একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১০ জানুয়ারি শনিবার কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- সাংসদেরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না: সিইসি-দৈনিক প্রথম আলো
- কি নির্বাচন, কি আন্দোলন, কোথাও বিএনপির জনসমর্থন নেই- বলেছেন কাদের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- দেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে : ড. কামাল -দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : এলজিআরডিমন্ত্রী-দৈনিক ইত্তেফাক
- ভারত সফর বাতিল করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম-দৈনিক যুগান্তর
- ‘ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল-মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নির্বাচনে প্রচারণা চালান’ -দৈনিক মানবজমিন
ভারতের শিরোনাম:
- বিক্ষোভের আবহে শহরে মোদী, রাজভবনে স্বাগত জানাতে মমতা -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- ‘অর্থনীতিতে আরও রাশ টানলে বিপদ আরও বাড়বে’, কেন্দ্রকে সতর্ক করলেন অভিজিৎ-দৈনিক আজকাল
- ‘সংসদ চাইলেই ছিনিয়ে নেব পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’, ফের হুমকি সেনাপ্রধানের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
কথাবার্তার প্রশ্ন
১. বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরে নিহত হয়েছে ৭৮৫৫ জন। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। কী বলবেন আপনি?
২. ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরান জানিয়েছে- মানবীয় ভুল থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। বেদনাদায়ক এ ঘটনাটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
সাংসদেরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না: সিইসি-দৈনিক প্রথম আলো
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাংসদেরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সাংসদেরা নির্বাচন সমন্বয়ের কাজও করতে পারবেন না বলে তিনি জানান।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসি ও কমিশনারদের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সাংসদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনী কার্যক্রমে থাকতে পারবেন না। নির্বাচন সমন্বয়ও করতে পারবেন না।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ কী দায়িত্ব দিয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসি জানে না। এ ব্যাপারে ইসি অবহিত হলে নিষেধ করা হবে।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি অনুসারে, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বাধা রয়েছে—এমন ব্যক্তিরা প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারবেন না। ভোট চাইতে পারবেন না। তবে তাঁরা মুজিব বর্ষের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সিইসির আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় তোফায়েল আহমেদের। তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাখ্যা জানতে তাঁরা এসেছিলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী সমন্বয়কারী হিসেবে সংসদ সদস্যদের কার্যালয়ে বসে পরিকল্পনা করতে বাধা নেই। তবে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া যাবে না। সমন্বয়কারীরা ভোট চাওয়া ছাড়া অন্য সব কিছু করতে পারবেন। তাঁরা কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন। তিনি জানান, বৈঠকে মাহবুব তালুকদার ছাড়া বাকি কমিশনাররা একমত হয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচন হবে।
নির্বাচন, কি আন্দোলন, কোথাও বিএনপির জনসমর্থন নেই-বাংলাদেশ প্রতিদিন
কি নির্বাচন, কি আন্দোলন কোথাও বিএনপির জনসমর্থন নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর শহরের ফাইভ স্টার মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাতেই আছি। আমরা কোনটাতে ভীতু নই। বিএনপি নির্বাচনের আগেই হেরে গেছে। ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ইভিএম একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা।
শীতে মানুষ কাঁপলে বিএনপি অভিযোগ আর নালিশ নিয়ে ব্যস্ত মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলী গ জনগণের দল আর বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করে। তাদের এখন খড়া চলছে সবখানে। জনসমর্থন থাকলে দেশবাসী দেখতো মানুষ দেখতো। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ চায় না। বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখতে চায় তারা। যার কারণে এনালগে রয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের পাশে নেই বিএনপি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মানুষও যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল বরাদ্দ দিয়েছেন। আর বিএনপি মানে অন্ধকার, বিএনপি মানে দুর্নীতি, বিএনপি মানের সন্ত্রাস এমনকি বিএনপি মানে খুন গুম আর ধর্ষণ।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ দফতর সম্পাদক আবু সায়েম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রংপুর বিভাগের নয়টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে : ড. কামাল -দৈনিক কালেরকণ্ঠ
দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের জেলায় জেলায় যে নারী ধর্ষণ হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় দেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটা কেন? এতে বোঝা যায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমেছে। এটা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ধর্ষণবিরোধী এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। সংবিধানে বলা আছে এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে। জনগণের মতামত থাকবে। সংবিধানে যে মূল কথাগুলি স্বীকৃত আছে সেগুলোর মধ্যে যে দেশে আইনের শাসন থাকবে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে এসব বিষয়ে কারো তো কোন মতপার্থক্য থাকার কথা না। আমরা যে যেই দলই করিনা কেন যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনো মতামত যাচাই করা হয় তাহলে সবাই বলবে যে, সবকিছুর আগে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। আমরা উদযাপন করব। কিন্তু আমরা কী পেলাম। দেশে আজ কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। দেশের জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চাই, দেশে যেন আইনের শাসন কার্যকর হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। তা না হলে কোনো দিন তারা সমাজকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারবে না।
ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ রহমান মান্না, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারীসহ অনেকে।
ভারত সফর বাতিল করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম-দৈনিক যুগান্তর
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারত সফর বাতিল করেছেন। আগামী ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য রাইসিনা সংলাপে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। কিন্তু ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবুধাবি সফরে সঙ্গী হওয়ার কারণে রাইসিনা ডায়ালগে অংশ নিতে পারছেন না প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাইসিনা ডায়ালগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবুধাবি যাওয়ার কারণে তিনি নয়াদিল্লি যেতে পারছেন না। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ইতোমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি আবুধাবি সফর করবেন। সেখানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এনভয় কনফারেন্স হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : এলজিআরডিমন্ত্রী-দৈনিক ইত্তেফাক
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিদেশের নেতারা প্রশংসা করেন। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম মীর হোসেন, চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম লতিফী।
সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, চৌদ্দগ্রামে বিগত সরকারের আমলে কোন উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সালে আমি প্রথম নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করি। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কোন উন্নয়ন করেনি। মামলা ও হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন অত্যাচারিত। আপনাদের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, রাস্তাঘাটসহ প্রধান সমস্যা সমাধান করেছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুজিব বর্ষ উদযাপনের প্রধান সমন্বয় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ছেলেমেয়েদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সহযোগিতা করতে হবে। সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করে জন্মশত বর্ষ পালন করতে হবে।#
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল-মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নির্বাচনে প্রচারণা চালান’ -দৈনিক মানবজমিন
মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নির্বাচনে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পেশাজীবী সম্মিলিত পরিষদ কর্তৃক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল খুব দুঃখ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যদি ফখরুল ইসলাম নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন, তাহলে আমি পারবো না কেন। ১০০ বার পারবেন। এই মুহূর্তে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করুন।
আসুন একসঙ্গে নির্বাচন করি। আইন তো তাই বলে। আইন বলে আপনি মন্ত্রী বা এমপি থাকলে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।তাই আপনি মন্ত্রিত্ব এবং এমপিত্ব ছেড়ে দিয়ে আসেন, আপনি নৌকার জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালান আর আমি ধানের শীষের প্রচারণা চালাই। দেখা যাক, জনগণ কোন দিকে থাকে। আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে পারি, ক্ষমতা থেকে নেমে এসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। তারপর আসুন আমরা নির্বাচন করি।
তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ গণতন্ত্রের জন্য কারাবরণ করছেন। তাকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। বারবার বলা হচ্ছে, আদালত তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সরকার দেশের সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করার পাশাপাশি বিচার বিভাগকে দখল করে নিয়েছে। বারবার বলেছি, এখনো বলছি, খালেদা জিয়াকে আইনের যে ধারায় আটক করে রাখা হয়েছে সেই আইনের ধারা অনেক মানুষকেই আপনারা জামিন দিয়েছেন। আমার বিচার বিভাগের কাছে প্রশ্ন। মানুষ সব জায়গায় নির্যাতিত-নিপীড়িত হলে সর্বশেষ বিচার বিভাগের কাছে যায়, যাতে তারা আশ্রয় পায়

কিন্তু সেই জায়গা থেকে এমন একটা মানুষের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, যে কিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের জনপ্রিয় নেত্রী।তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে পুরোপুরি সমাহিত করা হয়েছে। আজকে আপনারা উৎসব পালন করছেন খুব ভালো কথা। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আপনার উৎসব পালন করছেন। এই উৎসবে এদেশের মানুষের হৃদয় কতটা থাকবে সেটাই দেখার বিষয়। এদেশের মানুষকে অসুস্থ রেখে তাদের এ উৎসব কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা এখন ভেবে দেখতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া এতোটা অসুস্থ নয় যে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।
এই কথা আমরা আপনার কাছ থেকে আশা করি না। আশা করি দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য সঠিক কথা বলবেন। খালেদা জিয়ার জামিন এখন আদালতের কাছে বহাল নেই। এখন আপনাদের কোটে বহাল। বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদের। বেগম খালেদা জিয়ার যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় তাহলে এর সকল দায়ভার আপনাদেরকে নিতে হবে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বের হতে দিচ্ছে না, তার একটাই কারণ যদি তিনি বাইরে থাকেন তাহলে জনগণ তাদের মসনদ ভেঙ্গে ফেলবে।
