ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
-
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যম কর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও চেতনার জায়গা। সুতরাং এখানে কোনো ধর্মেরই ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। তাদের কোনো ধরনের তৎপরতা ঐতিহ্যগতভাবে এখানে নেই। সেটি যেন কোনো ক্রমেই এদের অনুপ্রবেশ বা কর্মকাণ্ড পরিচালিত না হয় সেবিষয়ে যেন সকলে যত্মশীল থাকে সেজন্য ডাকসুর তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোরামে সেগুলো নিষিদ্ধ করে যেন আইনে পরিণত করা হয় সেই দাবিও জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভিসি।
এ বিষয়ে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘ডাকসুর প্রস্তাব অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। নির্বাহী সভার এজেন্ডা অনুযায়ী প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন। একই সাথে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এ সম্পর্কিত ধারা সংযোজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুনে এটি সন্নিবেশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অলিখিতভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু আজ এটি কেবল প্রস্তাব নয়, লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু গত ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে একটি ধর্মীয় সংগঠনের ছাত্র সংগঠন অংশ নিলে ফের ধর্মীয় রাজনীতির চর্চা নিষেদ্ধের দাবি উঠে। বিষয়টি নিয়ে আজ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সভায় আলোচনা হয়। বৈঠকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
গোলাম রাব্বানীর উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে তিনি আজকের সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।’ এছাড়াও সভায় অন্যান্য এজেন্ডা হিসেবে সান্ধ্যকালীন কোর্স, লাইব্রেরির আসন সংকট, হলের আবাসন সমস্যা, ক্যাম্পাসের পরিবহন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।