ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থল বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমার্স হায়দারী বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে উদ্ভূত যেকোনো হুমকির সরাসরি জবাব দেবে তার দেশের সেনারা।
নিজেদের আরও সাত সেনা নিহত হওয়ার কথা আজ স্বীকার করেছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত তাদের ১০১ জন সেনানিহত হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সন্ত্রাসী বাহিনী গাজায় এই স্থল অভিযান শুরু করে। তবে গাজার উপর বর্বর বাহিনী ৭ অক্টোবর থেকে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া আবুধাবিতে শুরু হয়েছে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, তার দেশের স্থল বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ইরান এখন স্থলযুদ্ধের ক্ষেত্রে এমন শক্তি অর্জন করেছে যে, শত্রুকে যেকোনো যুদ্ধে পরাজিত করতে সক্ষম।
ইরানের সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমার্স হায়দারি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমেরিকার জেনে রাখা উচিত ইরানি জনগণ যেকোনো আগ্রাসন রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আজকের ইরান এমন এক শক্তিশালী অবস্থানে এসে পৌঁছেছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে দেয়া হুমকি বাস্তবায়নের ক্ষমতা কারোই নেই।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি বলেছেন, ড্রোন ও হেলিকপ্টারের ব্যবহার আরও বাড়বে। আইআরজিসি'র স্থল ইউনিটের এক প্রদর্শনীতে আজ (মঙ্গলবার) তিনি এ কথা বলেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওজার নেয়ামাতি বলেছেন, শত্রুর হুমকি মোকাবেলায় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ইরানের পদাতিক বাহিনী নজিরবিহীনভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
ইরানের সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিশাল সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন একজন পদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীর সমর প্রস্তুতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ মহড়া চালানো হবে।