অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: শহীদ মিনারে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i119908-অমর_একুশে_ও_আন্তর্জাতিক_মাতৃভাষা_দিবস_শহীদ_মিনারে_প্রেসিডেন্ট_প্রধানমন্ত্রীর_শ্রদ্ধা
নানান শ্রেণি-পেশা ও সর্বস্তরের মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে 'মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩ ০৯:৪২ Asia/Dhaka
  • কেন্দ্রী শহীদ মিনারে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
    কেন্দ্রী শহীদ মিনারে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নানান শ্রেণি-পেশা ও সর্বস্তরের মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে 'মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ বাজানো হয়। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

এর পরই প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ নূর-ই আলম চৌধুরী প্রমুখ শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং এরপর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর শহীদ বেদীতে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মহাপুলিশ পরিদর্শক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল, আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক, ভাষা সৈনিকবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ, বিদেশি সংস্থার প্রধানগণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। সেক্টর কমান্ডাররা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শহীদ মিনার

পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানান। মধ্যরাত থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর হলে পুরো রাজধানীবাসীর ঢল নামবে শহীদ মিনারে।

মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে আজ থেকে ৭১ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির। “বাংলাকে” রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসেন। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।