ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবো: শেখ হাসিনা
-
বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গ্রামে গ্রামে খোঁজ নিতে বলেছি- নদী ভাঙায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদেরকে আমরা ঘর করে দেবো, আর যারা ভূমিহীন, গৃহহীন তাদেরকেও ঘর তৈরি করে দেবো। প্রত্যেকটা মানুষের একটা ঠিকানা হবে।’
আজ (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী যে যেখানে আছেন, যে যতোটা পারেন সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশের একটা মানুষও যেন গৃহহারা বা গৃহহীন না থাকে।’
চিকিৎসা, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ ও বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, 'দীর্ঘ এক দশক ধরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মর্যাদা পেয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নের রোল মডেল। শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে না, আমরা প্রযুক্তি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি।'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বাধীনতা অর্জন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এই আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। বৃথা যেতে আমরা দেবো না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।'
মাতৃভাষার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাঙালি। আমাদের ওপর প্রথম আঘাত এলো ভাষায়। একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তার সংস্কৃতির ওপর, তার ভাষার ওপর আঘাত হানা হয়।'
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, '(বঙ্গবন্ধুকে) হত্যার সাথে সাথে (এক দল তার) নাম নিশানা সব মুছে দিল। ভাষা আন্দোলন থেকে তাকে মুছে দিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকেও মুছে দিল। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আজকে তা প্রমাণিত সত্য।'
আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার তারা ভোট দিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। সব থেকে বড় পাওয়া। আজকে ২০২০ সাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি।‘
চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২১টা বছর (১৯৭৫-৯৬ পর্যন্ত) জাতির পিতাকে ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণভাবে নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন আবার ক্ষমতায় তখনো আবার সেই নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সত্যকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মেহের আফরোজ চুমকী, মেরিনা জামান কবিতা প্রমুখ।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।