ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলের মতামত মুখ্য ছিল না: সিইসি
(last modified Wed, 24 Aug 2022 12:03:23 GMT )
আগস্ট ২৪, ২০২২ ১৮:০৩ Asia/Dhaka
  • কাজী হাবিবুল আউয়াল
    কাজী হাবিবুল আউয়াল

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন্‌ দল কী বলেছে, তা কমিশনের কাছে মুখ্য ছিল না। কীভাবে ভোট করলে সুষ্ঠু হবে, সেটাই মুখ্য বিবেচনায় ছিল।

আজ (বুধবার) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমএ ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গতকালই তাদের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমে যাওয়ার একটা বড় সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদের। ভোটটাকে হ্যান্ডল করবে রাজনৈতিক দল নয়, ভোটকে হ্যান্ডল করবে ইসি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘যাঁরা ভোট দিতে আসবেন, সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনায় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলো কে কী বলেছে, সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনায় আসেনি। কিন্তু বক্তব্যগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। একই সঙ্গে যেসব ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগে কেন্দ্রে আসেন, তাঁরা যেন আরও ভালোভাবে ভোট দিতে পারেন, তা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের পাঁচ মাসের বেশি সময় হয়ে গেল। আমরা ইভিএম নিয়ে চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। প্রথম থেকেই বলেছিলাম—পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে, কতটা নির্ভরযোগ্য, পরখ করে দেখার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন দল, টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের ডেকেছি, অনেকের মতামত নিয়েছি। এর ওপর নির্ভর করে, কমিশন সব দলের মতামত বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত ১৫০-১৫০ এভাবে ভাগ করে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তে নির্বাচনে সংকট ঘনীভূত হবে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যৎটা আমরা বলতে পারব না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আগের নির্বাচনগুলো নিয়েও আপনারা সংকটের কথা বলেছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট হবে কি না, তা প্রেডিক্ট করার সাধ্য নেই।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা ওয়েট করেন, আমরাও ওয়েট করি, দেখি সংকট কী হয়।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল। 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারে সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে কমিশন সরকারের হয়ে কাজ করছে। নির্বাচনে আসন নিয়ে সরকারের সাথে সমঝোতা করেছে। আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৪

 

ট্যাগ