এক যুগে বাংলাদেশের গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০০ টাকা, ক্রেতারা ক্ষুদ্ধ
(last modified Wed, 05 Apr 2023 10:05:17 GMT )
এপ্রিল ০৫, ২০২৩ ১৬:০৫ Asia/Dhaka

নিত্যপণ্যের বাজার পরিবর্তনশীল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দাম বেড়ে চলে। সে ধারায় গত এক যুগে কেজিতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার সংযোগ শাখা-২ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দেশে এক কেজি গরুর মাংসের গড় দাম ছিল ২০৩ টাকা। একই সময়ে প্রতি কুইন্টাল গরুর মাংসের পাইকারি দাম ছিল ১৮ হাজার ২৫২ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি গরুর মাংসের পাইকারি দর ছিল ১৮২ টাকা ৫২ পয়সা।

বর্তমান বাজার দরের দিকে তাকালে দেখা যায়, খোলা বাজারে এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। সংস্থাটির বর্তমান খুচরা বাজার দরের সঙ্গে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের বাজার দরের তুলনা করলে দেখা যায়, এক যুগের ব্যবধানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকার বেশি।

গত ১৩ বছরে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম অপ্রত্যাশিত হারে বেড়েছে। এর মধ্যে দেশের প্রধান খাদ্য চালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আর মাংস চলে গেছে দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে। ১৩ বছরের ব্যবধানে তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এতে ক্ষুদ্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

দেশের বাজারে গত কয়েক মাস ধরেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি করে। তবে সরকারি তথ্য বলছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দেশের বাজারে গরুর মাংসের গড় দাম ছিল ২০৩ টাকা। আবার বর্তমানে ৯০০ থেকে হাজার টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি খাসির মাংস। ২০০৯ সালে এই দাম ছিল ২৮৯ টাকা। সে হিসেবে ১৩ বছরে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি। এই দাম বৃদ্ধির বিষয়েও নানা অযুহাত রয়েছে বিক্রেতাদের।

চাল, গরু ও খাসির মাংসের দাম দুই থেকে তিনগুণ বাড়লেও সে হিসেবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। কিন্তু সম্প্রতি সেই ব্রয়লার মুরগীর দামও বেড়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

যদিও, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মাংসের কোন ঘাটতি নেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দাম বাড়ছে মাংসের। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। #

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/৫