Pars Today
রুশ মনীষী ও কবি-সাহিত্যিকদের ওপর ইসলাম এবং মহানবীর (সা) প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা গত পর্বের আলোচনায় প্রখ্যাত রুশ মহাকবি অ্যালেক্সান্ডার পুশকিনের ওপর ইসলাম ও মহানবীর (সা) প্রভাব সম্পর্কে কিছু কথা বলেছি।
থমাস কার্লাইল ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক, দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে এক সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তিনি দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে মহানবী (সা), মুসলিম জাতি ও ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের নানা দিক তুলে ধরেন।
গত পর্বের আলোচনায় আমরা জেনেছি,খ্রিস্টিয় উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে যেসব প্রাচ্যবিদ ইসলাম এবং মহানবী ও তাঁর শিক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন জার্মান কবি ক্যারোলিনভন গুন্দারোদ (Karolinevon Gunderode) ।
গত কয়েকটি পর্বে আমরা জেনেছি,ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক বিস্তারের যুগ থেকে প্রায় আধুনিক যুগের সূচনা পর্যন্ত পাশ্চাত্যের বেশিরভাগ প্রাচ্যবিদদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে সব সময়ই ভুল ও অস্পষ্ট ধারণা বিরাজ করেছে এবং তারা ইসলাম-বিদ্বেষী খ্রিস্টিয় চার্চ বা পুরোহিতদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হতেন।
গত পর্বের আলোচনায় আমরা মহানবী (সা) সম্পর্কে প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ ও ইতিহাসবিদ এডওয়ার্ড গিবনের মন্তব্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছি।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার প্রথম থেকেই কাফির-মুশরিক ও মুনাফিক গোষ্ঠী এবং কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের নানা ধরনের ব্যাপক শত্রুতা,বিষাক্ত প্রচারণা ও যুদ্ধসহ নানা ধরনের বাধার শিকার হয়েছিল।
আজ আমরা এমন একজন ফরাসি প্রাচ্যবিদ সম্পর্কে কথা বলব যিনি প্রাচ্য সংক্রান্ত পশ্চিমা গবেষণার ধারায় ব্যাপক ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখে বাস্তবতা ও সত্য-অভিমুখী হয়েছিলেন।
প্রাচ্যবিদদের চোখে মহানবী (সা) শীর্ষক নতুন ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় পর্বে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
গত পর্বের আলোচনায় আমরা জেনেছি, পশ্চিমা উপনিবেশবাদীরা প্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য নানা বিষয়ে গবেষণায় মনোযোগী হয়েছিল।
'প্রাচ্যবিদদের চোখে মহানবী (সা)' শীর্ষক নতুন ধারাবাহিক আলোচনায় আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।