মে ১৪, ২০২৩ ১৯:১৭ Asia/Dhaka
  • ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে নিহত ৩, কক্সবাজারে ২৫২২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত

মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রটি রোববার বিকেলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সিতওয়ে শহরের কেউ এখনো বাইরে যেতে পারছে না। সেখানে কোন রকম উদ্ধার তৎপরতাও নেই।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারে ২ হাজার ৫২২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। শুধু সেখানেই প্রায় ৭০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সই করা আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি চাহিদার ফর্ম থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, কক্সবাজারে মোট ৫৭টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ৪৬৯টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০।

মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার পরই রাতের মধ্যে কক্সবাজারসহ অন্যান্য বন্দরের মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ আজ সকাল ৬টায় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। পরে বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়ের মূলকেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে। ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড়ের পেছনের অংশ উপকূলে ওঠা প্রায় সম্পন্ন করেছে। এটি আরও কিছুক্ষণ পরে পুরোপুরি বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করবে। স্থলভাগে এটি বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে দুপুর আড়াইটার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আজ রাতেই মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হবে। কাল যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন সিগন্যাল তুলে নেওয়া হতে পারে। মূলত পরিস্থিতি ফেভার করলে সিগন্যাল কমানো হবে। তা না হলে থাকবে।’#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪

ট্যাগ