বাংলাদেশের পুলিশ
রাজনৈতিক বলয় মুক্ত না হলে পুরোপুরি জনবান্ধব হবে না পুলিশিং; মন্তব্য বিশ্লেষকদের
বাংলাদেশের পুলিশ কি জনবান্ধব? প্রশ্নটা ক্ষণে ক্ষণে ঘুরছে অনেকের মাথায়। হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি, বাসা থেকে তুলে নেওয়া, মাদক সম্পৃক্ততা, সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে পুলিশ জড়িত এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে, যা গোটা সিস্টেমকে বিব্রত করে।
যেমন সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ড, ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি, চট্টগ্রাম কারাগারে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেওয়ার ঘটনা, দিনাজপুরের ইয়াসমিনকে থানায় ধর্ষণ, ১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে শামীম রেজা রুবেলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ৫৪ ধারায় মামলা দেওয়া, এর সবই পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর কি সমাধান নেই? যদিও সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে জোর প্রচেষ্টা। কিভাবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী উপহার দেয়া যায়। অবশ্য গেল বৃহস্পতিবার ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন পুলিশ এখন জনআস্থার প্রতীক।
কিন্তু পুলিশের মাঠপ্রশাসনে চিত্র জানতে আমরা কথা বলেছি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল হালিমের সঙ্গে। তিনি রেডিও তেহরানকে বলেন, পুলিশের কাজ সব সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এখন আরো গণমুখী ও জনবান্ধব হওয়ার জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কনস্টেবলদেরকেও জনবান্ধব কাজ করার নির্দেশনা দেয়া আছে। যাতে মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সব সসময় সব ধরনের সহায়তা পায়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জন রেডিও তেহরানকে বলেন, পুলিশকে প্রধানত রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে পারলেই গণমুখী ও জনবান্ধব পুলিশিং দেয়া সম্ভব। কারণ যখন প্রশাসন কোনো পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করে তখন সেখানের কর্মকর্তারা চাইলেও জনমুখী হতে পারে না। তাই নৈতিকতার যায়গায় পুলিশের সংস্কারের পাশাপাশি রাজনীতির বলয়মুক্ত করতে হবে পুলিশকে, এমন মত অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জনের।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।