‘ইরানি নওরোজ ও বাংলা নববর্ষের মধ্যে বিশেষ সামঞ্জস্য রয়েছে’
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i69524-ইরানি_নওরোজ_ও_বাংলা_নববর্ষের_মধ্যে_বিশেষ_সামঞ্জস্য_রয়েছে’
ইরানি নববর্ষ নওরোজ ও বাংলা নববর্ষের মধ্যে বিশেষ সামঞ্জস্য রয়েছে বলে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় মত দিয়েছেন বক্তারা। তারা আরও বলেন, বেশ কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে ইরান ও বাংলাদেশে বসন্তকালের আগমন ঘটে থাকে। ইরানে নওরোজ ২১ মার্চ, আর বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হয় পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল। ইরানে নওরোজের আনন্দ ও আমেজ থাকে সপ্তাহব্যাপী। বাংলাদেশেও বৈশাখ উপলক্ষে গ্রামেগঞ্জে মেলা হয়ে থাকে মাসব্যাপী। বিগত কয়েক দশক ধরে এটি নগর জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
এপ্রিল ১৩, ২০১৯ ০১:১৯ Asia/Dhaka
  • ‘ইরানি নওরোজ ও বাংলা নববর্ষের মধ্যে বিশেষ সামঞ্জস্য রয়েছে’

ইরানি নববর্ষ নওরোজ ও বাংলা নববর্ষের মধ্যে বিশেষ সামঞ্জস্য রয়েছে বলে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় মত দিয়েছেন বক্তারা। তারা আরও বলেন, বেশ কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে ইরান ও বাংলাদেশে বসন্তকালের আগমন ঘটে থাকে। ইরানে নওরোজ ২১ মার্চ, আর বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হয় পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল। ইরানে নওরোজের আনন্দ ও আমেজ থাকে সপ্তাহব্যাপী। বাংলাদেশেও বৈশাখ উপলক্ষে গ্রামেগঞ্জে মেলা হয়ে থাকে মাসব্যাপী। বিগত কয়েক দশক ধরে এটি নগর জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

ইরান ও বাংলাদেশের নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আজ (শুক্রবার) বিকেলে এক আলোচনা সভায় এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তারা। ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নওরোজ ইরানের জনগণের সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর অন্যতম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্ম-বর্ণ-ভাষা নির্বিশেষে ইরানিদেরকে পরস্পরের কাছে টেনেছে এ উৎসব। ইরানি জনগণের সংস্কৃতিতে নওরোজ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও নিদর্শনে পরিপূর্ণ এবং এটি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব হিসেবেও বিবেচিত। ইরানিদের মাধ্যমেই এ উৎসবের প্রচলন হলেও এই উৎসব ধীরে ধীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইরানের পাশাপাশি এই উৎসব আজ মধ্য এশিয়া থেকে শুরু করে তুরস্ক, ইরাক, ভারত উপমহাদেশ এবং উত্তর আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলে তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে উদযাপিত হয়ে থাকে

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাযেম কাহদুয়ী ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২