বিজয়ের ৫১ বছরে তারুণ্যের মূল্যায়ন
নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয় মানে সমাজের সাম্যতা আর অনাহারী মুক্ত দেশ
বাংলাদেশ। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম। যার পেছনের ইতিহাস সংগ্রাম ত্যাগ আর তিতিক্ষার। অধিকার বঞ্চিত বুভুক্ষু মানুষগুলো এক সময়ে হায়েনাদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
১৯৭১ এ নরপিশাচদের চোখে চোখ রেখে অধিকারের দাবিতে কাস্তে কোদাল আর লাঠি হাতেই নেমে পড়েছিল রণাঙ্গনে। শক্তির মূলে ছিল বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর প্রকাণ্ড সাহস। শত্রু পক্ষকে ঠিকই ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে পরাস্ত করেছিল দেশের মুটে-মজুর কুলি ভিখারী থেকে ব্যারাকের থ্রি নট থ্রি’র সৈন্যরা।
এতবছরে প্রযুক্তি এগিয়েছে, সুযোগ বেড়েছেকিন্তু বিজয়ের ৫১ বছর পরে এসে আজও নানা অপ্রাপ্তি হতাশা আর বঞ্চনার বিতর্ক চলমান। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা উদ্বিগ্নতা ছড়াচ্ছে তরুণ-কিশোরদের মাঝে।
বয়সে তরুণ হলেও ভাবনায় পিছিয়ে নেই দেশের নতুন প্রজন্ম। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বিজয়ের ৫১ বছরের মূল্যায়ন জানতে চাইলে স্কুল শিক্ষার্থী রাফিন ইশমাম রেডিও তেহরানকে জানান, তার কাছে বিজয় মানে একটি শব্দ না। বিজয় মানে সমাজের সাম্যতা। কিন্তু রাস্তায় বেরুলে পথের ধারের ভিখারী আর ছিন্নমূল মানুষের অব্যক্ত ক্রন্দন ব্যথিত করে রাফিনকে। তবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল জঞ্জাল সরাতে চায় এ তারুণ্য।
আরেক উচ্ছসিত তরুণ লাবিব ফয়সাল মনে করেন, বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে এসেও যখন আমরা নানা হতাশা দেখি তখন মাঝে মধ্যে আমরাও বিভ্রান্ত হই। তবে বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে মনে বিশ্বাসকে জোরালো করে এগুতে চায় লাবিব।
তবে কানিজ ফাতিমা নামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ভাবনায়, বিরাজমান অসঙ্গতিতে খানিক হতাশা মাঝে মধ্যেই গ্রাস করে তাদের। অর্থনৈতিক অতিবৈষম্যে সমাজের একশ্রেণির মানুষকে বুভুক্ষু রেখে মানবিক বিজয় লাভ হয় না বলে ক্ষোভ এ তরুণীর।
এমন বাস্তবতায় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্কুল শিক্ষিকা শাহনাজ তাইমান বলেন, মানবিক মূল্যবোধকে ধারন করে এগুতে পারলে এসব তরুন কিশোরদের হাত ধরেই আসবে মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত স্বাধীনতার প্রকৃত বিজয়।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।