ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন রেডিও তেহরানের এম এম বাদশাহ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i132218-ব্র্যাক_মাইগ্রেশন_মিডিয়া_অ্যাওয়ার্ড_পেলেন_রেডিও_তেহরানের_এম_এম_বাদশাহ
ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) বাংলা বিভাগের (রেডিও তেহরান) বিশেষ প্রতিনিধি এম এম বাদশাহ (নিলয় রহমান)। প্রবাসীদের দুর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে রেডিও তেহরানে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচারের জন্য 'রেডিও' ক্যাটাগরিতে তিনি প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ ১৮:৪৩ Asia/Dhaka
  • পুরস্কার হাতে এমএম বাদশাহ
    পুরস্কার হাতে এমএম বাদশাহ

ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) বাংলা বিভাগের (রেডিও তেহরান) বিশেষ প্রতিনিধি এম এম বাদশাহ (নিলয় রহমান)। প্রবাসীদের দুর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে রেডিও তেহরানে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচারের জন্য 'রেডিও' ক্যাটাগরিতে তিনি প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন।

আজ (রোববার) দুপুরে মহাখালী ব্র্যাক ইন সেন্টারে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এম এম বাদশাহ্ (নিলয় রহমান)’র হাতে পুরস্কার তুলে দেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মন্ত্রণালয়ের ডিপুটি সেক্রেটারি মির্জা শাকিলা দিল হাসিন, যুগ্ম সচিব আয়েশা হক, ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর ও ব্র্যাকের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সাফি রহমান খান।

এম এম বাদশাহ্’র হাতে পুরস্কার তুলে দেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাত নিয়ে রেডিও তেহরানের অনলাইন সংস্করণ পার্সটুডেতে প্রকাশিত ১. বিদেশে কর্মী প্রেরণে স্বচ্ছতা ও চাকুরি নিশ্চয়তা না হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা দুরূহ ২. ‘প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে পারলে বৈধ চ্যানেলে বাড়বে প্রবাসী আয়, কমবে হুন্ডি ৩. 'প্রবাসীদের অধিকার ও সম্পদের সুরক্ষা ছাড়া জনশক্তি রপ্তানি খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়' শিরোনামের সিরিজ প্রতিবেদনের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

'রেডিও তেহরানে প্রচারিত এবং পার্সটুডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য প্রথম পুরস্কার লাভ করায় এম এম বাদশাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের পরিচালক মুজতাবা ্‌ইব্রাহিমি। বাংলা বিভাগের সাংবাদিক ও কলাকুশলীবৃন্দও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এম এম বাদশাহ ২০০০ সালে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) সাবেক সম্পাদক সাংবাদিক আবদার রহমান সম্পাদিত মাসিক পত্রিকা (বর্তমানে সাপ্তাহিক) ‘শিক্ষা বিচিত্রা’র মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর পর কাজের ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে দৈনিক মানবজমিনে নিজস্ব প্রতিবেদক, ২০০৪ সালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনে দীর্ঘমেয়াদী টেলিভিশন সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৫ সালে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন লন্ডনভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এস’র ঢাকা অফিসে। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ইসলামিক টিভিতে নিজস্ব প্রতিবেদক (ক্রাইম), ২০০৮ সালের ১ আগস্ট বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভিতে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক (ক্রাইম), জাপানের প্রবাসী ম্যাগাজিন ‘দশদিক’র বিশেষ প্রতিনিধি ও ২০১৩ সালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এসএ টেলিভিশনে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে অপরাধ বিষয়ক বিটে যোগ দেন। সেখানে তিনি একইসঙ্গে ক্রাইম চিফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে এসএ টেলিভিশনের এ্যাসাইনমেন্ট এডিটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে এসএ টেলিভিশনের এ্যাসাইনমেন্ট এডিটরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভি'র অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে রেডিও তেহরান বাংলা'র বাংলাদেশে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন এম এম বাদশাহ্।

বিজয়ীদের মাঝে এমএম বাদশাহ্‌

এম এম বাদশাহ্ তার আলোচিত কিছু প্রতিবেদনের জন্য বেশকিছু স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০০৮ সালে টঙ্গীর নিরপরাধ ট্যাক্সি ড্রাইভার সুজনের জেল খাটার বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য হিউম্যান রাইটস এ্যাওয়ার্ড-২০০৮, অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য এ্যাডকোয়েস্ট সম্মাননা স্মারক-২০০৮, লেবাননে মহিলা শ্রমিক পাঠানোর নামে নারী পাচার শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য ‘মানবাধিকার শাইনিং এ্যাওয়ার্ড-২০০৯, দৃষ্টিহীন শিশুদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ‘অন্তরদৃষ্টি কথা বলে’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য সিএসএফ জার্নালিস্ট ফেলোশিপ এ্যাওয়ার্ড-২০১০, তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রজ্ঞা এ্যাওয়ার্ড-২০১১, তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য যাত্রী-টিএফকে ফেলোশিপ-২০১২, ২০১৫ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে সরকারের গড়িমসির পেছনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য প্রজ্ঞা টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালিজম এ্যাওয়ার্ড-২০১২ পেয়েছেন। একই বছর প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন রিপোর্টের জন্য সিএসএফ-ফ্রেড হলোজ জার্নালিস্ট ফেলোশিপ এ্যাওয়ার্ড-২০১২ পান। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মাদক পাচারসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির জন্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্ট (আইসিএফজে–ইউএসএ) ফেলোশিপ-২০১৩ নির্বাচিত হন তিনি।

নেপালের কাঠমান্ডুতে অংশ নেন দক্ষিণ এশীয় ইয়ুথ জার্নালিস্ট কনফারেন্সে। ২০১৪, ২০১৫ সালে পেয়েছেন ‘লেপরোসি মিশন জার্নালিজম ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড’। ২০১৭ সালে তিনি বন্ধু মিডিয়া ফেলোশীপ ও ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মিডিয়া ফেলোশীপ অ্যাওয়ার্ড।

২০১৮ সালে তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে তুরস্ক’র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটিতে নিউ মিডিয়া ও ডিজিটাল জার্নালিজম কোর্সে অংশ নেন। ২০১৯ সালে জার্মান সংস্থা কনরাডের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়া মোবাইল জার্নালিজম মোজো এশিয়া ২০১৯ এ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে প্রায় ৩৩ দেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে স্পিকার হিসেবে অংশ নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও মোবাইল জার্নালিজম ও ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তিনি। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসেএফজের ফেলো।

পেশাগত কারণে সফর করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আয়ারল্যান্ড, মালদ্বীপ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চল। সেসব দেশের নানা তথ্য তুলে এনেছেন তার প্রতিবেদনে।

এম এম বাদশাহ্ ২০০৩ সালের ৩ জুলাই নাজনীন খানমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির যমজ সন্তান নাবিদ রহমান তুর্য্য ও নওশিন তাবাসসুম তৃণা। স্ত্রীর উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতার নিত্যনতুন অনুসন্ধানী পথে এগিয়ে চলছেন। সামাজিক সংগঠন মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা। Film Viewrs Society এর প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। মিডিয়া মিউজিয়ামের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির আদান প্রদান ও চলচ্চিত্র ডকুমেন্টারি তৈরি প্রদর্শনের কাজও করছেন তারা।

সংগঠনপ্রিয় বাদশাহ্ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ২০১৭ সেশনে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৬ সেশনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালে ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ডিফেন্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে জার্নালিস্ট ফোরাম ফর মাইগ্রেশন - জেএফএম'র প্রচার সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। #

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।