সংঘাত এড়াতে দু'দলকেই, ছাড় দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিপরীতমুখি একদফা; জনমনে নতুন আতংক
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আক্রমণাত্মক হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো, সমাবেশ পাল্টা সমাবেশ করে নিজেদের পেশীশক্তির জানান দিতে মরিয়া তারা।
সম্প্রতি সমাবেশ থেকে পাল্টাপাল্টি দফা ঘোষণা করে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিপরীতমুখী একদফা ঘোষণায় জনমনেও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। যদিও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। একদিকে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের নতুন যাত্রা ঘোষণা করেছে বিএনপি। অপরদিকে, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন করতে অনড় অবস্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী একদফা নিয়ে জনমনেও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.আব্দুর রাজ্জাক খান মনে করেন, ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে দুই দলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। সমঝোতায় না গেলে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ সহজ হবে না ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.হারুন-অর-রশিদ বলেন, দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য কল্যাণকর স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা নিশ্চিতের কথা ভেবে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে নির্বাচন ঘিরে সামনের দিনগুলোতে দুই দলের অবস্থানই বলে দেবে, সমাধানের পথ কোন দিকে। এদিকে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের স্বার্থে বড় দুই দলকে বিপরীতমুখি অবস্থান থেকে সরে আসা জরুরী বলে মনে করেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আজ রোববার গুলশানে ইইউ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের কাছে, বর্তমান সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আপত্তির কথা জানিয়েছেন, বদিউল আলম মজুমদার। তবে বিরোধী দলের সাথে সংলাপ কিংবা তত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে, কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন, সুজন সম্পাদক।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/রেজওয়ান হোসেন/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।