Pars Today
জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি স্কুলগুলোর পাঠ্যক্রমে বিকৃত ইতিহাস ঢুকিয়ে দেয়ার ইসরাইলি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একদিনের ধর্মঘট পালন করছে পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের ফিলিস্তিনি স্কুলগুলো।
দৈনিক মজুরী ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা নির্ধারন করার দাবিতে বাংলাদেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের ধর্মঘট আজ ১৪তম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। তবে আজ (শুক্রবার) শ্রমিকদের সভা–সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। বাগান মালিকদের সঙ্গে আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে ইতিবাচক ফলাফলের আশা করছেন শ্রমিকরা।
দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান চা-শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানেরা আজ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী উপজেলার খেজুরিছড়া চা-বাগানের দুর্গামন্দিরের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে তাদের দাবি তুলে ধরে। এই শিক্ষার্থীদের মা-বাবারা চা-বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের ১২তম দিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকেরা। (আজ বুধবার) বেলা তিনটা থেকে উপজেলার সাতগাঁও চা–বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে তাঁরা অবস্থান নেন।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জে জেলায় চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি আজকেও অব্যাহত রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন শ্রমিকরা।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের ২৪১টি চা বাগানের সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে বৈঠক করবেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে। এ সময় তিনিই ঠিক করবেন মজুরি।
বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ৩০০ টাকা মজুরীর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মঘটী শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে দিতে রাজি হবার পর আন্দোলনে থাকা শ্রমিকরা তদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের ধর্মঘট গত পাঁচ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আগামীকাল (শনিবার) থেকে দেশের সকল চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে নিজ নিজ বাগান এলাকার শহর ও বাজারে অবস্থান নিয়ে কঠোর আন্দোলন করতেও শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।