আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিতে স্বস্তি আনবে, শর্তে রাজি বাংলাদেশ সরকার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i115528
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার যা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি বলে আভাস পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্যে।
(last modified 2025-08-13T13:01:58+00:00 )
নভেম্বর ০৬, ২০২২ ১৮:০৬ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার যা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি বলে আভাস পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্যে।

এরই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশীয় প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের বিভাগীয় প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি স্টাফ মিশন গেল বুধবার ঢাকায় এসেছে। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করার কথা রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের।

বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতির যে বিস্তৃতি, তাতে এই ঋণ কতটুকু স্বস্তি দেবে তা নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে বলেছে সংস্থাটি। তবে এই শর্তকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে টিআইবি বলছে, এমন শর্ত মানা উচিত নয়। যাতে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বিরুপ প্রভাব আরও বাড়বে।

তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম আব্দুল মান্নান বলছেন, সরকার আইএমএফ এর যৌক্তিক শর্ত মানতে রাজি। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ভারসাম্য কমে আসায় এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির সংকটের কারণে বৈদেশিক ঋণের চাহিদা তৈরি হয়েছে। আবার যে হারে রিজার্ভ কমছে, সেটি সামনের দিনে আরো কমবে, এটিও শংকার বিষয়। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় এই পরিস্থিতিতে লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে বৈদেশিক ঋণের কোনো বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন সিদ্দিকী রেডিও তেহরানকে বলেন, ৪৫০ কোটি ডলার পেলে বাংলাদেশের তিন-চার মাসের বৈদেশিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। আমদানি ব্যয় মেটানোর প্রেক্ষিতে এই ঋণ হয়তো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। কিন্তু অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিলে এই ঋণের গুরুত্ব রয়েছে। যা অর্থনীতিতে একটি স্বস্তি আনবে। তবে দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য শষ্যর নিশ্চয়তা ধরে রাখতে জ্বালানি কিংবা কৃষির ক্ষেত্রে ভর্তূকি বন্ধের শর্ত এড়িয়ে ঋণ সুবিধা নেয়ার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদের। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।