‘ইমাম খোমেনী আজীবন সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন’
(last modified Wed, 29 May 2019 05:40:29 GMT )
মে ২৯, ২০১৯ ১১:৪০ Asia/Dhaka
  • প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ এমপি
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ এমপি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

‘ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নৈতিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ রেযা নাফার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) ইরানের ইসলামি বিপ্লবের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি বিশ্বসভ্যতার অন্যতম লালনভূমি ইরানে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারী পাহলভী বংশের স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করেন। ইমাম খোমেনী আজীবন সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি ছিলেন একজন আপোসহীন সংগ্রামী পুরুষ, যিনি সকল শোষণ ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ইমাম খোমেনীর বড় পরিচয় হলো তিনি একজন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বলেই বিশ্বের পরাশক্তিগুলো ইরানের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করেও সফলতা লাভ করতে পারে নি।

ইরানের ইসলামি বিপ্লব দুনিয়ার মুসলমানের কাছে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ইমাম খোমেনী (র.)-এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ইরানের ইসলামি বিপ্লব ‘ইসলাম’ সম্পর্কে প্রচলিত সংকীর্ণ অনেক ধ্যানধারণাকে বদলে দিয়েছে। দলপূজা, গোষ্ঠীতন্ত্র, খণ্ডিত চিন্তাধারার বেষ্টনীর ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ ইসলামি উম্মাহর একটি উঁচু ধারণা তিনি উপস্থাপন করেন। তিনি ছিলেন সর্বপ্রকার গোঁড়ামিমুক্ত।

বক্তারা আরো বলেন, ইমাম খোমেনী একজন উঁচু মাপের কবিও ছিলেন। তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু ছিল নৈতিকতা, মানবতা, আল্লাহর সাথে বান্দার গভীর সম্পর্ক লাভের শিক্ষা এবং আল্লাহর সৃষ্টির সাথে মানুষের সম্পর্ক লাভের শিক্ষা ও দেশপ্রেম। তাঁর কবিতাগুলো শেখ সাদী (রহ.) ও মাওলানা রুমি (রহ.)-এর ভাবাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত যার গভীরতা অনেক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মাইমুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান ও প্রখ্যাত চিন্তাবিদ জনাব তানিম নওশাদ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।