ভাষা দিবসের আবেগ, নোম্যান্সল্যান্ডে মিলিত হলেন বাংলাদেশ-ভারতের নেতারা
https://parstoday.ir/bn/news/india-i134750-ভাষা_দিবসের_আবেগ_নোম্যান্সল্যান্ডে_মিলিত_হলেন_বাংলাদেশ_ভারতের_নেতারা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪ ১৯:০০ Asia/Dhaka
  • ভাষা দিবসের আবেগ, নোম্যান্সল্যান্ডে মিলিত হলেন বাংলাদেশ-ভারতের নেতারা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

এ সময়ে দু’দেশের নেতারা ওই কর্মসূচিতে শামিল হলেও মিলিত হতে পারেননি দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ মানুষজন। কেবলমাত্র নির্দিষ্ট প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাজনিত কঠোরতার কারণে কেবল ভারত ও বাংলাদেশের নেতারা পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের  নোম্যান্সল্যান্ডস্থিত ভাষা শহীদ স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময়ে উভয় দেশের নেতারা যৌথভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।   দু’দেশের নেতারা যখন জিরো পয়েন্টে ভাষা শহীদ রফিক, শফিউর, সালাম, বরকত, জব্বারদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানান, তখন দু’দেশের গেটের দু’পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। যৌথভাবে ওই কর্মসূচি শেষে উভয় দেশের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান।

ভারতের দিকে পেট্রাপোল সীমান্ত গেট থেকে কিছুটা দূরে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ করা হয়। সেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জগতের মানুষজন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। ওই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ও সাবেক বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, দুই বাংলা। ওপারের বঙ্গ জননী শেখ হাসিনা, এপারের বঙ্গ জননী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই দেশের মেলবন্ধন। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের স্মরণে দুই বাংলার মিলন উৎসব হচ্ছে এখানে। তিনি এসময়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার লাইন উল্লেখ করে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের উপর জোর দেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মূলত মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন করেন। তৎকালীন সামরিক বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ৫ জনকে হত্যা করেছিল। তাদের প্রতি সম্মান জানাতে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। আমরা যারা বাঙালি, আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির কোনো পার্থক্য নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে যাকে ঘোষণা করেছেন, সেই ভাষায় বলতে হয়, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল। পুণ্য হউক পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।

এদিনের ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, সাবেক এমপি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ ও অন্যরা।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, শেখ আফিল উদ্দিন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা উপজেলা আওয়ামি লীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, বেনাপোল পুরসভার মেয়র মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা আওয়ামি লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ও অন্যরা। #      

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।