'আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে'
-
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
চীনের তীব্র বিরোধিতা উপেক্ষা করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) চীনের ফেসবুক পেজে চীনের রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেছেন। ঢাকায় চীন দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে চীনের তীব্র বিরোধিতা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের সমালোচনা করা হয়।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পেলোসির এ সফরকে এক চীন নীতি এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইশতেহারের ধারার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, এ সফর চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন, যা ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে ভুল ইঙ্গিত দেবে। পাশাপাশি এ সফর চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তিমূলে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। চীন জোরালোভাবে এ সফরের বিরোধিতা করছে এবং কঠোর ভাষায় এর নিন্দা জানাচ্ছে।
চীন ও বাংলাদেশ একে অন্যের ভালো প্রতিবেশী উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, দুই দেশই একে অপরের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার। দুই দেশ সব সময় নিজেদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাসংক্রান্ত মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে একে অপরকে বুঝেছে এবং সমর্থন করেছে।
এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার ও ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’র প্রতি বাংলাদেশের জোরালো বিরোধিতার প্রশংসা করেছেন ঢাকায় দেশটির শীর্ষ এই কূটনীতিক।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বে শুধু একটিই চীন আছে, তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার।
তিনি বলেছেন, এক চীন নীতি হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বজনীন ঐকমত্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি মৌলিক ধারা। চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে ন্যান্সি পেলোসির সফর শুধু তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করবে এবং এরই মধ্যে সমস্যাসংকুল বিশ্বে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৪