধ’-এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন নাফিসা। রাজস্থানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘সে দিন একজন আমার স্টেটাস দেখে হোয়াটসঅ্যাপেই জানতে চেয়েছিলেন, আমি পাকিস্তানকে সমর্থন করছি কি না। সঙ্গে কিছু হাসির ইমোজিও ছিল। মনে হয়েছিল হাল্কা মেজাজে মজা করে আমাকে এই প্রশ্ন করা হয়েছে। আমিও হাসতে হাসতেই বলেছিলাম ‘হ্যাঁ’। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, আমি পাকিস্তানকে সমর্থন করি। আমি ভারতীয়। ভারতকে ভালবাসি। আপাতত জামিনে মুক্ত নাফিসা বাড়িতে স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গে রয়েছেন। আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।
তাঁর আইনজীবী রাজেশ সিংভি বলেছেন, ‘‘পুলিশ সম্পূর্ণ ভুল কাজ করেছে। কেউ ভুল করলে, বা কেউ কারও সঙ্গে একমত না হলে সেটাকে কখনোই দেশদ্রোহিতা বলা যায় না। এটা আমাদের সংবিধান বিরোধী।’’
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