গত কয়েকটি আসর থেকে আমরা দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে বেড়াচ্ছি। এখানকার সবচেয়ে বড়ো প্রদেশ সিস্তান ও বেলুচিস্তানের দৈর্ঘ্য এক লাখ একাশি হাজার পাঁচ শ' আটাত্তর বর্গকিলোমিটার।
যাহেদান শহর ঘুরে দেখার আগে বোধ করি এই প্রাদেশিক শহরটির ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবস্থানের সঙ্গে খানিকটা পরিচিত হওয়া মন্দ হবে না। সিস্তান বেলুচিস্তানের উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় শহরটি অবস্থিত।
বেলুচিস্তানের আয়তন এক লাখ তিয়াত্তর হাজার বর্গকিলোমিটার। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বপ্রান্তের শেষ সীমানা নির্ধারিত হয়েছে এই প্রদেশের মাধ্যমে।
আজকের আসরে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, সিস্তানীরা ইরানের মূল অধিবাসী এবং আর্য বংশীয়।
সভ্যতার লালনভূমি ইরানের বিচিত্র প্রকৃতি আর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এ আসরে আজ আমরা যাবো দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের দিকে। এখানকার বড়ো একটি প্রদেশ হলো সিস্তান ও বেলুচিস্তান।
আজকের আসরে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দেখা শিরাজ প্রদেশের প্রতি সংক্ষিপ্ত দৃষ্টি মেলে যাবো অন্য কোনোদিকে।
ইসলাম ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা প্রাচীন সভ্যতার সম্রাজ্য ইরান। সেই ইরানের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি কালচার নিয়ে রচিত গ্রন্থ 'ইরানের পথে প্রান্তরে'। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুমিত আল রশিদ রচিত বইটিকে আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন সেটা নিয়ে যদিও একটু দ্বিধায় পড়ে যাবেন। তবুও বইটি ভ্রমণ পিপাসু পাঠক মনে নির্দ্বিধায় জায়গা করে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।
গত আসরের পরিসমাপ্তি টেনেছিলাম পার্সপোলিস থেকে আনুমানিক ছয় কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত নাকশে রুস্তামের উল্লেখ করে। নাকশে রুস্তাম হলো দারিয়ূস, জেরাক্সেস বা খাশাইয়ারশাহ প্রথম ও দ্বিতীয়, আর্থাজারেক্সেসের সমাধিস্থল।
জনাব, আসসালামু আলাইকুম। রেডিও তেহরানের একঝাঁক সদাজাগ্রত নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ও একঝাঁক বেতারপ্রিয় শ্রোতাকে অগণিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আজকের লেখা।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশে হাতেগোনা কয়েকটি অক্ষত লবণের গুহা রয়েছে, যার অন্যতম খেরসিন। গুহাটি হরমুজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে সিয়াহোতে অবস্থিত। এটি পিচ্ছিল লবণ পাথর দিয়ে তৈরি।