বাংলাদেশে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ শুরু, প্রথম দিন নিলেন চার মন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i101434-বাংলাদেশে_করোনার_টিকার_বুস্টার_ডোজ_শুরু_প্রথম_দিন_নিলেন_চার_মন্ত্রী
বিশ্ব মহামারি করোনার ভয়াবহতার মাঝে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত এখন দেশের প্রায় সব বয়সী নাগরিক। টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ১৪:৪৪ Asia/Dhaka

বিশ্ব মহামারি করোনার ভয়াবহতার মাঝে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত এখন দেশের প্রায় সব বয়সী নাগরিক। টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও।

সরকারি হিসাব মতে, দেশের ১৭ কোটির বেশি মানুষদের করোনা থেকে সুরক্ষা  দিতে এ যাবত এগারো কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনো সবাইকে  দুই ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়নি।

অদৃশ্য জীবাণু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এ পর্যায়ে এসে নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন। ডেল্টা পরবর্তী ভাইরাসটির নতুন এ ধরনটি নিয়ে পুরো বিশ্বই যখন উদ্বিগ্ন ঠিক তখন গত ১১ ডিসেম্বর দেশে ওমিক্রন শনাক্তের তথ্য দিয়েছে সরকার।

এ অবস্থায় কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রথম বুস্টার ডোজ দেয়া হয় দেশে প্রথম টিকা নেয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে

আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

এসময় প্রথম বুস্টার ডোজ দেয়া হয় দেশে প্রথম টিকা নেয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্প মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজে।

তবে এখনও এক-তৃতীয়াংশের বেশি প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে টিকার বাইরে রেখে বুস্টার ডোজ চালু করা নৈতিকভাবে সমর্থন করা কঠিন জানিয়ে বিএসএমএমইউয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে জরুরি বিজ্ঞানসম্মত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।

ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ওদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ওমিক্রন এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে। ভ্যারিয়েন্টটি যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে সামনে হাসপাতালগুলোতে অধিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া অঞ্চলে ওমিক্রনের সংক্রমণ দেড় থেকে ৩ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হচ্ছে। যেসব দেশের জনসংখ্যার মাঝে উচ্চ মাত্রার ইমিউনিটি রয়েছে, সেসব দেশেও ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

তবে নতুন এই ভাইরাসটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে তুলতে পারে কিনা তা স্পষ্ট নয়। যারা সংক্রমিত হয়েছেন গুরুতর বা অস্বাভাবিক অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি। স্ট্রেইনটি কতটা শক্তিশালী সার্বিক বিষয় জানতে আরও গবেষণা এবং সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।