এ কারণে তাকে আটকে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটকে রেখেছে। পরিষ্কার করে বলেছি, বারবার বলেছি, এখনও বলছি, সময় থাকতে দেয়ালের লিখা পড়ুন।ফখরুল বলেন, আমি আপনাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেছিলেন, বাংলার মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। এখনো বলতে চাই দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বাংলা মানুষকে কখনোই দাবিয়ে রাখা যায় নাই। নির্বাচন দিচ্ছেন।
নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছেন সেটা আমরা জানি। তারপর আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। কারণ সেটা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা দেশে গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামে দেশ নেত্রীর মুক্তি সংগ্রামের একটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনটাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছি।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এড. ফজলুর রহমান, রুহুল অমিন গাজী প্রমূখ।#
এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি
বিক্ষোভের আবহে শহরে মোদী, রাজভবনে স্বাগত জানাতে মমতা -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনপিআর, এনআরসি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবল বিক্ষোভের আবহেই কলকাতা পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দরের বাইরে জাতীয় পতাকা, কালো বেলুন, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ‘মোদী গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। বিক্ষোভ চলছে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, গোলপার্ক, ধর্মতলা, হাতিবাগান, রাজারহাট-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।

মোদীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। অন্য দিকে, বিজেপির তরফে হাজির ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ এবং অর্জুন সিংহ এবং রাহুল সিংহ।
মোদীর যাত্রাপথে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলেনিয়াম পার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। জলপথে যাবেন বেলুড় মঠেও। কলকাতায় পা রাখার আগেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদী টুইট করেন— “আমি আনন্দিত এবং উত্সাহিত যে আজ এবং আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে কাটাব।”
‘অর্থনীতিতে আরও রাশ টানলে বিপদ আরও বাড়বে’, কেন্দ্রকে সতর্ক করলেন অভিজিৎ-দৈনিক আজকাল
দেশের অর্থনাতিক ঘাটতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। আগামী মাসেই বাজেট। তার আগে দেশে এসে অর্থনীতিতে খুব বেশি কাটছাঁট করা অনুচিত বলেই মনে করছেন তিনি। শনিবার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে অভিজিৎ বললেন, ‘যেহেতু আগে থেকেই অর্থনৈতিক ঘাটতির পরিমাণ অনেকটা হয়ে আছে, তাই আমার মনে হয় না সেটাকে আরও বাড়ালে কোনও অসুবিধা হবে।
এই সময়ে আমি অর্থনীতিতে রাশ টানাকে সমর্থন করছি না।’ আগামী বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার স্কুলশিক্ষা খাতে ৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর পরিকল্পনা করেছে। সেব্যাপারে নোবেলজয়ীর মন্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণত স্কুলশিক্ষা খাতে কম টাকায় ব্যয় করে, কারণ এটা সম্পূর্ণ রাজ্যের অন্তর্গত। সেক্ষেত্রে ৩০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমানোয় খুব বেশি হেরফের হবে না স্কুলশিক্ষা খাতে বলেই মনে করছেন অভিজিৎ। তাঁর মতে , ‘এটা সমুদ্র থেকে এক ফোঁটা জল তুলে নেওয়ার সমান।’
‘সংসদ চাইলেই ছিনিয়ে নেব পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’, ফের হুমকি সেনাপ্রধানের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
দেশের ২৮ তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দিনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যে চেয়ারে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তার ওপর ছিল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাক্ষরিত হওয়া চুক্তির ছবি। আর এভাবেই নতুন বছরের শুরুতেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আগামীর লক্ষ্য! পরিষ্কার বলেছিলেন, নির্দেশ পেলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর তারপর থেকে তা ভারতের মধ্যেই থাকবে। শনিবার ফের একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন দেশের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।

আজ একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালানোর জন্য সবরকমভাবে তৈরি রয়েছে। সংসদ চাইলেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে নেব আমরা। তারপর থেকে তা ভারতের অধীনেই থাকবে। কারণ এই বিষয়ে সংসদে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত অংশ ভারতের অন্তর্গত। সেই অনুযায়ী, পাকিস্তানের দখল করে নেওয়া অংশও রয়েছে। তাই সেনা নির্দেশ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
এরপরই নিজের সহকর্মীদের ভারতীয় সংবিধান (Constitution of India)-এর প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার বার্তা দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘বিচার, স্বাধীনতা, সাম্যতা এবং ভ্রাতৃত্বের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ভারতীয় সংবিধানের শপথ নিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি আমরা। একথা সবসময় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই তা ভুলে গেলে চলবে না।’
পাকিস্তান সম্পর্কে কড়া মনোভাব দেখালেও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর উপর আজ জোর দেন এম এম নারাভানে। চিনের সঙ্গে থাকা সীমান্ত সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন। বিভিন্ন সময় দুদেশের সেনার মধ্যে হওয়া সীমান্তগত বিবাদের দ্রুত মীমাংসা করা ও একে অপরের সমস্যা সম্পর্কে আলোচনার জন্য একটি হটলাইন চালু করারও প্রস্তাব দেন করেন।#
পার্সটুডে/ বাবুল আখতার/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
ট্যাগ