পদ্মা-মেঘনা নদীতে আগামী ২ মাস মাছ ধরা নিষেধ, বাস্তবায়নে প্রস্তুত টাস্কফোর্স
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i135030-পদ্মা_মেঘনা_নদীতে_আগামী_২_মাস_মাছ_ধরা_নিষেধ_বাস্তবায়নে_প্রস্তুত_টাস্কফোর্স
বাংলাদেশে আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে শুরু হচ্ছে সকল প্রকার মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। ইতোমধ্যে মেরামত করতে অনেক জেলেই ডাঙ্গায় তুলেছেন তাদের নৌকা ও জাল।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১৮:১৯ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে শুরু হচ্ছে সকল প্রকার মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। ইতোমধ্যে মেরামত করতে অনেক জেলেই ডাঙ্গায় তুলেছেন তাদের নৌকা ও জাল।

তবে জেলেদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারি খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল। তার উপর রয়েছে ঋণের কিস্তির বোঝা। তাই এই সময় কিস্তি বন্ধের দাবি তাদের। অপরদিকে অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নদী উপকূলীয় জেলা টাস্কফোর্স।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নদীতে জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার এই সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে হাইমচর চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এজন্য অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নিবন্ধিত জেলেদের দেয়া হচ্ছে সরকারি খাদ্য সহায়তা। প্রতি জেলে পাচ্ছে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি চাল। তবে শুধু চাল দিয়ে সংসার চালালো কষ্টের বলে দাবি জেলেদের। তাই খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি তাদের।

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করেন অধিকাংশ জেলে। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস সংসারের খরচ চালিয়ে কিস্তি পরিশোধ করা তাদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অভিযানে ঋণের কিস্তি বন্ধের দাবি তাদের।

অভয়াশ্রমে অসাধু জেলেরা যাতে কোনভাবেই নদীতে নামতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত নৌ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করা বলে জানান চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

নিষেধাজ্ঞার দুই মাস জেলেদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার লক্ষ্যে সকল এনজিও সংস্থাকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান। যদি কোন সংস্থা এই দুই মাস জেলেদের কিস্তি গ্রহণ করে, প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।

চাঁদপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় নিবন্ধিত জেলে প্রায় ৪৫ হাজার। অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন উপকরণ দিচ্ছে সরকার। সর্বস্তরের সচেতনতা ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিপাক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন